কবিতা নিরবে হারিয়ে যাচ্ছে। 
টপ টপ করে শব্দগুলো পরিত্যক্ত হলে
কতিপয় সুশীল তা কুড়িয়ে নিলো।


কবিতা ঘুমিয়ে গেলো। 
গ্রীবাতে পূর্ণিমা নেমে এলো। 
নাকের চূড়ায় সময় ঝাঁপা নামালো।
কতিপয় চিত্রশিল্পী তা দিয়ে নাম কুড়ালো।


কবিতা মাতাল হলো। 
মাতাল, কবি ও কবিতা হলো।
রুগ্ন কবিতা সস্তা ছড়ার অন্ত্যমিলে
চাপাচাপি,ধাক্কাধাক্কি করে জায়গা নিলো।


চাঁদ চতুর্ভূজ হয়ে সূর্যকে কাছে ডাকলো।
সূর্য ছারপোকাকে ভালোবাসলো। 
চাঁদ তার নামের সাথে মিল রেখে একটি অবসাদগ্রস্ত গালি দিলো।
চাঁদ ডিপ্রেশনে যেয়ে অমাবস্যা হলো।


আর ছারপোকা গায়ক হলো,
নায়ক-দেশ নায়কও হলো।
বন-জঙ্গলের মালিক হলো।


.... চেতনার শোষণে অবশেষে জাতীয় কবিতাও হলো।