শিশুকাল ছিল অনেক চেতনা ভরা মনটি
ভাষা কাকে বলে, কোথায় জন্ম ভাষার?
সেই কথাটি যারাও ছিল পরিবার তারাও
কি জানতো ভাষা কাকে বলে বোঝানোর?


এই দেশেরই সন্তান আমরা' ক'টি মাতা-
বাবা, চাচা-চাচী, খালা-মামা, ফুফু-ফুফা,
ভাই-বোন, প্রতিবেশী-মহল্লা-সমাজ সত্যই
বলি দেখি এ'সমাজের মানুষ সকল জানি?


কতকথা বলি সকাল-সন্ধ্যা-রাত্রি-দ্বি'লোক
পরিবারও বলে পরিবারিক ভাষা মায়ে যা
কয় সেই ভাষা! কখনও মা যা বলেন তা
শেখেন না। এই ভাবেই হেরো আয় হরো-


যা, কহেনে গেছিলি, কূলে-ঠিলে, চুলা-চুলে
গেছিলি নাকি, যাবানে, তফন, অঞ্চল ভেদে
এই যে ভাষার সমাবেশ। তা বেশ তো আসল
কথা ভাষা হল দু'টি একটি সাধুভাষা আরেকটি


চলিত ভাষা। সাধুভাষার রূপ; চলিয়া, বলিয়া,
যাইয়া, আসিয়া, গিয়াছিলাম, আসিয়াছি শব্দের।
চলতি ভাষাররূপ; চল, চলি, যাই, আসি, আসছি
খাইছি, পাইছি, যাবো, চলা, চলছি শব্দ সম্ভারের।


যতই মানুষ শিক্ষিত হই না কেন; শেষ পরিনতি
প্রকৃতই শিক্ষার মানে চলছি কি? না চলছি, না!
অবনতি দেখা শিক্ষা ব্যবস্থায় এমন সব গুণমান
হাইরে মানুষ আমরা, বেশ গুণিজন-বিজ্ঞ-অভিজ্ঞ।


তাই তো আমি কর্ম করি খাই চলতে ভাবনা মন
কোন গড়ি-মসি নয় ভাই-বোন সকল একছত্রতা!
যদি কাউকে বলি আপনি সঠিক ও সত্য বলেন
ঐ'লোক ধেয়ে বলেন আমি তোর থেকে কমবুঝি?


তুই আমাকে বলার কেডারে বেটা? রাখ তোর
ভাষা-ভূষা আদর্শের কথা। ঐ'দিকে লোকটি তো
বেশ শিক্ষিত পুথিগত বিদ্যারও। সেই লোকেরও এই
ধরণ ভাষাজ্ঞান কথা। আর অল্প শিক্ষিত তো সেই!
×××××××××××××××××××××××××××××××××
বাণী: ভাষা হল গঠন মুলক এক অনন্য সুন্দর কথামালা। মানুষ যে ভাষাতেই কথা বলুক না কেন, সেই ভাষা তার মাতৃভাষা। আর মাতৃভাষার প্রতি মহত্ত্ব রেখে পুথিগত ভাষার শৃঙ্খলায় চলমান জ্ঞান অর্জন করত: স্বার্থক ও গঠন মুলক কথা-বার্তা বলার প্রচলন বজায় রাখা একটি দেশের ঐ সকল মানুষের জন্যে খুবই অনস্বীকার্য। - কবি জাকির হোসেন বিপ্লব।