হাই স্কুলেতে পড়ার সাথী। একই গাঁয়েতে বসবাস
ঐ'সেই মনেরই তরে একজন আমি খাড়াপাড়ার।
বন্ধুর বাড়ি যে জুলাপাড়াতে। সেই সময়ে ওদেরই
অর্থ কড়ি যাই বা থাকুক না কেন! ফুটানী ছিল বেশ।
এই ঘটনাটি আশি দশকের সেই সময়টিতেই ছিল যে
ওদের মোটরবাইক ও বাইসাইকেল দু'টাই।


ছিল রাইচ মেল; আলগা-টাকা-পঁয়সার কমতি ছিল না তেমনটি'
চেহারা দেখতে যেমনই হউক না কেন? পোশাকে-আশাকে
বিগ-ব্যাশে চলতো যে বেশ। স্কুলেতে যেতো বটে। ক্লাশ দিতো ফাঁকি।
যেতো সে যে বান্ধবীদের আড্ডা মহলে মুখরোচক মোনোলোভাতেই।
আমাদের ক্লাশ শেষ হলে আড্ডা শেষে এসেই বাড়ির উদ্দেশ‍্যে ঐ'


প্রেমিক মনে ছুটতো কোন মতে। যত্রতত্র হর-হামেশাতেই চলতো
বন্ধু মেয়েদের শোভার সুরভীর লোভা পেতে' নিজকে ধন‍্য মনে করে।
কত টাকা পঁয়সা উড়ায়েছে বিনা কারণেই। ইতি, বৃথী, লতা, ময়না,
হাসনা, লিপি, কামরুন নাহার, বিউটি নামের কত মেয়েরাই খেয়েছে
ফুঁচকা ঐ'যে পাড়ারই বন্ধু আমার হতে। ভারী গলাতে কইতো কথা!
বড় বড় লেকচার মেরে মেয়েদের পটায়ে কতটাই করেছে আমারই


দু'নয়ন অবলোকনে! পড়া লেখা' ফাঁকি দিয়ে নিজ জীবনকে করে
অসহায়। বানায়ে চলেছে শুকনা মিছে মুসকি হাসি হেসে। কি যে
সেই সময়ের অপব‍্যবহারে চলে গেছে ঐ'সময়ের দিনগুলির মন।
সেই মেয়ে গুলির আজ হয়েছে শুভ বিবাহ। করছে তারা নিজ সংসার।
বন্ধু আমার এসএসসি পাসের পরে নামে কোন মতে কলেজেতে গেছে!


ঐ'প্রেমেরই বদাভ‍্যাসেরই শোভাতে চলে ব‍্যস্ততারই মনো-বাসনায়'
হতে পারবে কি আর স্থিরতা ভাবনায় চলে। নিজ স্বার্থেরই জীবন
গড়ারই দ্বীক্ষার হৃদয়টিতে মন বলে একটি নির্ভরতা। ঐ'সংকল্পে
ব্রত: না হওয়া তেরই চরণে অপূর্ণ‍্যতায় ভরা মনে মিছা-মিছি আনন্দে
মুসকী হাসিতে আট-খানা হয়ে চলে। বাবার-গচ্ছিত-জমি-জমাই এক


সময়ে হয়ে পড়ে একমাত্র জীবনেরই সহায়ত্বের সম্বল! মিয়া বাড়িরই
নামে ডাকের সন্তান। এমন'ই পরিণতিতে এক সময়ে কর্ম বলে কথাতে'
ঐ'প্রেমিক মন-চলনে যাত্রী পরিবহণের হন সুপারভাইজার। ঐ'কর্মটাও মনটি
হতে নিতে পারেনি মেনে। ঐ' কর্মটিও ছেড়েছে শেষে। তার পর কি আর করবে?
ভাবনাতে এলো নিজ এলাকাতেই কিছু একটা করবে বলে দেয় কীট-নাশক..


কৃষি-সহায়ক দ্রব‍্যাদির' দেখার মত একটি সুন্দর শপ।
পরিণতিতে ঐ'ব‍্যবসাটিও করা হয়ে ওঠেনি বন্ধু আমার হতে।
ছাত্র-জীবনের প্রেম গেছে। সেই সাথে গেছে চলে লেখা-পড়া।
গেছে চলে ছোট-খাট যাই বা করতো তাও।
প্রচেষ্টা করেছে যা সবই হারায়েছে শেষ-মেষ।


জীবনটি সহজ নহে। পরিশেষে জীবন সংসারের মহত্ত্বে হয়েছে
পরিবার ও পরিজন। কোন কিছু করতে হবে। সেই মনে দেশে
আর কি করবে? ঐ' ভাবনাতে নিজ পরিবার-পরিজন ও দেশ
ছেড়ে গেছেন চলে বিদেশের মাটিতে। মালয়েশিয়ার কোন এক শহরে।
হঠাৎ ফেইস বুক লাইভে দেখতে পেলাম। বন্ধু আমার বাংলাদেশ সময়


রাত্র: ১:৩০ মিনিটে নিজেই রান্না করছে আর বলছে হায়রে বিদেশ!
এই না কি বিদেশ? দেখ সকলেই জীবনের কি হাল!
জীবনের কি যে বিদেশ করছি? কত কষ্টেরই জীবন চলে।
কবে যে শেষ হবে এই অভিশপ্ত জীবনের বোঝা? কি যে
বিদেশ নামের কর্মময় জীবন-জীবিকা বলে কথাতে চলে


সকল আত্মীয়-স্বজনের মুখে-মুখে সমালোচনা। হায়রে
মানুষ নামের কলংঙ্কের আমি! জীবনে দিয়েছি ফাঁকি তাই
আজ এই করুন পরিণতিতেরই জীবন নামের হা-হা-কা-রে-র
এক ছত্রতা। ঐ'সেই তরে ছাত্র-জীবনের ফাঁকি! জীবনটি গড়ে
উঠেছে নড়বড়ে! কর্মেও দেখা দিয়েছে কোন মতে!


বলে বন্ধু শেষে না আমি' করতে পেরেছি প্রেম করে ইয়ে-টিয়ে।
না করতে পেরেছি পড়া-শোনা! না পেলাম শেষে ভাল কর্মময় জীবন।
বলছে বন্ধু প্রবাসে থেকে বাবার অর্থে ফূর্তি করেছি আপন মনে।
পড়া-লেখা ফাঁকি দিয়ে মেয়েদের সাথে টাংকি মেরে আজ এই!
করেছি সময় যে অপচয়। সেই পাপের পরিণতি দেখতে হচ্ছে আজ।


কথায় আছে সময়ের কাজ সময়ে না করলে হতে হয় যে নিষ্ফলের মাকালের।
করছি তাই আজ, আজ আর কেহ নেই আমার পাশে। এই হল সেই ঐ'যে দুষ্ট
মনের অবুঝ বয়সের প্রেম বলে কথা সর্বনাস ডেকে। সর্বশান্ত হয়েছি জীবনটিতে।
অমন ভাবনাতেই বন্ধু আমার এখন এই বয়সেরই তরে তার সুবুদ্ধি উদিত বিবেকের
প্রকৃত তারণাতেই বলছে। অল্প বয়সে প্রেম নয় আর! করবে সকলেই পড়া-লেখা।


পড়া-লেখা ফাঁকি দিয়ে প্রেম নাটকের পিছনে ছুটলে হতে হয় যে হতভাগা।
আজ তারই শেষ পরিণতিতে পরিবার-পরিজন-দেশ ও অন‍্যান‍্য আপন জন ছেড়ে
বিদেশ বলে কথা। সেই প্রবাসে কতটাই কষ্ট-কাকে বলি কে শুনবে মনেরই কথা?
এখন তারই খেঁসারত দিতে হচ্ছে এই জীবন নামক আজিকের এই দুনিয়াতেই।
হায়রে রঙ্গিন জীবন উঠন্ত বয়স! কি করেছি ঐ'সময়ে আজ বুঝতে পারছি হাড়ে-হাড়ে।
এখন তো কেহ নেই পাশে; কত বন্ধু-বান্ধব! সবই গেছে দূরে' এখন শুধুই আক্ষেপ।।
===***===
===***===
বাণী: একজন ছাত্র-ছাত্রীর সর্ব প্রথম কাজ হল মনোযোগ সহকারে পড়া-লেখা করা। এর বাইরে একজন ছাত্র-ছাত্রী হয়ে অন‍্য মনের তরে ব‍্যতিক্রম চিন্তা করলে; পড়া-শুনা তো হবেই না। শেষ-মেষ শিক্ষা জীবনের পরিনতিতে নেমে আসে ভয়াবহ অবস্থা। এক সময়ে ঐ'সকল ছাত্র-ছাত্রীদের জীবনে নেমে আসে এক প্রকার অভিষাপ। যার ফলে সারাটি জীবন ভর খেসারত দিতে হয়। যার মূল্য কোন দিনই পূরণ হবার নয়।।