কতশত পথ হেঁটেছি আমরা সড়ক পথে
নদী পথে হেঁটেছি ক'জনা রয়েছি আমরা?
সুদীর্ঘ সুবিশাল পদ্মা নদীর পানি পথের
অবসান ঘটিয়ে গড়ে উঠেছে সুবিন্যাসে..


ইট-পাথরের-লোহা-সিমেন্ট-কনক্রিট-
স্প‌্যান-শক্ত-মজবুত-অত্যাধুনিক-যন্ত্রের
ব্যবহার সম্বলিত তৈরি হাজারো রকমের
কথা, রাজনৈতিক অপব্যাখ্যা বেড়াজ্বাল।


সবই যেন আজিকের মহা-উৎসব-উল্লাস
দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের বহুদিনের
স্বপ্ন পূরণ, দেশ স্বাধীনতার পরে হয়নি
তেমন কোনই উন্নয়ন বিশেষ করে বৃহত্তর


ফরিদপুর অঞ্চল। দেশের মানুষ দেশের
কথা ভাবেনি, ভেবেছে নিজস্ব আখের এ'
আমি বড় পালোয়ান! যার জন্যে দেশের
স্বাধীনতার সুখের সার্বভৌমত্বের অস্তিত্ব।


পেলাম লাল-সবুজ চিরস্থায়ী একটি পতাকা।
সেই পতাকার গর্বিত জাতি হয় প্রকৃত জনকে
প্রায় অস্বীকার। এই দেশটি হতো না স্বাধীন
কখনও বাংলায় জন্ম! না হতো যদি শেখ--


মুজিবুর রহমানের মতন বাংলার সুসন্তান
তেজসক্রিয়, জীবনের মায়ার অকূতভয়ের
বলিষ্ঠ কণ্ঠ-স্বরের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র রাজা!
তিনি দেখে ছিলের বৃট্রিশ শাসন, দেখেছেন..


পূর্ব পাকিস্তানিদের শোষণ-শাসন-নির্যাতন
সকল নিপীড়নের নীল-চাষ-মা-বোন ইজ্জত।
করেছিল ছিনিবিনি; নয়তো বাংলা ও বাঙ্গালী।
সবই পূর্ব পাকিস্তানীদের আবাস আরাম ঘর।


আর শৈর্য করা যায় না বলে গর্জে উঠলেন
তৎকালীন নামটি শেখ মুজিবুর রহমান এ'
বাংলার আপামোর সকল জনতাকে দিলেন
মুক্তির, মৌলিক অধিকার, নিরাপত্তা, খাদ্য,


বাসস্থান, কর্মসংস্থান, নিজস্ব রাষ্ট্র গঠন ডাক।
আর নয় পরাধীনতা! যার যা আছে তাই নিয়ে
প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে; এই দেশ পুর্ব
পাকিস্তানিদের মত নর-পিষাসদের হাত হতে'


রক্ষা করতে হবে। আমরা বাঙ্গালী রক্ত যখন
দিয়েছি আরো দিব' তবু বাংলা শক্র মুক্ত করে
ছাড়বো ইনশাল্লাহ॥ ১৯৭১ সন সর্বশেষ বিজয়
লাভে ধন্য করেন এই বাংলার জনগণকে কে..


সেই ব্যক্তি? তিনি হলেন বাংলা জনপদ সুউচ্চ
মহা নেতা! এমন অকূত-ভয়ের নেতা দ্বিতীয়
আর কেহ জন্ম নিবেন কি না একমাত্র বিধাতাই
জানেন! সেই হলেন আজিকের বঙ্গ বন্ধু শেখ
মুজিবুর রহমান, জাতির জনক খ্যাতাবে ভূষিত।


তাঁর অবদান অনস্বীকার্য এই বাংলার তাই তো
স্মরণ করছি মন প্রাণ আত্মা হতে সুন্দর বাংলা'
স্বাধীন সার্বভৌমত্ব নিশানা লাল-সবুজ পতাকা
চিরস্থায়ী বন্দবস্ত স্বীকৃতি চরণ স্বাধীন বাঙ্গালী।


অসাধারণ একটি মানচিত্রের বিশ্বের বুকে স্থান'
সত্য অবাক আপ্লুত হৃদয় মাঝে জাগে আমরা!
স্বাধীন দেশের লাল-সবুজ-পতাকা বহর মানুষ
তাই তো আজিকের পদ্মা-মেঘনা-যমুনা নদীর..


বুকে চলেছে শতশত হাজার হাজার পালতোলা
জাহার, নৌকা, মাঝিমল্লার সমাহার, স্বপ্নভাবনা।
নদীর ভরা যৌবনে নৌকায় যাত্রা পথে তুফানে
প্রাণ গেছে কতশত মানুষের আজও চলমান সেই।


সেই পদ্মানদীর বুকে উঠবে সড়ক চলাচল ব্রীজ
অকল্পনীয় কাল্পনিক চিন্তা আজ বাস্তব রূপের
ধীর মনোবলে উদীয়মান সুন্দর কারুকার্য পূর্ণে
নির্মিত মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা


দেশ-রত্নের কঠোর প্রত্যয়ে মননশীল দীপ্তমানতা
সুউচ্চ মার্গেয় চেতনাব্রত শত বাঁধা উৎরিয়ে আজ
সফলতা দ্বার উন্মোচন করলেন প্রত্যাশিত সেতুর
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান! শুভউদ্বোধন! বাংলার আকাশ।


হে আল্লাহ্ রক্ষা করিও! উন্নয়ন দিও দক্ষিণ-পশ্চিম
অঞ্চলের সকল আপামোর জনতাকে, কল্যাণ দিও!
স্বপ্ন আজ বাস্তবায়ন হল; দূর হল দূষ্মমন দৌরাত্মা
জাগ্রত হল সকলের স্বপ্নের পদ্মাসেতুর আশা পূরণ।


আজ মানুষ হাটবে পদ্মার উপর দিয়ে স্বপ্ন পূরণে
রইবে এক নতুন দিগন্তের মাইল ফলক সুউচ্চমান।
এমন দেশই চেয়েছিল বাংলার জনতা যেন রয়প্রাণ
জননেত্রী শেখ হাসিনা! জয় বাংলা! বাংলার জয়।
××××××××××××××××××××××××
বাণী: একটি দেশের স্বাধীনতা খুবই গুরুত্ব পূর্ণ। অর্জন যেমন কঠিন! ধরে রাখাও তার চেয়ে বেশি কঠিন! স্বাধীনতা অর্জন ছাড়া, পরাধীনতায় কখনও পরধীন রাষ্ট্রের জনগণ কোন অবস্থাতেই নিজস্ব উন্নয়নের সাধ গ্রহণ করতে পারেন না। সে যত বড়ই নেতা হউন না কেন।।