মন যে আমায় বেজায় লাগছে
অন্য মনে ভাবছে যেন
আমি একলা ভাবনাতেই; শুধুই একা
এ কি দেখা আপন সহোদর;ভাইকে যে যায় না চেনা।।


যা কিছু আপন মনে ভেবেছি জীবনে
সব কিছু করেছি নিজ পরিবার চেতনায়
বাবা থাকতেও ছিল না যে আমায় দেখ ভালের সুবিধায়
মা তো একজন মা-জননীই!


আমাকে দেখে নাই কেহ তাতে কি হয়েছে
তাই বলে কি আমি পিতারই জন্মের সন্তানদের
বিপদের সময় ফেলে দিয়েছি কি?
না দেখভাল না করেই লুঁকায়ে থেকেছি!


না কোন অবস্থাতেই থাকিনি আত্ন:গোপনে।
আমার তো কোন অবস্থাতেই দেখভাল করার কথা নহে;
দেখতে পেয়েছি ঐ সর্বনাশী সংসার বিনাশের
ধবংস তো হবে ওরাই!!


কি যে পরিবার ভয়ংকর রূপের এই বাংলার
হয় যে মানুষ তারা রূপ নেয় সততার
পদে পদে করে অপরাধ লেবাজ ধরে সাধুতার।।
যে পিতা-মাতা দেখেনি যে সন্তানকে;


দেখ ভাল করেনি কেহ পরিবারের অন্যান্য আপনজন
ধিক্কার ধিক দিয়ে হতাশ করেছে তারা
মানবিক অধিকার খর্ব করেছে যারা।
আজ পিতা নেই দুনিয়াতে;


তারই সন্তান ছোট ছোট রেখে চলে গেছেন পরপারে
রেখে যান নাই তেমন কোন ধন-সম্পদ
শুধুই রেখে গেছেন অভূক্ত ক'টি পেট।।
যাকে করে গেছেন অবহেলা।


আজ সেই সন্তানই হল তারই সন্তানের নিতে দায়িত্ব ভার
শত আঘাত আর বেদনার কষ্ট মনের উল্টো পিঠে চাপায়ে রেখে
সেই পিতারই সন্তানদের মানুষের মত মানুষ করার প্রত্যয়ে;
সংকল্প করি এই বাংলাতেই;


বাবার বিয়োগ সময়ে এক ভাই দশ শ্রেণীতে
আরেক ভাই চার শ্রেণীতে
সর্বশেষ ছোট ভাই তিন শ্রেণীতে
সকলেই করে পড়া-লেখা।


একটি বোন বিবাহিত তাও আমারই সহযোগিতায়
তাহলে জন্ম-দাতা পিতা হয়ে করেছেন কি?
মাসহ পরিবারের সদস্য ছয় ছ'টি
আমিও তখন ছাত্র পড়া-লেখার পাশা-পাশি;

নিজ ভরণ-পোষণ যোগাতে করতাম সামাণ্য মাইনের চাকুরী
নিজের চলতেই কষ্ট সাধ্য যে জায়গায়
ঐ দিকে ছয় ছ'টি পেট ও তিন জনের পড়া-লেখা!
সাথে রয়েছে আবাসন, পোশাক চিকিৎসা ও অন্যান্য’


ছিল না কোন মামা-খালা আত্নীয়ের সহযোগিতা।
শত শ্রম বিনিময়ে পণ করি একলাই
হবে আমার ভাইয়েরা মানুষের মত মানুষ!!
মাকে যেন না যেতে হয়..


প্রতিবেশির দুয়ারে এক চিমতি লবণ কর্যে
আমি ঠিকই কোন পণ  ও সততায় হই নাই পিছু।।
চেষ্টা করেছি যথা সাধ্য আজ ও চেষ্টা রয়েছে অব্যাহত;
আমাদের দেশের কর্মসংস্থানের..


হাল চাল আমাদের কম-বেশী সকলেরই জানা
তারপরও মা ও ভাইদের সইতে দেই নাই..
ছাত্র জীবনে কষ্টের খরা।
আমি কিন্তু ঠিকই করেছি বাবা জীবিত থাকতেও।


সেই বাবারই সন্তানেরা আমারই ছায়ায়..
কমবেশী আরাম আয়েশেই হয় যে মানুষ
তারপর ও তাদের অভাব ভাই কিছুই করে নাই!!
তারা নাকি একা একাই হয়েছে বড়;


সমাজের কেহই বলতে পারে না কোন দিন কি তারা..
গাঁয়ে খেটে আয় করেছে প্রতিবেশী অন্য কারও জমিনে?
হায়-রে অকৃতজ্ঞ ভাইয়েরা ও বোন আমার!!
ভাই পড়া-লেখার কথা বলাতে বড় গলায় বলে টাকা দেন


দিলাম টাকা একটু কমতি হলেই বলেন বিশৃ-ভাষাতে
যে ধন দেন তাতে কি হয় আমাদের
মা ও ওরা বাড়ীতে থাকে মস্তবড় জোট;
বোন তো তাদেরই অন্ধ ভাল লাগাতেই আটখান।


এদিকে আমার চাকুরী আছে কি না
সেটা ভাবার সময় হয় না তাদের
শুধু তাদেরই আবদার মেটালেই ভারী খুশি
কথাতে একটু ত্রুটি হলেই সকলেই গলা চেপে ধরে যে ভারী।।


মা বলতেন বড় ভাই ছোট ভাইদের..
মানুষ করলে ফেলে কি দিবে তারা?
রিক্সা চালায়ে হলেও কত বড় ভাই..
মানুষ করে ছোট ভাই-বোনদের।


আমি শুনেছি ঠিকই মায়ের কথা
কই মা আজ তোমার সেই আর্শিবাদ তুষ্ট সন্তানেরা।।
অল্প না বয়সে পড়ালেখা শেষ না করেই
নিজেরাই নিজ পছন্দ মত বিবাহ করে আজ তারা অগোঁছানো;


অন্য রকমের নিজ সংসার নিয়ে ব্যস্ত
ভাইকে খোঁজ-খবর নেওয়ার সময় পর্যন্ত তাদের নেই..
তোমারই আর্শিবাদ তুষ্ট সন্তানদের
মা আমার আয়-রোজগারের অনেক হিসেব।


আজ তোমার সেই আর্শিবাদ তুষ্ট সন্তাদের আয়ের হিসেব কোথায়?
না করেছে বাড়ীতে ঘর না করেছে বউ পালার ধন-সম্পদ
আজ মায়ের হিসেবের মুখ যে বড্ড ভার
তবে কেন কর এক সন্তানকে আঘাত করে অপর সন্তানকে আছান।।


আমার স্বপ্ন ছিল ছোট ভাইয়েরা হবে
শত কষ্টের মধ্য দিয়ে মানুষের মত মানুষ!!
হবে এক সময় আমার শত শ্রম স্বার্থক
সব আশায় বাংলা গুঁড়ে বালি।।


তারপরও আজও তাদের অপবাদের স্বীকার হতে হয় সব সময়
নেই কোনই দোষ তাদের তারাই না কি সুযোগ্য সন্তান এই বাংলার
না তারা সত্যবাদী না তারা যোগ্যবান সুশিক্ষিত
না করেছে সেই ছলনাময়ী তাদেরই জন্য..
মাকে দিয়েছে মন-প্রাণ ভরে সুখ-শান্তি।


মা তো তাদেরই দলের এক জন
আমার ভাল-মন্দ ও সুখের কথা কখনও ভাবেন নাই
যে তাদের কোন পরিবারের কেহ নহে
সেই হল তাদেরই বলির স্বীকার।


আজও মাকে শত ভাগ দেখ ভাল করতে হয়..
অবহেলিত এই সন্তানকেই।।
তারা তো যার যার মত নিজ সংসার ধর্ম নিয়ে ব্যস্ত
রোজগার করে কই একটি উপহার ও তো দেয়নি
সেই ভাইকে এখনও মা বলে তাদেরই কথা!


তারাও বলে কি দিয়েছে আমার বউ-ছেলে-মেয়েকে।।
সমাজে তারা আজ যে করলো কাজ
আমার সব আশায় দিয়ে গুঁড়ে বালি
আমি ওয়াদা বদ্ধ বিনে কথা রক্ষার্থে..


গড়ে তুলব মোরা ভাইদেরকে;
যদি নিজ ইচ্ছা থেকে হতে চাহে মানুষ!!
হবে মানুষ তারা এই সমাজে;
মানুষ করে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে অনিয়মে!


বললে কথা; কথার পিঠে কথা বলে দিয়েছে যে প্রাণে ব্যাথা
পড়ালেখার কথা বলতেই বলে বসেছো পড়ালেখা করতে লাগে টাকা!
ভাই ভাল কথার উপদেশ দিলেই..
কথা না শুনেই আঘাত করেছে বড় ভাইকে।


কোন কথা বলতেই অযুহাত দিতে টাকা ছাড়া হয় না কিছুই যে
অপর দিকে বিনা প্রয়োজনে’
সতের হাজার টাকায় টার্চ মোবাইল ফোন কিনে
সেলফি ছবি তুলে ছবি পোষ্ট করে ফেইজবুক ও মেসেঞ্জারে।


হাই-রে ভাইয়েরা আমার বড় বুদ্ধিমান
কি করলে জীবনে সঠিক সময়ে পড়া-লেখায় মন না দিয়ে;
উপযুক্ত মানুষ হওয়ার পণ না করে
বংশ মর্যাদার তোয়াক্কা না করে।।


নিজের ভুল নিজেদের যোগ্যতায় তৈরি না করে
আজও সকলেরই রোষানলের স্বীকার কর যে আমায়।
আমি নিজে কোন প্রকার মায়ার জ্বালে মানুষ না হয়েও
যেখানে তোমাদেরই অস্তিত্ব রক্ষায় ব্রত:


ভাই তারই করে আসছো অপমান!
কি যে বাংলার সন্তান; অকৃতজ্ঞ তোমরা;
এই বাংলারই সন্তান
যেখানে নিজ পরিবার বলতে এমন।


যদি কখনও দায়িত্ব আসে দেশ পরিচালনায়
রক্ষা করবে কেমনে?
দেশ স্বাধীনের পূর্বে শুনেছি সেই মীরজাফরের নাম
ভেবে ছিলাম নিপাত গেছে দেশ স্বাধীনের পর।


মুনাফেক ও বেইমানের দল
না যায়নি তোমরাই ভাই তারই প্রমাণ।।
এখনও ভাইয়েরই শ্রমে গঁড়া বসত:বাটিতে কর সববাস
করো নাই কোন কিছুই সব ভাই তো করেছো একেক করে


নিজ ধীনে ধীন তাক কোন সামাজিকতা ছাড়াই
চাল চুলো ছাড়াই বিয়ে নামক কলংকের সংসার।।
দেখবে জীবন যে কতটা কঠিন; সময়ই বলে দিবে
এই অবহেলিত ভাইয়েরই কথা পড়বে মনে।


সেই দিনটি বেশী দূরে নয়
অনুতপ্ত হবে তবে সময় আর কথা বলবে না..
এই বাংলায় ঘৃণিত হবে তোমরা,
এই বাংলা-ই-মেনে নিতে চাইবে না তোমাদের।।


ভেবে ছিলাম তোমরা হবে মানুষের মত মানুষ
আমার কষ্ট হবে স্বার্থক;
আমার পাওনাটা রবে তোমাদেরই সুখে
হবে এই দেশেরই একজন সুযোগ্য সন্তান।


স্বাক্ষর রাখবে দেশ মাতৃকার সেবায়।
কি যে হলে খেঁজুর গুঁড়ে বালি
করে অপাত্রে কন্যাদান যে আমি
বোকা বড় বোকা যে আমি।


তাই  তো আমি এই বাংলারই একজন নি:স্বার্থক
সেবক হয়ে বাঁচতে চাই সর্বকালের।।
আমাদের দেশের মায়েরা আবেগ-প্রবণ
অনেক সময় দুষ্ট-সন্তানদের মিথ্যা মন-ভুলানো ছলনার;


স্বীকারে তৃপ্ততা লাভে হন মত্ত্ব।
অপর দিকে মানুষ গড়ার কারীগড় তারাই।।
আ-হা-কি-যে-জ-টি-ল-স-মা-জ-ব্য-ব-স্থা-প-রি-বা-র!!
আবেগে হচ্ছে যে সর্বশেষ।।


**********************************
বাণী : কাউকে ঘৃণা করার পূর্বে নিজেকে জান ও নিজের কৃতকর্মের সমালোচনাই শ্রেয়।