যে দিন আকাশটা হয় মেঘলা!
তুমি কি দেখেছো সেই দিনটি?
কিভাবে মেঘ আকাশের বুকে করে বিচরণ?
কেন করে; কিসের জন্য করে?


ভেবে ছিলে কি কখনও?
না কি শুধু মেঘের গর্জন শুনেই আতংঙ্কিত হয়ে;
আরে আজ যে কি হবে?
ঘর-বাড়ী না ছাড়ি! কোন কিছুই নাহি ভেবে;


এসো না বৃষ্টি আসার গল্প করি!
আজ বড় সংশ্বয়; ঘরের চালে যে পানি পড়বে;
ঘরেও যে চাল নাই, কাজে যেতে হবে যে!
কি করি কোন উপায় অন্ত: না পেয়ে;


আরো যে চিন্তা আসে মনে,
সংসারের অন্য নাই যে ঘরে!
কি করি? আকাশে যে মেঘ;
করি কাজ দিন মজুরের;


এক দিন না গেলে কাজে,
মুখে হাত যে যাবে না যে!
সংসার যে এক জটিল জায়গা!
মানতে যে চায় না কোন ওজু হাতের তোয়াক্কা;


আমি তো এক পরিবার ভূক্ত দায়িত্ববান কর্তা।
আজ আকাশ যে মেঘে ভারী, এখনই আসবে মেঘ;
বাহিরে মন চায় না যেতে; কি যে বৃষ্টি এলো!
একা—কার হয়ে যে গেলো বৃষ্টি’র বারিতে..


নদী-নালা, খাল-বিল, পুকুর-ডোবা।
ঘরে যে থাকবো তাও তো যে যো নাইরে;
বৃষ্টি’র বারি যে পড়ে ঘরে!
বৃষ্টির বারি কেন পড়ে ঘরে?


কিসের জন্য পড়ে?
মানুষ বসবাস করেই তো ঘরে;
সেই ঘরে যদি পড়ে বারি তাহলে..
রাত্রে কিভাবে যাপন হবে মানুষের?


মেঘের যেমন যৌবনের জোয়ার আসে;
ডাক যে দেয় বারি বর্ষণের!
অনুরুপ ভাবে যে ডাক দেয়;
যৌবনে মানুষের, যৌবন জোয়ার একবার আসে রে;


মেঘের যৌবন জোয়ার আসলে,
যেমন বারী বর্ষণ করে ভূমিতে!
ভূমিকে দিয়ে যায় যে উর্বরতা;
দেয় নতুন করে ফসল ফলাবার এক সম্ভাবনা!


মেঘ যদি মানুষের কল্যাণে রেখে যায় অবদান;
মানুষ কেন মেঘ দেখে ঘরে বসে থেকে হবে কর্মক্ষম!
তাহলে জীবনে দেখতে পাবে যে অভাব—অনাটন?
তাই তো বলি করিস নে তোরা ভয় দেখে মেঘ!


মেঘ যেমন করবে কাজ আপন গতিতে;
তোমাদের জায়গাতেও কাজ করবে;
হবে স্বাবলম্বি পাবে সচ্ছলতা;
মেনে আসবে না সহজেই অভাব ও দু:খ-দূর-র্দশা।


ছাত্র যাবে স্কুলে, চাকুরী জীবি যাবে কর্মস্থলে,
কৃষক যাবে মাঠে (ক্ষেত-খামারে),
মৎস্যজীবি যাবে মাছ স্বীকারে!
কেহ থাকবে না ঘরে,


সকলেই যার যার প্রয়োজনে যাবে যে..
মেঘ দেখে যারা করেছে ভয়;
তাদের জন্য কি মেঘ করেছে কোন ভাবনা?
আকাশে মেঘ; বড়ই চিন্তা মা সন্তান কে নিয়ে;


আল্লাহর নিকট ফরিয়াদ করে..
রক্ষা কর  ওহে আল্লাহ্ আমার সন্তানকে।
আল্লাহ্ চাহে তো সবই করতে পারেন;
যা তিনি ইচ্ছা করেন।


তাই তো বলি মেঘ দেখে তোরা করিস না ভয়!
মেঘ যে আমাদেরই পরিবেশের আপন জন;
তাই তো বলি প্রত্যেকে আমরা..
পরের তরে; আমরাও প্রত্যেকের তরে।


বৃষ্টি’র রিমঝিম শব্দ যেমন আমাদের সু-রেলা শিখায়;
কোন কল্প রাজ্যের কল্প পরীর ভাবনা জগতের..
এক যে রাজ্য তৈরৗ করে দেয় মনে;
অপর দিকে এনে দেয় সবুজের সমারোহের ..


দেয় গাছে সবুজ পাতা, দিতে থাকে ফল-মূল যে তরুলতায়।
তেমনি আমরা মানুষরা কেন দিতে পারবো না!
নিজে তথা সমাজকে উন্নয়নের ধারা-বাহিকতা?
মানায়ে নিতে হবে যে সব কিছুর সাথে;


সকল প্রতিকূলতার সাথে প্রতিযোগিতা করে।
তবেই তো জয়ী হবে মেঘ আকাশের সাথে।


               =*****=


বাণী : নারী ও পুরুষের বন্ধুত্ব হতে পারে তবে পবিত্রতা রক্ষায় কষ্ট সাধ্য। যারন্যায় দূরত্ব বজায় রাখা উভয়েরই জন্য উত্তম!।!