লোকটি দেখতে চেনা লাগছে
একটু এগিয়ে যাই
কাছে যেতেই অবলোকিত হয়
গতরখালী কোমর বন্ধনীতে লুঙ্গী।।
কত দিনের অবলোকিত প্রায় অচেনা
দেহটি দেখাতে যো নাই সেই রুপ চেনা
একেবারে দেহেতে কাঠ-খুট্টার হাল
শরীর বলে কথা পাষড়ের হাঁড় যায় যে গুণা।।
অনেক দিন হয় কথা হয় নাই
জমি-জমা নিয়ে অন্যায় ভাবে
করে আসছে আদালত কেইচ কারবারী
সংসার চলে নামে মাত্র খাঁয় কোন মতে।।
তবুও অহংকার যায় নাই শরীর ও মন হতে
সেই যে ছোট্ট বেলা হতে দেখা অদ্যাবধী
পঁচাত্তর বয়সেও হয়নি পরিবর্তন স্বভাবে তার
কি যে ভয়ংকর হুমকার তার
মুখেতে বিশ্রী ভাষায় অশোভন কথা-বার্তারা।।
না করতে পেরেছে সন্তানদের মানুষ
তারা না হয়েছে যোগ্যবান
তবুও যাইনি কোন আত্নার অহংকার
এতোটাই জিদি বুঝতে পারে না ন্যায়-অন্যায়।।
দূর হতে অনেক মায়া লাগে
কাছে গেলে কঁইতে চায় না তেমন কোন কথা
যাও বা বলে ঘৃণায় ভরে
সায় দিতে চায় না যে মন।।
আমি যে তাকে ভাল জানি
করতে চাই দেখ ভাল
যত অপরাধ করেছে জীবনে
আমার মা ও আমাদের সাথে
তার পরও নেইনি কোন প্রতিশোধ।।
এরপরও কি সে হতে পেরেছে সংশোধন
মেনে নিতে পেরেছে আপন ভাই বউ ও ভাতিজীকে
অন্তরে যার মহর মেরেছে
হবে কি করে ভাল সে অন্তরে।।
বদ-স্বভাবের লোক হয় কি কখনও
কোন জনমেও ভাল
তারই প্রমাণ আমারই ছোট চাচা
মুখে করে বংশের বড়াই
ঐ দিকে কোন কারণ ছাঁড়াই দেয় নিজ ভাতিজার নামে-বে-নামে কেইচ ও বিচার।।
কি রক্ষা কবজ চাচা যে
নিজের নাই লেখা-পড়া
ভাষার নাই শ্রী
করে না কোন তেমন কাজ কর্ম
নেই তেমন কোন আয়-রোজগার
নামে আব্দুল মান্নান মিঞা।।
কি যে চাচা ভাবতেই অবাক লাগে
সহজ কথায় সহজে বুঝতেই ভেজাল লাগাতে ওস্তাদ
এরাই নাকি সমাজের গণ্যমাণ্য হয় নাকি মুরব্বি
তাই তো সমাজ আমাদের এই অবস্থা
এরই নাম নাকি বংশ এবং সমাজ ব্যবস্থা।।
************************
বাণী : না জেনে কারও সমন্ধে কোন বাক্যালাপ না করাই শ্রেয়।।