গত দিনের চেয়ে শরীরটা আজ একটু ভাল
তেমনটা নয় তো কোনই পাচ্ছি ঠাঁই মনটি।
ভুলে ভরা জীবন আমার করিনি কখনও
অন্যায় অপরাধ। তারপরও কেন শাস্তি?


কেন এতো শাস্তি বলে দাও না বিধাতা?
দাও না আমাকে বলে, কি করলে সত্যই
চলতে পারবো তোমারই প্রিয় বান্দা হয়ে?
তেমন করেই দাও জ্ঞান আমায় আস্তাপ্রতি।


জীবন চলায় জগত সংসার হয় যেন বেশ
হই তোমারই রহমত পেয়ে কল্যাণকামী।
ভাল লাগা না জীবন চলার পথে সামান্য
এই দু'দিনের দুনিয়ার বুকে চলতে ধান্দায়।


এতোটা বয়স হয়েছে; আজ পর্যন্ত দেখিনা
কোনই ভাল মানুষের সন্ধ্যান এই জগতে।
এতো কাঁঠ-খড় পুড়ানো জীবন সবই জানো
হে আল্লাহ্ তুমি! তবে কেন পাই অপবাদ?


আমি তো কখনও কোন মানুষকে অসম্মান  
মানুষ কেন করে আমাকে সেইটাই অজানা।
আমি জানতে চাই কেন মানুষ করে এমনটা
আমার সাথে খেলা, বানাতে চায় ওদেরমত?


ভেবে দেখি ওরা বড় অপদার্থ দুষ্টেরই সেরা
মানতে চায় না কোনই শৃঙ্খলা জীবন যাপন।
ওরা ধর্মের কথা বলে মুখে, মানে না ধর্মজ্ঞান
পশুচল মনটিতে হয়ে থাকে হারামী ভাবনার।


তাই তো ওদের দলে নিতেই করে পাঁয়তারা
ওরা শয়তান নয় শুধু বড়ই আপদ মস্তিস্কের।
সোঁজা কথা বিবেক এমন নিজের ক্ষতি করে
অপরের সর্বনাশ ভাবনা মন ভার জীবনটিতে।


আজ যেন জন করছে খেলা মানুষকে নিয়েই
মানুষ হচ্ছে পুতুল খেলার সাথী মানুষ সর্বত্র।
সবই দেখলাম জানলাম শুনলাম বুঝলাম কই
পেলাম না মানুষ; তারপরও চলা মানুষ সাথে।


এই সমস্যা সমাধা সম্ভব নয় আমারই হতে
আমি জেনে গেছি মানুষ কেমন,হবে চলতে;
ঐ;সকল ধান্দাবাজ মানুষরূপ সকল জনাতে
সেই তো নিজকে সুন্দর জীবন প্রত্যাশাচল।


চাওয়া-পাওয়া হে আল্লাহ্ জ্ঞানদাও আমায়
একমাত্র তোমারই রহমতের ভান্ডার হতে।
যে ক'টি দতিন রাখবে দুনিয়াতে ভাল রেখ
সুন্দর মন;সুন্দর কর্ম; পরিচয় ধর্মজ্ঞানের।


আজ একটু ভাল লাগছে তাই লিখা কাব্যটি
অনন্য ভাবনার স্বার্থক মানব জীবন চেতনা।
এসো মানুষ এসো করি সঠিক পথ সন্ধ্যান
চলি এক সাথে দেখবো জগৎ খানা আপনে।
×××××××××××××××××××××××××××××
বাণী: একটি মানুষ তখনই সভ্যতা পায়, যখন সে নিজেকে চিনতে পারে। তার বাহিরে মৌখিক কথায় কখনও প্রকৃত জ্ঞান অর্জন হতে পারে না। মানুষ তখনই সঠিক পথের সন্ধ্যা পেতে পারে, যখন সে নিজ হতে সঠিকটি উপলব্দি করতে পারবে। আর সেই মতে নিজকে গড়ে তুলতে পারবে। তবেই মানুষ প্রকৃত দিনের নাগল পাবে। অন্যথায় মানুষ অলিক জীবন চেতনায় সর্বনাশ জীবন-যাপন করবে। যা মানুষ হিসেবে কাম্য নয়।