ইসলাম ধর্ম গ্রহন্থ কভূ বলে নাই!
তোমার পকেটে অর্থ—কড়ি নাই;
কর প্রথম বিবাহই!
ধর্ম সব সময়ই মানুষের পক্ষে যে মঙ্গল কামনায়;


তাই তো আদেশ রয়েছে..
সংসার ধর্মের চেয়ে বড় ধর্ম যে নাই দ্বিতীয় আর;
সংসারের জোঁয়াল কাঁধে নেওয়ার পূর্বেই..
গুছায়ে নাও না নিজেকে!


ছেলেরা শিখবে তার বৈধ আয়ের পথ;
হবে কর্মঠ, করবে আয়—উপার্জন!
নিজেকে করবে স্বাবলম্বী;
আর মেয়েরা শিখবে তাদের যোগ্যতার বলে..
সংসার ধর্ম নামের সফল সাঁজানো এক মানষিকতা।


যে সকল ছেলেরা নিজের ভবিষ্যৎ না জেনে;
সময়ের কাজ সময়ে না করে,
অসময়ে যদি ইচ্ছা জাগাতে চায়, সংসার বাঁধার স্বপ্ন!
তাহলে যে জীবন সংসার হবে না মধুময়।


এরই মাঝে যেখানে হাদিসে স্পষ্টই বলা রয়েছে!
অর্থ—কড়ি (ধন—সম্পদ) জমা না থাকলে;
সঙ্গিনী তৈরীকে যেখানে না বলা হয়েছে;
সেই জায়গায় একটি বেকার ছেলে..
কি করে করতে চায় বিবাহ?


দেয় যে কি ভাবে পিতা—মাতা;
ঐ সমস্ত ছেলে—মেয়েকে বিবাহ—শাদী?
যৌবন হেফাযতের ন্যায় এসেছে হাদিসে সংযমিতা!
তবুও করোনা বিবাহ্ শাদী যে,
সংসার ধর্ম এ যে এক কঠিন জগৎ;
যারা মেনে নিয়ে করেছে যে জয়!
তারাই আজ জয়ী।


যারাই করেছে অনিয়ম;
তারাই আজ ভোগ করছে গ্লানি ও অতৃপ্তির যন্ত্রণা,
তারাই হয়েছে বিপথগামী।
এরই মাঝে যারাই করেছে একাধিক বিবাহ্;


তারা তো বড় রস কদম;
অনেকটাই রসিক নারী জগতের!
তারা কখনও তাজ—মহল গড়ে;
কখনও সম্রাট শাহ্জাহান সাঁজে!


এদিকে সংসার যে কোন টাই;
চলে না ঠিক—ঠাঁক যে।
দুই বউয়ের যন্ত্রণা,
সাথে যদি থাকে অভাবের সংসারে—
(সন্তানেরা)


কি যে ভাল লাগা—আর ভালবাসা;
দেয় যে শুধু ক্লোহ ও যন্ত্রনা।
সংসার ধর্ম হয় যে ছন্ন—ছাড়া;
ছেলে—মেয়েরা হয় এক বউ হতে;
অন্য বউয়ের ত্রুোধের বলির স্বীকার,
যা—না—কি জানে শুধু অপবাদের গ্লানি দেয় যে সমাজ।


কি পাপ করেছিল নি:ষ্পাপ শিশু সন্তানেরা;
অনিয়ম—তান্ত্রিক বিবাহ—শাদি যা করা হয় বলে!
তারই বলির স্বীকার যে আজ সেই সন্তানেরা।
সমাজ হল কুলসিত, নিজে হলো এক যা—যাবর।


কেন করলে এতো বড় ভূল জীবনে?
যার জন্যে হতে হলো নিজ জীবন সর্বনাশ!
হবে না কখনও শান্তি তোমায়;
নিজেকে করলে যে ক্ষতি!


ধর্ম তোমায় দিয়েছে এক আলোর দিগন্ত;
শিখিয়েছে কিভাবে জীবনটা উপভোগ করতে হয়?
ধর্ম জ্ঞানে অন্ধ, কোন ধর্ম-চর্চা   না করে; হয়েছো তো মানুষ;
যা না কি করেছো ধর্মেরই সাথে আত্নঘাতি।


এ দিকে করছো ধর্মের নামে মিথ্যাচার;
কোথায় বলা আছে যে,
কোন প্রকার নিয়মের বালাই না জেনে ও বুঝে!
বলছো যে আমাদের ধর্মে চার—চার—টি—বিবাহ্ বিধানে আছে?
না ধর্ম তো তা বলে নাই।


প্রথম স্ত্রী’র অনুমতি ছাড়া করা যাবে দ্বিতীয় বিবাহ্ যে;
স্ত্রী অপারোগতা প্রকাশ করলে যে;
অনুমতি পেয়ে করতে পারা যাবে।
তারপরও যে ভাবার বিষয় থাকে!


আমরা ক’জন মানছি, কতটা সত্য বলছি;
একে অপরকে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে..
নিজেকে কোন সুখ নহে, করছি জীবন বিষের।
কেন করছি?


কিসের জন্য করছি?
কি লাভ হবে?
নতুন কিছু কি পাচ্ছি?
কোন লাভ কি হবে জীবনে?
প্রজন্মের কাছে কি রেখে যাচ্ছি?
কেন আমার কর্মে সমাজ হচ্ছে কুলসিত?
আমার সন্তান কেন হচ্ছে অপদস্ত অপর মানুষের কাছে?
আমি কেন হচ্ছি?
কি করে আসছি ভেবে কি দেখেছি?


জ্ঞান থাকেত আমরা না বুঝ!
সময় থাকতে আমরা অন্ধ;
ভাবছি এইটা বুঝি ভাল না;
ঐটা’র মধ্যে রয়েছে বুঝি মহত্ত্ব না জানি কি?
সবই আমাদের চোখের দৃষ্টি’র নজরের দোষ;


নিজেই করেছি সৃষ্টি; নিজ জগতের!
দায়ি করা যাবে না সৃষ্টি কর্তাকে কভূ।
আমরা করছি নিজে নিজের সাথে ছলনা!
ভুল করার পর যখন ভাবছি দু’য়ে মিলায়ে..
দেখতে পাই, ছিলাম ভাল আগেই তো!


এ কি করলাম হলাম সর্বগ্রাসী।
এখন তো কোন উপায় অন্ত নাহি খুঁজে পাই কি?
তাই তো বলি (পুরুষ—নারী) করো না কেহ দ্বিতীয় বিবাহ।
হতে হবে না জীবনের কোন কলংঙ্কের স্বীকার;
জীবন যাবে না কোন স্ত্রী’র বলির স্বীকারে।


আমরা পুরুষরা হবো না কোন মহিলার;
বুক ভাঙ্গা শত কষ্টের হাক—ছাড়া ডাক ও বলির স্বীকার।
ত্যাগ যেখানে শত স্ফুর্ত; কেন তবে পুরুষ হবে..
অনাকাঙ্খিত মহিলার রোষানলের স্বীকার।


তাই তো বলি দু’চোখের নজরে;
যা কিছু দেখি আমরা সবই যে ভাল দেখি;
তা কিন্তু নহে?
দেখার ও বোঝার দৃষ্টি হতে হবে অন্তরের;


সকল কিছুর উর্দ্ধে, চেতনা থাকবে এক..
বিশালতার যা নাকি তোমাকে করে দিবে;
যা হারাবে তার চেয়েও বড় আশার এক দিগন্তকারী জয়ীতার।
তাই তো বলি দেখা যাবে না অবান্তরিত স্বপ্ন;
বিচ্ছিন্ন জীবনে যোগ হয় অপ্রীয় সঙ্গী—সঙ্গিনীর।


দাম্পত্ত জীবন কর স্বার্থক;
ধীরে রাঁধ! সুস্তে খাও;
বাংলা প্রবাদকে মনে প্রাণে গেঁথে নাও।
তবেই তো জীবন উভয়েরই হবে স্বার্থক।


দেখা দিবে না;
সইতে হবে না দু’বউয়ের জীবন্ত যন্ত্রণা।
অমান্য করতে হবে না আল্লাহ্র বিধানের।
মানি—নিয়ম—করব—না—অনিয়ম;
হবে না নিজ জীবনের ক্ষতি সাধন।
এরই নাম বিবাহরে নৈতকিতা।
             =×××=
বাণী : মানুষ মন বলতেই আমরা একটু অন্য রকম; তাই মনের সহিত সংগ্রাম করেই এই সমাজে জয় করতে হয় নিজেকে।।