আমার পিতা ছিলেন একজন
সাদামাঠা সরকারী কর্মকর্তা
তাঁর সাথে তেমনটা ছিল না
হরহামেশাতে গভীর আলাপ-চারিতা।
মায়া মমতাতে বেশ ছিলেন
কর্মে থাকতেন ব্যস্ত!
সন্তানদের পড়া লেখাতে
তিনা'র মনটা ছিলেন বেজায় খুশি।
রক্ষার্থে ছিলেন তিনি সোচ্ছার পরিবারে
তিনি যে শ্রেষ্ঠ পিতা' উনি গুণিজন!
ভালোবাসী পিতাকে একান্তই আপনে
নেই কোনই তুলনা পিতার বিকল্পের।
পিতা জন্মদাতা তিনিই যে নীড়
সন্তান বলে দীপ্তমানের রয় যে সেই নীড়ে।
পিতা সাথে হয় না কোন তুলনা এধরা'তে
পিতা হল সন্তানের ভিত্তি পবিত্র ও নিরাপদ ঠাঁই!
একমাত্র আপন ঠিকানার আশ্রয় স্থলেরই বক্ষ।
তাতেই ঐ ঠিকানাতে পেয়ে আশ্রয়! ওহে;
সন্তানেরা হতে হবে মানুষ! সুশিক্ষার জন'
ধর্ম শিক্ষার নৈতিকতার, আদর্শের, সততার,
সেবার, পরপোকারের, সৎ সঙ্গের ও রুচির।
সেই তরে পিতার আদর্শের হয় না তুলনা
সন্তান হতে অন্য কোন মানুষের সাথে।।
পিতার কষ্ট লাঘবে রইবো সকলেই এক'
অভিন্নের চমৎকারের অপূর্বের সেই মন।
পিতা তার সমস্ত সর্বস্ব সহায় সম্বল দিয়ে
উৎসর্গিত মনে সন্তানকে মানুষ করতেই দেন
যে নিজকে বিলায়ে। যার তুলনা হয় না কোন
কিছুরই সাথে। সে যে এক পরম অনুভূতির।
আজ তিনি নেই; চলে গেছেন পরপারেতে
গত দুই হাজার এক সনের ছাব্বিশ মার্চ' রাত
আটটা চল্লিশ; নিজ গ্রামের বাড়ি পরানপুরের
খলিলপুর পোষ্ট অফিসের কোতয়ালী থানাধীন
ফরিদপুর জেলা সদর হতে। প্রিয় পিতার সেবার
সুযোগ হয়ে ছিল ঐ'সময়ে পাশে থেকে সৌভাগ্যের।
আল্লাহ যেন আমার পিতা জানকে নসিব
করেন বেহেস্ত; সেই প্রেরণাতে রই যেন সব
সময় সহমতে একান্তই আপন জানাতেই!
অবাধ্য হই না যেন কোনই সন্তান পিতামহ হতে।।
@@@@@@@@@@@@@@@@@@@
উৎসর্গিত:এই কবিতাটি আমার প্রিয় পিতার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনায় উৎসর্গিত করা হল। সকল পাঠক ও সুভানুধায়ীগণকে দোয়া করে তাঁর বিদেহী আত্মার প্রতি শান্তি ও বেহেস্ত কামনায় আবেদন রাখছি। আমিন।
===×××===
===×××===
বাণী: সন্তান পিতা-মাতার ফুল ও পরিবারের আলোকিত আলো এবং আনন্দের বিনোদনের অপূর্ব সুখ-শান্তির তৃপ্ত মনোরঞ্জনের একছত্র ভালোবাসার স্পর্শতার দীপ্তমানের উদ্ভাসিতের চমৎকার প্রেরণা যোগানো বৈধ পরিবার-পরিজন গঠনের অনন্য স্থান পিতা-মাতামহ নীড়ের বন্ধন। সেই প্রেরণাতে হয় না তুলনা অন্য কোন আপন বলতে জানা কোন মানুষেরই সাথে। পিতা সে যে পিতাই! তিনি যে জন্মদাতা।