ওরে আধা কপালের চান্দু ভাই
কর্ম কর যেথায় কর না ভাই!
আয় রোজগারে ব্যস্ত যেথাতে
ভারী মনে ঐ বুঝি করছি বসবাস!!
বড় বড় সুউচ্চ দালান কুঁঠাতে!
লাগে ভারী দেখতে বেঁজায় দু'টি চোখেতে;
আমায় যদি থাকতো একটি বাড়ি!
সামর্থের অর্থ অভাবে কম করে হলেও ফ্ল্যাট।।
আহা! কতটাই যেন লাগতো ভালো'
লোক মুখে সমালোচনাতে রইতাম আমিও!
সেই চেতনাতে চাকুরী আমার বেসরকারী
বেতন যাহাই পাই! মন যে আমায় ভারী লাগে।
কবে হবে ঢাকার শহর বলে কথা একটি ফ্ল্যাট!
থাকব শহর তলিতে ঢাকার শহর রাজধানী তাই।
ঐ'রুপ চেতনাতে মনোভাবে এগিয়ে চলাতে
সৎ পথের পথিকের তরে সঠিক আয়ে হয় কি'
সংসার খরচ শেষে জমানো টাকাতে ক্রয় ফ্ল্যাট?
কি করি ভেবে না পাই কূল সেই প্রেরণাতে রয়ে
ব্যাংক লোনের সরনাপণ্যে কত কাঁঠ খড়ি পুরায়ে
ক্রয় হল পার্কিংসহ বারশত চল্লিশ বর্গফুটের'
একটি ফ্ল্যাট। মাস বছর যেতে থাকে ব্যাংকের
লোনের আসল কমে না শুধুই লভ্যাংশের অংশই
শেষ হতে চায় না তারপর আবার সার্ভিস চার্জ!
ত্রিশ লক্ষ্য টাকার উদ্ধে থাকলে লোন! দিতে হবে'
না কি বাংলাদেশ ব্যাংকের কি সেই নিয়মের
তিন হাজার টাকা বাৎসরিক চার্জ আরও কত
শত হিডেন ফিডেন যোগতালের হিসেবের এস
এমএস এক্সেস ওভার ডিউটির চার্জ সমূহ বিল।
হায়রে কপাল মাথাতে হাত কপালে থাপ্প কি যে
সর্ব নাশার ব্যাংক লোনে ফ্ল্যাট বাড়ি ক্রয়ের মন
ব্যাংকের লোন সেকশনের কর্মরত কর্মচারীরা
দেওয়ার সময় লোন কত কথাই না বলে থাকে।
এ'সুবিধা সে' সুবিধা আরও বলেন পাবেন কত
কি? আসলেই প্রকৃত পক্ষে বদমাহিশের হাড্ডি
ক্লাইন্ড পটানোর ওস্তাদের ওস্তাদ! একবার লোন
গলেতে গছাতে পারলে আর থাকে না খোঁজ।
ঐ'দিকে বেসরকারী চাকুরী কখন যে যায় যায়!
ভাবনাতে মাথাটা থাকে বেজায় সরে গরমের'ঐ
প্রতিটি মাস শেষে বেতন হতে লোন পরিশোধে!
সংসার খরচ চুকায়ে শেষে দুটি টাকাও রয় কি?
একই সাথে পিয়নও কেনে ফ্ল্যাট সে করেছে
ইন্ট্রোডিওয়র দ্বারা ভিতরে ওয়েল ডেকোরেশন
আমার বাসাতে এসে বলে কয় টাকার মালিক
হয়েছেন নাই তো কিছুই শুধুই ফ্ল্যাট খানা কই
ডেকোরেশন? ভাবতে পারেন পিয়নের বাহাদুরী।
ভারী মজার ঘটনা! হারাম আয়ে হতেই পারে
বড় বড় কথা। এবার বলেন একজন পিয়ন এই
দেশে কত টাকা আয় করেন? তা তো সকলেরই
জানা; আর পড়া-লেখা কতটুকু আছে সেই টা
নয় নয়ছয়! কি আছে আর বলার। যাকে তিনি
বললেন তাঁর পজিশন আর বেতনের দশগুনের
সমানও ঐ'পিয়ন বেতন পান না। তারই হল ঐ'
রুপের কথা। আবার বলেন কোন লোন নাই।
চলেন দাম্ভিকথাতেই কি চালচল ভাবতে চৈতন্য
হতে থাকে গরম। আর কি যে করার। এই হল
আমাদের সমাজ ব্যবস্থার হাল চাল। সেই তরে
বলি ফুঁটানী দেখায়ে জীবনের বারটা বাজানোতে'
কি লাভ আছে? বিনা কারণে অর্থের সর্বনাশ করে
পরিনতিতে হায় হায় ডেকে এনে চলাতে মন কষ্ট!
সেই তরে রয়ে সয়ে কোন ব্যাংক লোন না নিয়েই
একটু একটু করে টাকা-পঁয়সা জমি করলে ক্রয় ফ্লাট'
সেটাই হবে পবিত্র মনের প্রশান্তির অনাবিল দুয়ার।।
===×××===
===×××===
বাণী: কাঁড়ি-কাঁড়ি লোনের বোঝা মাথাতে নিয়ে দামী-গাড়ি-বাড়ি বহরে ও সাঁজে চলায় দাম্ভিকতাতে না চলে সাধারণ জীবন যাপন করাই শ্রেয় ও বুদ্ধিমানের কাজ। আর সেই প্রকৃত বুদ্ধিমান যার আয়ের পিছনে কোন প্রকার লোন নাই।