ঐ’সেই উনিশ শত ছিয়ানব্বই সনেরই ২রা মার্চ।
স্থান ফার্মগেট ঢাকার ফুটপার্কে বসে একাকী ঐ'
মনেরই ভাবনা’ একটি হতাশা হৃদয়ে কতশত
কথা জেগে ছিল নিজ ধেয়ানেরই সেই জাগ্রতে।
এই জীবনকে কিভাবে করা যাবে সফলতার
দ্বারে পৌঁচ্ছানোর রথে। তেমন কোনই উপায়
খুঁজে পাওয়াটা ছিল একদম বড়ই দ্বায়। তখনই
একটি কবিতা মাথাতে চেপে বসেই ভাবনাটি'
নিজ মনকেই বলি এখানে বসে থেকে কি চিন্তা
করছো বেঁচারা? একটি কবিতা লেখ’না। অমনি
কাগজ কলম হাতে তুলে নিয়েই কবি কবি মনে
জীবনে প্রথম লেখা কবিতা নাম ''হতে চাই আমি''।।
এরপরই লেখা হয় ২য় কবিতা ঐ’একই সনেরই
দেশের নোংরা রাজনৈতিক শিষ্ঠাচারেরই অনিয়ম
চরণে কবিতাটির নাম “দৃষ্টি”। এরপর তেমনটা
আর কবিতা লেখা হয়ে উঠছিল না ঐ'সময়টিতে।
অনলে চলে গিয়েছিল মনের মাঝে জমে থাকা
কতশত কথা-গল্প-স্বল্প, রঙ্গ-মঞ্চ, নাট্য-রুপ-
শালারই করুন দর্শাতে। জাগ্রত মনটি বলে ওহে
বোকা শোন! তুমি নাকি কবি হতে চেয়ে ছিলে
কই? লেখা-টেকা কি সবই বন্ধই করে দিলে?
সেই ভাবনাতে পূনঃরায় জাগ্রতে দুই হাজার-
উনিশ সনেরই ডিসেম্বর মাসের চীনের হুয়াং
শহরের প্রথম দেখা দেওয়া করোনার প্রার্দূভাব
ছড়িয়ে পড়ে সারা বিশ্বের মানবের প্রাণঘাতী
ভাইরাস রুপে। এমনই ভাইরাস যা নির্ণয়ে
এখন তেমন কোন গবেষণা সঠিক তথ্য দিতে
সংকোচ রয়েছেন। আমাদের দেশেও ঐ'প্রাণ
-ঘাতী করোনা নামক ভাইরাস ছোঁয়াছে রোগ!
বিস্তার লাভের ফলে জন-মানুষের কল্যাণে ও
সরকার এই ঐ'ভাইরাসের প্রকোপে রক্ষার্থে
দুই হাজার বিশ সনের ছাব্বিশ মার্চ বন্ধ করেন
সকল কল-কারখানা, অফিস-আদালত, যাত্রী
যান-বাহন, দোকান-পাট, স্কুল-কলেজ, খোলা
হাট-বাজার হবে রেসট্যাক্টটেড। এই মহামারী
ভাইরাসের একমাত্র প্রতিষেধক হল মাক্স আর
মাক্স। এমন সময়েই ভেবে নিলাম সময় মনে
হয় আসছে ফুরিয়ে। আমরা যে-পাপী-দাপী
মানুষ। আল্লাহ্ কখন নিয়ে যান বলা আর যায়!
অমন করেই মাথাতে ভাবনা রেখেই শুরু করি
কবিতা লেখা। অদ্যবধি চলমানে.....
আ-হা-ঐ-যে-এ-কে-এ-কে-লি-খ-তে-লি-খ
-তে-প্র-থ-ম-সে-ঞ্চু-রী-দ্বি-তী-য়-সে-ঞ্চু-রী
-তৃ-তী-য়-সে-ঞ্চু-রী-এ-র-ই-প-র-আ-জ-চ-
তু-র্থ-সে-ঞ্চু-রী-পূ-র্ণ্য-হ-ল।।
কত জনের কতকথা কবিতা লেখাতে শুনেছি
অনেকেরই এই প্রাণেতে ক্ষত-বিক্ষতের মতন,
তাতে কি হয়েছে? অপর দিকে বলেছেন, কত
কবিকে দেখেছি এই জীবনটিতে কবিতা লিখে
অভুক্ত জীবন-যাপন করে আসছেন। সেই যে
নামি-দামী আজকের কবি ও সাহিত্যিকগণের
ইতিহাস জীবনীতে সেই রকমেরই বার্তা বহে।
আমি বলি কি আরে শোন বোকা! তোমরা তো
আজ ঐ'পাগল ও অভুক্তেরই লেখা কবিতা ও
উপন্যাস পড়েই জ্ঞানার্জন করছো এই জগতে।
এখন বল কে পাগল? আর কে সুস্থ্য? কে না
রহে এই ভবতরে অভুক্ত? আর কে নহে সেই
মনেটিতে অভাবী? অভাব ছাড়া কেহ কি রয়?
দেখাও না একটি লোককে কে অভাবী নহে?
প্রতিদিন ছুটি আমরা অভাবেরই তারণাতেই।
একজন কৃষক ভাবে একজন প্যান্ট পরিহিত
ঐ'ভদ্র-লোক মননে। আহারে আমি যদি আজ
ওর মত শিক্ষিত হতাম! তবে ভাল চাকুরী
করতে পারতাম। এই ভাবেই প্রতিটি মানুষ
কোন না কোন অপূর্ণ্যতা নিয়ে এই দুনিয়া
ছেড়ে বিদায় নিয়ে চলে যাচ্ছেন বটে। এই
দুনিয়াতে যে সকল নামকরা বড় মন্যুষীরা
মানবেরই কল্যাণে তারা নিবেদিত ছিলেন।
তাদেরকে এই সমাজের মানুষ প্রথমে কোন
অবস্থাতেই সহজে মেনে নিতে পারে নাই।
লেখক পাগল না হলেও সমাজের মানুষসহ
পরিবারের মানুষেরাও ভুল বুঝে ধিক্কারের
পর ধিক্কার দিয়ে মনোযোগ বিনষ্ট করেছে।
অনেক শিক্ষিত জনেরাও বলে থাকে আরে
কি লিখছো? এটা কি লেখা হল? কবিতা
লেখা কি সহজ? আরে ভাই রাখতো চলো
আশি ঘরে অমক জায়গা হতে। দেখবে কি
যে ভালো লাগবে! বউ বলবে তুমি তো ঐ'
যে এসেছো। আমাকে দিলে না সময় একটু!
কেনই বা এতো সময় দাও’ কবিতা লেখায়?
অনেক বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে লেখা চলমান
রেখেই আজ সম্পূর্ণ হল চারশত কবিতার।
চারটি সেঞ্চুরীর জন্ম। সেই তরে করা হল
অবগত প্রিয় পাঠক-পাঠিকা দিগকে একই
কবিতারই শেষাংশে কবিতার সারমর্ম স্বরুপ
রয়েছে পূর্ব জ্ঞান লব্দের বাণী চিরন্তনী আরো
চারশতটি। ঐ'বারতাতে আরো চারটি সেঞ্চুরী!
যা মানব কল্যাণেই রচিত মানবতার দ্বীক্ষাতে।
===***===
===***===
বাণী: যে যাই বলুক না কেন? সঠিক ও উত্তম কাজে বাধা আসবেই আসবে। তাই বলে একজন ব্যক্তির উত্তম প্রতিভা কাহারো ধিক্কারের প্রতি রাগাম্বিত হয়ে ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে বসে থাকলে চলবে না। বরং নিজ উদ্যোগেই এগিয়ে যেতে হবে। একদিন সফলতা যখন আসবে দেখতে পাওয়া যাবে, যারা ঐ’সকল ভালো কাজে বাধা দিয়েছিল। তারাই তখন বাহ্ বা দিয়ে প্রশংসা করে লোক-সমাজে প্রচার করে বেড়াচ্ছে। তখনই স্বার্থকতা লাভে ধন্য হয়ে হৃদয় ও আত্মা খুঁশির জোয়ারে ভেসে মন ও প্রাণআনন্দে হাসতে থাকবে। আর ধীক্কারকারীরা উপরে খুঁশি ভাব পোষণ করলেও ভিতরে ভিতরে হিংসার রোষানলে পুড়তে থাকবে। তাতে উদ্ভাসিতের কিছুই যায় আসবে না।