[কবিতাটি উৎসর্গিত :
মোঃ মাহফুজুর রহমান (রাসেল), মোঃ শরিফুল ইসলাম (পিকুল) ও নাইম মিয়া'র নামে]।


আমাদের নাকি অনেক লজ্জা
সরমে যে একে বারে লাজুক!
কোথায় যে বাবার-দাদা ও চাচাদের নাম আছে লেখা?
কি যে স্বর্ণাক্ষরে?


রুপাতে, ব্রঞ্জে, তামায় ও স্বর্ণে?
বাবার সামাণ্য মাইনের চাকুরীতে ছিল ক’টি পেট
মামা-খালু-চাচা-ফুফার-তো-বালা-ই-নেই।
তোমরা তিন ভাই ও এক বোন।


বড় ভাই তো পাড়ি দিয়েছে
আমাদেরই পরিবারের সদস্য..
ভাই ও চাচা কর্তৃক বিভিশিখা ময়তার স্বীকারে;
পরিবারের সদস্য সংখ্যায় আমি ও মাতা।


সর্বমোট যে ছয়'জন।
বাবার বুদ্ধির লাগামে যে ঠাঁই ছিল না
মায়ের ও আমার বুদ্ধির বাইরেই থেকে যেত ধরা ও ছোয়ার;
কি যে এক বিভিশিখা জীবনের পরিচয়!!


সেখানে আবার কেহ ধীর চিন্তা—মগ্নতায় দেখে..
গাঁট ছাড়া বাঁধার স্বপ্নের যে পরিবার
পরিবারের এক অবস্থা ছন্ন ছড়ায়
ছিল না যে বসে বসে খাওয়া জমিদারী।


শুধুই ছিল পর-নিন্দা-চর্চায় ব্রত:
আজও কি তারা সরে এসেছে সেই ৫২ বৎসরের গ্লানী-হতে?
জীবন রক্ষার্থে জীবনের মায়া ছেড়ে
কোন প্রকার নিরাপত্তার কথা না ভেবে;


আমাদেরই পরিবারের মানবরুপী
হিংস্র পশুর ন্যায় ছোবলের হাত হতে
আত্ন:রক্ষায় নিজেকে গোপন করতে পারি দিয়েছি অজানাতে!
তোমরা তো কম—বেশি খেয়ে—পড়ে!


রয়েছিলে নিজ বাড়ীতেই।
কখনও কি খোঁজ নিয়ে ছিলে?
কোথায় আছেন যে ভাই?
ছিলেন যে কি ভাবে?


নিয়ে ছিল কি কোন খোঁজ-খবর
আমাদের পিতা—মাতা ও আপন জন কেহ?
শত কষ্ট ও আঘাতের মাঝে
নিজের মনকে শক্ত হাতে তৈরিতে আল্লাহর নাম স্মরণে;


এগিয়ে চলায় আজকের যে আমি!
অনেক-দু:খ—বেদনা— জ্বালা—যন্ত্রণা
আশা—আকাঙ্খা বুকে চেপে ধরে রেখে
তোমাদের কোমল মতি মুখ পানে চেয়ে;


এগিয়ে গেছি যে তোমাদেরই পাশে;
চেষ্টা করেছি তোমরা যাতে বাঁধন না হও ছাড়া!
পাও যেন সামাজিক নিরাপত্তা;
তুমি ভাল পড়া—লেখা করে উচ্চ শিক্ষিত হবে বলে!


নেওয়ায়ে ছিলাম তোমাকে নবম শ্রেণী হতে বিজ্ঞান;
হবে যে তুমি ভবিষ্যৎ বিমান কর্মকর্তা
আমাকে নিয়ে কেহই ভাবে নাই তোমরা ও পরিবার
কিন্তু আমি তো তোমাদের নিয়ে ভেবে ছিলাম বটে।।


আজও কি পিছু-পা-রয়েছি তোমাদের ভাল চাওয়াতে?
তোমরা তো মানুষ হওয়ার পূর্বেই করেছো
অল্প না বয়সে নিজ বলে সংসার;
প্রয়োজন হয়েছে জীবন সাথীর।


তাহলে কি ভাবে হবে বুঝদার ও বুদ্ধিমান?
‘ওরে-কাঁচা-আধ-মারা-দের-ঘা-মেরে-তুই-বাঁচা’
একটি জাতি একটা জরাজীর্ণ থেকে উঠে আসে
শুধু তাদের বিধাতার কাছে চাওয়া
            ও
কার্যে পরিণত করা এর মধ্যতায়
কি করেছো তোমরা আজ?
ভেবে কি দেখেছো কি কখনও?
একটি পরিবারে এতো গুলি পেট!!


খাওয়া, পড়া, অসুখ—বি—সুখ
পোশাক—পরিচ্ছদ, আবাসন খরচ, বিদ্যুৎ,
আত্নীয়—স্বজন, মসজিদ—মাদ্রাসা,
ঈদ পাবন, অনুষ্ঠান আচার,


এ সকল দিক ঠিক রেখেই
তোমাদের মানুষ করার প্রত্যয়ে এগিয়ে চলায়
হইনি কখনও পিছু টান!
নিজেরাই করেছো নিজেদের সাথে অনাচার;


কর কেন দায়ী ফেরেস্তার মত ভাইকে?
কখনও বলতে কি পারবে
ইনকাম করে বলেছো ভাইকে নাওনা উপহার ভাই
আমারই ইনকামের?


তুমি (মাহ্ফুজ রহমান রাছেল) যে পথে হয়ে ছিলে
যে পথিক একই পথের প্যাচালি যে হয় আরও দু’টি ভাই;
আশা করে ছিলাম তুমি বড় হয়ে আমরা মিলে
হাল ধরবো যে সংসারের।


আমি তো নষ্টা ও অবহেলিত মানুষ
তোমাদের মত নষ্টা কি?
অপরের গালায় রশি—পড়াতে যে কত টাই মজা;
যে পড়ায় সেই তো জানে!


আমি পরের উপরে পুদ্দারীতে ছিলাম না কখনও আস্তা;
সেই জন্য নেই আফসোস যে আমায়!
শুধু ছিল একটি আফসোস তোমরা হবে মানুষ।
আজ যে মানুষ তোমরা সেটা অস্বাভাবিক তাই নয় কি?


অল্প বয়সে নিজের জীবনে ঘুণি ধরালে
যাহা হবার তাই তো হয় কি?
কতই না স্বপ্ন ছিল তোমরা ও আমি মিলে হবো এক অন্য রকমের..
ওদের হতে আলাদা এক কর্তব্য ও ন্যায় নিষ্ঠা মানুষ।


সমাজে থাকবে স্বাক্ষর যে সমাজ সংস্কারে;
মুছে যাবে আমাদের মিথ্যা অপবাদ এক সময়ের ভ্রান্তের!
পাপিষ্টরা আরো পাপী দৃষ্টিতে দেখবে দু’চোখ ভরে;
কি যে করে ছিলাম ওদের সাথে অন্যায় করে?


আজকের আমাদের কি যে জীবন?
আামাদের বিদ্দেশেই বিধাতা করেছে যে ওদেরই জীবন আলোকিত।
সেটা না করে হয়েছো দেওয়ানা
আর আমি তো বোকা বড়ই বোকা!


ক্ষতি করে এসেছি নিজেকে সবই আপন ভেবে;
তারপরও বল আপনি কি করেছেন?
নিজে কি করতে পেরেছো?
সেটা নাহি না ভেবে;


অপরকে দেও যে দোষ ভেবেছো কি কখনও জীবনে?
ভাইয়ের আশার আলোর মুখে চুন—কালি মেখে..
বলছো যে আজ বড় কথা!
পূরণ হল কি আজ ভাইয়ের;
তোমাদের বড় হওয়ার আশা চাওয়া।।


==×××==
==×××==
বাণী: কোন মানুষ নিজ ইচ্ছা থেকে সৎ ও বড় হওয়ার সংকল্প না করে; অন্যকে দায়ী করে অযু-হাত দেখানোটাই বোকামী।।