এ কি গোপনীয়তা বড় জানতে যে ইচ্ছে করে!
কেন সংকোচ জানাতে যে এতো টাই..
ভাবছো বসে বসে?
ভাব—ভঙ্গিমায় অনেক গম্ভির;
জানি না যে কত টা যেন জ্ঞানী?
কি যে ফুসফুস করছো?
কোথায় যেন তোমায় গোণ্ডগোল?
আমি তো দেখতে পাচ্ছি!
কোন প্রয়োজন আছে মানুষের গোপনীয়তার?
গোপনীয়তা তো শুধু মানুষের থাকবে..
নিজ কর্মদক্ষতা বাড়ানোর এক বিশালতা!
থাকবে কলা—কৌশলের বিরম্বনা,
হবে শুধু এক কোন অজানায়, জানার যে ইচ্ছা।


আমরা কেন করি ইচ্ছা?
প্রকাশ করি কেন জানার?
আমরা অনেকই আছি, যারা কর্মদক্ষতা,
জ্ঞানার্জনে নেই তেমন আগ্রহ,
অনেকাংশে অলসতার পরিচয় বহন করি,
যৌবনের কোন সমস্যাই সমস্যা নহে;
লজ্জায় গোপন রাখি;
সর্বনাশ করি নিজেকে!
কেন করি!
কিসের জন্য করি?
এ কি গোপনীয়তা?
এর চেয়েও লজ্জা কর কাজ করি;
যা নাকি সমাজ ও দেশ-দ্রোহিতার সামিল!
গোপনীয়তা থাকবে শুধু সেই খানেই,
যা মানুষের সন্মুখে প্রকাশিত হবার নহে;
আল্লাহর বিধানের নিয়মে রয়েছে যে নিষেধ;
আর গোপনীয়তা রক্ষা পাবে তো সেই খানেই!
যেখানে সতেজ ও স্বচ্ছতার বর্হি: প্রকাশ ঘটবে;
এক নতুন দিগন্তের দিপ্ত দিশারীর মত।


আমরা করবো জয়; যার নাই ক্ষয়!
আমরা জীবনটাকে পাহাড়ের মত করতে যে বড়;
হবো সমূদ্রের মত মানষিকতায়!
নিজেদের এগিয়ে নিতে, করতে হবে যে..
সংকল্প নামে এক পরিকল্পনার গোপনীয়তা।


তবেই তো আমরা মানব জাতি করতে পারবো জয়!
নিজেকে মানায়ে, দাঁড় করায়ে সমাজে;
করতে পারবো যে দেশ ও দশের কল্যাণে কাজ।
এ কি যে গোপনীয়তা নিজেকে হারায়ে?
গোপন কর যেখানে ইজ্জতের রয়েছে নিষেধাজ্ঞা;
বিধাতার বিধানে যা নাই হবে না সেই কিছুর গোপনীয়তা!
আজ যেখানে অন্যায় ও মিথ্যাকে;
প্রশ্রয় দিয়ে গোপন করার চেষ্টায় ভারী করছো;
যে গোপনীয়তায়।


কাল নয় পরশু যে প্রকাশিত হবে;
সেই রিজেন্ট ও সাহাব উদ্দিন হাসপাতালের..
করোনা পরীক্ষার সনদের মতন।
তাহলে কেন অপরের প্রশংসায় তা মিথ্যাটাকে প্রশ্রয়?
দু’দিন পরেই তো হবেই প্রকাশ;
ভাল হলে ভালোর আর মন্দ হলে মন্দের;
আমি লেখক একটি কথা না বললেই না!
আমাদের সমাজ ব্যবস্থা হলো আস্থা একটা গারল;
অনেক পরিবার রয়েছে; যারা সন্তান উৎপাদনে ওস্তাদ।


কোন রকমের গাঁয়ে—পাঁয়ে বড় হলেই’
কোন প্রকার অজানায় করে যদি..
কোন কর্মের আয় রোজগার,
সুযোগ যদি হয় নিয়মের আয়ের অন্য উপায়;
অপরের ক্ষতি করে হতে চায় যে ধনী!
দেখতে পাওয়া যায় যে তার কত রকমের..
আসলে কি সে ঐ মাপের?
আমরা সমাজের মানুষ যাই এগিয়ে;
পেতে যে সাহায্য সহযোগিতার,
(মসজিদ, মাদ্রাসা, এতিম—খানা ও স্কুল—কলেজ এবং কোন ক্লাব—সংঘের)
কেন করছি! তার আয়ের উৎসহ না জেনে?
নিচ্ছ যে সহযোগিতা?
যে করলো অন্যায় ভাবে আয়;
আমি শুধু আয় দিয়ে উদাহরণ দেখালাম!
রয়েছে আমাদের মাঝে অনেক অপরাধ প্রবণতা;
(একজনের জমি আরেকজন অন্যায় ভাবে ভোগ করে,
ফল—ফসল, টাকা—পঁয়সা, স্বর্ণ—লংকার,
মিথ্যা—কথার মারফতির প্যাচ, জাদু—টোনা করে,
কারো নীচু করা, কাউকে উঁচু করা,
যে করে তার নিজেরই শেষ পর্যন্ত থাকে না যোগ্যতা,
না থাকে অর্থ—বিত্ত, না থাকে সামাজিক মর্যাদা,
আমরা সকলেই সমাজের মানুষ)।


আমরা সমাজ নিলাম সামান্য সহযোগিতা;
করলাম যে গোপন তার অপরাধ!
সেও করলো তার অপরাধ যে গোপন
আমার মেয়ে—টা—ছেলে—টা কেন হবে খারাপ?
যেহেতু হয়েই গেছে,
তবে কেন সংশোধন না করে গোপনীয়তা?
আমরা হবো সাবধান!
গোপন তো হবে সেই এক আলোর পথ পাবার;
যেখানে আমরাসহ নিজ পরিবারের কেহ যাবে না..
অন্যের ক্ষতি করতে।


প্রকৃত মানুষ হওয়ার প্রতিযোগিতায়!
গড়ে তুলতে হবে যে নিজ পরিবারদিগকে।
সেখানেই তো সততার গোপনীয়তা।
মেশা যাবে না জুয়া—খোর;
সমাজের মানুষ রুপি বদ—মায়েশ দলে,
মেশা যাবে না কোন প্রকার অন্যায় কাজের;
সেখানেই তো রক্ষা একটি আদর্শ পরিবার
এবং
আদর্শ মানুষের গোপনীয়তা।
শুধুই সমাজকে একটি জায়গায় দাঁড় করানোয়:
আমরা তো মানুষ!
আমরা করবো জয়; হবে না কোন গোপনীয়তা।
তাই তো বলি এ কি গোপনীয়তা।


গোপন কোন কিছুই ভাল না;
যা করতে হবে গোপন!
আগেই প্রকাশ করতে যে হবে;
এমন কোন কাজে করি যদি না প্রকাশ;
অপ্রকাশিত রেখে ভাল মনে করে!
করলে সেই কাজ; পরে যে পস্তাতেই হবে।
পস্তাতেই হয় কি না?
কেন পস্তাতে হয়?
কেন অপরাধ গোপন করতে হবে?
কখনও কি কোন অপরাধ দীর্ঘদিন গোপন ছিল?
এক সময় কি উহার প্রকাশ ঘটেনি?
তবে কেন গোপন?
কেন এ গোপনীয়তা?
ভবিষ্যতের দূর্ঘটনার ভাবনা ভেবে;
না করা হয় যদি কাজ, তবেই ঘটবে যে বিবাদ!
ভোগ করতে হবে যে দূর্ঘটনা;
একটি ভুল মানব জীবনে এনে দিতে পারে..
বড় ধরণের ক্ষতির সম্ভাবনা!
এ জন্যই বলি আমরা করবো না কোন;
গোপনীয়তা! যা নাকি এ কি গোপনীয়তা!!


গোপনীয়তা রক্ষায় হবে;
আজ সংকল্প করবো ছাত্র হলে,
পড়া—লেখায় ভাল করার!
কর্মজীবি হলে কর্মে দক্ষতা বৃদ্ধি করার!
কি ভাবে পড়া—লেখায় ভাল করা যায়?
কর্মে কিভাবে দক্ষতা অর্জন করতে হবে?
সেই দক্ষতা অর্জনে অনেক ভাল বুদ্ধিমানই;
রক্ষা করে গোপনীয়তা!
সকল মানুষের সমান বুদ্ধি থাকলেও;
কাজে ও স্মরণে আনতে পারে না;
সে ভাল কাজে মন বসাতে যে চায় না।


কেন এতো গোপন?
আমি যা করি এই দুনিয়াতেই কেউ না কেউ তা জানে;
কেহ কখনই একা কোন গোপন বা মন্দ কাজ করতে পারে না!
দেখতে পাই আমরা এক দিন দু’জন তাদরে গোপন কাজের..
বন্ধুর মাঝে ঝগড়া হলে!
অপরাধ প্রবণতা বেড়ে গেলে!
সব গোপনই যে ফাঁস হয়ে যায়।
তাই তো আমি লেখক বলছি;
কোন কারণেরই জন্যে গোপনীয়তা থাকবে না।
গোপন শুধু থাকবে জ্ঞানের ও বুদ্ধি মত্তার পরিচয়ে।


বাণী: গুরুত্বর ও ভাল কাজে অযোগ্যের সাথে আলোচনার প্রয়োজন নেই।।