ভিত্তিতে স্থাপিত রত সেই শির
স্মরণে কতশত শহীদের রক্তের
দাগের অঙ্কিত ইতিহাস বিজরিত
জাতি বাংলা ভাষা ভাষীর আমরা
আজকের স্বাধীন দেশের বাঙ্গালী।
তৎকালিন ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্ত
ও দুই লক্ষ নর-নারীর সম্ভ্রম হানির
বিনিময়ে অর্জিত আজকের স্বাধীনতা!
যা অর্জিত হয়েছে এই বাংলার।।


যাদের আত্ম:ত‍্যাগের বিনিময় স্মরণে
বাংলার প্রতিটি জনপদে তপ্ত হয় যেন
একটি দেশ স্বাধীনতা অর্জনে লাভ কি?
আর পরাধীনতায় কি হতে পারে সেই?
এই দেশ পরাধীনতার স্বীকার রয়েছিল
বিট্রিশ একশত নব্বই বৎসর (১৭৫৭-১৯৪৭)
পশ্চিম পাকিস্থান চব্বিশ বৎসর (১৯৪৭-১৯৭১)
দুইশত চৌদ্দ বৎসরের সেই গ্নানি হতে আজ;


বাংলার জনপদ অনেক সংগ্রাম ও সংগ্রামী
বাংলার দামাল ও আপামোর জনতার দেশ
রক্ষার পথ প্রদর্শক সেই প্রয়াত মহান নেতা
যার বলিষ্ঠ‍্যতার এক নিষ্ঠ‍‍্ দেশ ও দেশের
মানুষের কল‍্যাণে নি:স্বার্থক ব‍্যক্তিত্ব তাঁর
জোঁড়ালো দেশ; দেশ জনতার প্রেমের অস্বীকার্য!
সেই মহান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।


বাংলার সকল জনতা একযোগে একবাক‍্যে তাঁরই
ডাকে সারা দিয়ে দীর্ঘ ন'মাস যুদ্ধের বিনিময়ে
অর্জিত আজিকের এই বেদী স্মৃতি চত্তর স্মরণে
সেই বীর শ্রেষ্ঠ ও শ্রেষ্ঠত্ব গুণিজনেদের আহা কি যে
ভাল লাগা ভালবাসা ঐ সকল দেশ রক্ষায় প্রাণ বিসর্জন
বাংলার নারী-পুরুষ সকল ত‍্যাগী জনতা তাঁরা কি নিয়েছে?


দিয়ে গেছেন সবই এই বাংলার প্রজন্মদের তরে! তাই তো
ঐ যে সাভার নামক ঢাকা বাংলাদেশের দৃষ্টি নন্দন ও নন্দিত
অপরুপ সবুজেতে ঘেরা এরই মাঝে বিশালাকারে ইট পাথরে
তৈরী সেই জনতার জাগরণের স্মরণ শোভায় স্থাপিত শহীদের
স্মরণে চিত্ত শিল্পের শৈলিতে অঙ্কিত দৃষ্টি নন্দিত মন কাঁড়া বেদী।।


বিজয়ের স্মরণে সকল শহীদের ভালবাসায় ও বাংলার বিজয়
উদযাপনের এক অনন‍্য জাগরণ জনতার সমাবেশ স্মুতি সৌধ
বিজয়ের মাল্য প্রতি বৎসর অর্পিত সেই আজিকের বেদী মঞ্চ।
প্রতিটি বৎসর এই সময়ের জন‍্যে অপেক্ষায় থাকে এই বুঝি
এলো ষোলই ডিসেম্বর আমাকে সাঁজাবে আসবে সেঁজে এই
বাংলার আপামোর সকল জনতা দলমত নির্বিশেষে তবেই
তো স্বার্থকতা লাভে শিতল হবে বেদী স্তম্ভ দেশ বরেণ‍্য স্মরণে।।
===×××===
===×××===
বাণী : স্বাধীনতা অর্জন সহজ নহে আজিকের বিজয়ও সহজ নহে; তাই বাংলার এই বিজয় পূর্ব অর্জন স্বাধীনতায় কোনই আক্ষেপ নহে সকলেই এক ও অভিন্ন। এই বিশাল অর্জনে কোন একক ব‍্যক্তি বা গোষ্ঠির জন‍্যে কোথাও সামাণ‍্যতম দূর্বলতা প্রকাশ করা বোকামী ছাড়া কিছুই নহে।।