আমরা সবাই যেন এক একটি নির্বাসিত গ্ৰহ।
শরীরের লুকোনো-উন্মোচিত শুকনো-জীবন্ত কাটা ক্ষত,
চেহারার জ্যামিতিক ভাঁজ,
মনের কথাগুলো আবার যেন বয়ে বেড়ানো এক শরণার্থীর গ্রন্থাগারের মতোন।
জীবনটাকে বালুঘড়ির মতোন উল্টিয়ে,
ফালি ফালি করে কেটে সবার হিসাব হয়তো মিলেনা।
অথবা কেউ নিজের সাথে সম্পূর্ণ মুখোমুখি হবার
সাহসের দীনতায় মিলাতেও চায়না।
আর যারা অর্বাচীনতায় সমীকরণ মিলাতে অক্ষম
এদেরকে অনেকে নির্বোধ বলে।
প্রাণ খুলে হাসে কিন্তু বেশি ওরাই।
..... কেউবা .... পারে।
টানটান পাঁজরের তৃপ্তির নিঃশ্বাসে, ভেজা চোখে
মহাবিশ্বের নিয়ামকের কাছে আত্মসমর্পণ।
নিজেকে খুঁজে পেয়ে অনাদরে, অসতর্কতায়,
অথবা গোয়ার্তুমিতে হারিয়ে ফেলে আবার খুঁজে বেড়ানোই
হয়তো মানুষের সর্বপ্রথম ও শেষ কাজ।
আসো দ্বিতীয় জীবন অথবা রূপান্তরিত অন্য কিছু।
আমি প্রস্তুত।
বিদায়।
বিদায়।
শূন্যতাকে ঘিরে ফেলবে শূন্যরা।
সরল/জটিল অংকের জীবনের যোগফল সর্বক্ষেত্রেই আয়তক্ষেত্র।
ভালোবাসার স্মৃতিরা, মায়া-আবেগ
বেঁচে থাকবে অনন্ত-অসীম-অবিরত।
নিউরনের ঢিবির পোকাগুলোর আনাগোনা হবে
সুতি পর্দার বিকেলের রোদে,
অথবা বেহালার কোনো কান্নাতে,
কারো খিলখিল হাসিতে,
ঘুমের ওষুধ অথবা ছাড়া তোমাদেরই কারো কোনো স্বপ্নে,
কোনো রাস্তার ধারে নিঃসঙ্গ জারুল গাছে,
রিক্সায় কারো আনমনা চেহারায়,
রাতের অনর্থক এপাশ-ওপাশে,
সুঘ্রাণে।আতরে।
বইয়ের কোনো পাতায়,
ছবিতে-কবিতায়,
জমানো বইয়ের ধুলোতে,
টি শার্টে, ছেঁড়া ট্রাউজারে,
শব্দের হাসিতে-চোখে,
অথবা কমলা জোছনায় অম্বর দিয়ে জড়ানো
আমার প্রিয়ার মুখে।
বিদায়।বিদায়।
মে ০১, ২০২০।
_________