আহা! কতটাই নামে গুণের
থাকে যে লোক মুখের সেই তরে।
নাম যে দিল্লিকা লাড্ডু কানটিতে
শুনেই মুখ-খানাতে মুসকি হাসে।


দিল্লিকা লাড্ডু বলে কথা সেই মনে
প্রেমিক যুগল-যুগলে কে না পেতে চায়!
রসিক রসে ভরা টসটসা সুন্দর ডাগড়
ডুগড়; নাদুস-নুদুস; অপূর্ব গড়নের ঐ'


আহা! এ কি নামের দিল্লিকা লাড্ডুর!
অমৃত স্বাদের সুধ‍ার স্বাদ  কি পেতে
পারে নারী-পুরুষ বন্ধন-যুগলে ঐ'মনে?
সময় যে জন করবে তৈরি তারাই পাবে।


দিল্লিকা লাড্ডু দেখতে অবুলা মনটিতে'
ধারণে রয়ে নিজেরই অজানাতে পথে
করে বসবাস; কত ভাবনাতে বুনে চলে
দিনক্ষণ বছর যুগ উপযুক্ততারই তরে।


দিল্লিকা লাড্ডু নিজেও জানে না যে কত
ল‍্যাড়া ঘুর পাক খেতে থাকে ঐ'দিল্লিকা
লাড্ডুরই অপলক সৌন্দার্য‍ কে ঘিরে।
সেই ভাবনাতে কথা রহে ও ছেরি শোনরে;


বয়স তোমাতে রংয়ের পাক ধরেছে ভারী!
যৌবন যেখানে টলমল রসেতে ভরা তরী।
এই যৌবন তোমার কে খাবে? দাওনা ঐ'মন
উপযুক্তেরই সু-পাত্রে সর্পে ঐ চেতনায়।


তবেই তো দিল্লিকা লাড্ডুর গাছে পাকা
ফল কে খাবে? অমৃত স্বাদের চরণের তরে
যৌবন উঠন্ত বয়সের তরে নিজকেও করে
উপযুক্ত কর্মঠ! হয়ে প্রকৃতই যোগ‍্যের মন।


সেই মনে জানাতে নিজেকে লাড্ডুর পরম
অর্থবহ মূল‍্যে রুপান্তর করে যোগ‍্যকে যোগ‍্য
হাতেই অর্পণে আরো অনাবিল সুখের স্বপ্ন'
অমূল‍্যের চমৎকার প্রেম-প্রেয়সী স্বর্গীয়তায়।


জীবন যেন পরিপূর্ণ‍্যের মানব কল‍্যাণময়ীতে
একে অপরের কল‍্যাণ কামীতে রহিবে এক
অনন‍্যতায় ভরা হ্নদয়ের টানের প্রকৃত স্বপ্নে'
এমন কথা যেন না আসে ঐ'পাড় হতে ঐ'সেই..


নামের মুখোরোচক ইৎরামী নাম ডাকেরই
শোভাতে দিল্লিকা লাড্ডু আমার কাছে না
দিলে তোর গাছে পাকা ফল কে খাবে?
কেন ভাই ও বোন এমন কথাটি হবে মানুষে?


ঘৃণা জাগে না অমন কথাটিতে ঐ'মনে?
মানুষ হয়ে মানুষকেই দিল্লিকা লাড্ডু!
মানুষ হয়ে মানুষকেই বলে থাকে ঐ'মনে
ও ছেরি  তোর গাছে পাকা জামবুড়া ফল;


কে খাবে? আমার কাছে না দিলে ছেরি
পচন ধরে পড়ে যাবে তোরই কাছে' এই
হল আমরা মানুষ! কেন এমন কথা-মালা
শোলক ছড়া? আর কি কথা যায় না বলা?


আসলে আমরা সমাজ হতে শুরু থেকে পেয়ে
এসেছি যা আজও অতীতকেই এই আধুনিক
যুগেও সাথে নিয়ে চলে আসছি ঐ'সেই একই'
অনেক নাকি পরিবর্তন হয়েছি জ্ঞান-বিজ্ঞানে?


তা কোথায় সেই পরিবর্তনের সভ‍্যতা? ঐ'মানুষ
গুলিই তো সমাজে রয়েছে ছড়ায়ে ছিটায়ে!
ওরা যদি নিজেরাই সুবুদ্ধির না হয় বিবেকের?
কি করে পণ‍্যকে বলবে পণ‍্য আর মানুষকে'


মানুষ! ভোগ‍্যকে ভোগ‍্য! সাগরকে সাগর!
নদীকে নদী! পদ্মাকে পদ্মা! পাহাড়কে পাহাড়!
মানে হল যার নামের ও কার্যের অবস্থান সেই
তরে জেনে ও বুঝে ঐ'নামেই ডাকতে হবে।
অন‍্যথা নহে! তবেই মানুষ জ্ঞানীতেই সভ‍্যতা পাবে।।
===***===
===***===
বাণী: অনেক সময় দেখতে পাওয়া যায়। শোলকের ছলে দুষ্টামী করে হাসতে হাসতে মানুষ নামের পশুরা মেয়ে মানুষ দেখলে একটু-আধটু মস্কাড়া করে মেয়েদের শরীরকে দুষ্ট মনে বলে থাকে ঐ'ছেরি তোর গাছে পাকা ফল কে খাবে? দিল্লিকা লাড্ডু খেলেও ফসতাতে হয়; না খেলেও ফসতাতে হয়। আসলে আল্লাহর সৃষ্টি মানুষ (নারী-পুরুষ) উভয়েই মানুষ! তাই ঐ'ধরণের উক্তি না করাই শ্রেয় ও উত্তম। যারা ঐ'রুপে উৎসাহ নিয়ে বলে থাকে। সেই সকল মানুষেরা মহা পাপ করে থাকে। যা সংশোধন হওয়া টাই শ্রেয় ও উত্তম।।