অনেকেই কষ্ট বোঝে;
কষ্ট বোঝে অনেক মানুষের,
কখনও কি বুঝতে চেষ্টা করেছি আমরা মানুষরা!
মানুষের কষ্ট কোথায়?
কি কারণে দু:খ?
কি কারণে কষ্ট?
সে কি কাউকে দিয়ে ছিল কষ্ট?
তার রক্তে কি ছিল কষ্ট?
একই পরিবারের সে পিতা!
একই পরিবারের সে মাতা!
সন্তান তো পিতা-মাতারই;
তাদেরই পিতা-মাতা কেন যাবে?
কোথায় যাবে?
কোথায় থাকতে হবে?
পরিবেশ কেমন হবে?
সন্তান-সন্ততি থাকবে..
পিতা-মাতার বাড়িতে;
পিতা-মাতা যাবে কোথায়?
যাবে কি বৃদ্ধা-আশ্রমে?
কি আদর্শ সন্তান;
পিতারই সম্পদে হয়ে বড়!
তাকেই দিতে হবে বিসর্জনে;
আমরা বুঝি ধর্ম-কর্ম..
চিনতে চাই আল্লাহ’কে;
ধর্মের বালাই না বুঝিয়াই!
হতে চাই আমরা ধর্মভীরু অনেক জ্ঞানী।
যেখানে জন্ম সেখানেই ভেদা-ভেদ;
তাহলে পার্থক্যটা কি হবে?
একজন পিতা-মাতা’র
স্থান হল তার নিজস্ব বাড়ি
বাড়ীর আশ-পাশ
বৃদ্ধ বয়সে সে ভোগ করতে চায়
সেই সবুজ বাগান ও নাতি-নাতনিদের
কুলা-কোলাহল!
তাইতো শান্তি তাদের
বৃদ্ধ বয়সের সম্বল
সেইখানে তারা হবে প্রাণহীন
স্থানের বৃদ্ধা আশ্রম।
না আমি মানি না! মানতে চাই না!!
আমি ঘৃণা করি সেই সকল
সন্তানদের যারা আত্ন:মানে
পিতা-মাতাকে করে গৃহহীন।
তারা কি জানে না আগামী ভবিষ্যৎ;
আসবে তাদের একই দিন।
পিতা-মাতা যাবে না
বৃদ্ধা-আশ্রমে
পিতা-মাতার বাড়ি;
ছেঁড়ে যাবে সন্তানেরা,
বাড়িতে থাকবে পিতা-মাতা।
যখন সন্তান বাড়ীতে আসবে ফিরে;
থাকবে না যখন পিতা-মাতা এই দুনিয়াতে!
তুমি যখন পিতা-মাতাকে
রাখবে বৃদ্ধা-আশ্রমে;
তোমার মন বলতে কি কিছু নেই!
মনের মাঝে, মনে পড়ে না কি কভু;
সেই শিশু, কিশোর ও শৈশবের স্মৃতি?
আমার জানা মতে পিতা-মাতার,
তেমন থাকে না চাহিদা?
সন্তান-সন্তোতিদের কাছে!
সামান্য দিলেই খুশিতে,
আত্ন:হারা হয় যে তারা;
অল্পতে তুষ্ট নিয়ে করতে থাকে,
আল্লাহ্ দরবারে ফরিয়াদ ও দোয়া;
পিতা-মাতা যে ভাবে করে
সন্তানের মঙ্গলে প্রার্থনা সৃষ্টি কর্তার দরবারে;
দ্বিতীয় কি কেহ হতে পারে তেমনে?
কুরআন ও হাদিসের আলোকেই..
এবং অন্যান্য ধর্ম এর বর্ণনায়
আমরা কি পেয়েছি কভু নাহি করি
অবহেলা পিতা-মাতার।
জীবনে মানুষের যেতে দেখি ..
মানত করতে দেখি, ভোগ দিতে দেখি,
নাম জস কামাতে দেখি,
দেখি সুনামে পঞ্চমুখ হতে,
এদিকে দেখি পিতা-মাতা থাকে অনাহারে!
যাও বা দেই খেতে; চোখের দৃষ্টি মেলি তেরে;
স্ত্রী’র চোখ শোকুনী চাহনী
মনে হয় সে কখনও আসেনি
পিতা-মাতা হতে?
কেন এমন হবে আমাদের দৃষ্টি-ভঙ্গি?
সামান্য যৌবনের বিলাসিতায়
পিতা-মাতাকে ভুলে যদি;
অন্যায় পথে চলে যেতে চাই!
তাহলে কি হবে না
আল্লাহর অনু-শাসনের অবাধ্যতা?
এক দিন সময় আসবে!
যে দিন আমাদেরও হতে হবে;
পিতা-মাতার ন্যায়;
সেই দিন আর বেশি দুরে নয়।
অতীত কর্মের অনুতপ্ততায়
যদি নাহি করতে চাই অনুসূচনা;
তবেই তো আমরা
গড়বো না বৃদ্ধা-আশ্রম
বঞ্চিত হবো না কভু!
বৃদ্ধা পিতা-মাতার সেবা হতে।
তবেই তো হতে পারবো আমরা;
প্রকৃত সন্তান, লুফে নিতে পারবো,
সর্বোচ্চ নেক আমল ও দোয়া;
যা না পছন্দ করেন আল্লাহ্ তালা।
তাই তো বলি এদেশের
একটি পিতা-মাতা যাবে না
কভু বৃদ্ধা আশ্রমে,
হবে না তৈরি তাদের জন্য কোন আশ্রম ঘর।
আশ্রম তৈরী হবে শুধু
আশ্রয় হীন স্মরণার্থীদের জন্যে
যে মানুষ গুলি সেবা পাবে
আল্লাহর বান্দা তাই বলে।
একমাত্র সাহায্য তারাই পাবে।
প্রকৃত পক্ষে পিতা-মাতা যাবে না বৃদ্ধা-আশ্রমে।  
===×××===
===×××===
বাণী : প্রকৃত পক্ষেই মানুষ আসার মাধ্যম এক মানুষ হতে অপর মানুষের থেকে বিধাতার অশেষ কৃপায়। সকল সম্পদের মালিক আল্লাহ্ তাওয়ালা। সেই তরে কেন মানুষ ফলদাতা তারা কেন যাবে বৃদ্ধাশ্রমে'! আমি ঘৃণা করি সেই জাতিকে। যার এমন করে থাকে। কাম্য নহে নিজ সংসার ছেড়ে দিয়ে যেতে হবে তাদের ঐ বৃদ্ধাশ্রম নামক কারাগারে। যথার্থই অন্যায় করে থাকে সেই সমস্ত সন্তানেরা।। যা ক্ষমার যোগ্য নহে।।


তারিখ: ০৯/০৭/২০১৭ইং।