উনারা দু'জনাই সন্মানি!
বয়সের ভারেও রঙ ধরেছে শরীরে'
মুখে পাকা দাঁড়ি! শরীরে বেশ পোশাক!
পাশা-পাশি দাঁড়ানো স্বামী-স্ত্রী দু'জনাই।


এমনই  আমায় জাগলো মনে একই বাঁধনে!
সংসার জীবন তাদের একসাথে ভালই কেঁটেছে'
কম করে হলেও আনুমানিক পঞ্চান্ন কি হবে ষাট,
তারা কাক ডাকা ভোরে দাঁড়ানো তিন রাস্তার মোড়ে!


কি যেন ভাবনায় দু'জনেই প্রেসাণী'তে রয়ে মন!
দু'জনই ক্ষিপ্ত একে অপরের মধ্যে বলা পারিবারিক কথা'
বলাতেই কেহ কারো কথা নিতেই যেন জলন্ত তেলে-বেগুনে
পুড়ে হতে হচ্ছে ছাঁই-ছাঁই! অনেকটা অশোভ্য ভাষাতেই বলছে
বুড়া-বুড়ি একে অপরকে তোর জন্যই তো সন্তান হয়েছে অমন!


তুই যদি হতি ভাল তাহলে আজ আমার হতো না এই রকম?
বুড়ি বললেন বুড়াকে এ কেমন কথা বলছো রাস্তার মধ্যে?
লোকে শুনছে কি বলবে তোমাকে? বুড়া বললো কি বলার আছে'
লোকের, আমি ভুল বলেছি তোকে (ভাষাটা ছিল অন্য রকমের)?
ঐ ভাষাটি অশোভন শোনাতে তাই আমি কবি হয়ে প্রকাশে রই
না ইচ্ছুক যে।

এই সমাজেরই মানুষ আমরা সমাজ বদ্ধ জীব! কত যে তারুণ্যতার মন!
বয়সের ভার নেমে আসছে' ভাল মন্দ অনেক কথায় দেখি শুনি জানতে
পারছি, কত শত লেখা লেখী উপদেশ বাণী কই পরিবর্তন মন্যুষত্বের?
এরই মধ্যে আমাদের বসবাস! একই ছাঁদের নিচে যৌবনের সৌরভে'
দীপ্তমানের সময় হতে মৃত্যুর দ্বার-প্রান্তে এসে ঠেকেও নেই পরিবর্তন।


কি করে হবে মানুষের শিক্ষা? কে ছোট কে বড়? কেমনে রইবো সমাজে,
পরিবারে মুরব্বি "বুড়া-বুড়ি" ছোটদের মাঝে? ছোটরাও বা কেমনে হবে
সেই শিক্ষায় যা নিবে বড়দের হতে। রাগ-বকা বাহিরেও নয় ঘরেও নয়!
সামাল দাও না নিজ-মন-প্রাণ-আত্নার-অহংকারকে! তবেই বিরাজ শান্তি
তোমাতেই। ওহে বুড়া-বুড়ি হবে না কখনও বিমুখ লোক সমাজের উজ্জ্বল
ও উচু মুখ হতে। মান্য করবে সকলেই এমন কর্মই করতে হবে জীবনে।


যৌবন কালে নিবে আদর্শ দীক্ষা! সারাটি জীবন চলবে সেই আদর্শে।
যৌবনে না নেও যদি আদর্শ শিক্ষা ও দীক্ষা কি করে বৃদ্ধ বয়সে পাবে
সুন্দর চাওয়াতে ফল! তোমাদেরই জন্মের প্রজন্ম হতে? এক গাছের
ছাল লাগে না অন্য গাছে' সেই প্রবাদই যদি জান তবে কেন করে আসি
পাগলের মত প্রলাপবাক্য বুলায়ে চাই ফল ভাল একই বীজ হতে।।
===×××===
===×××===
বাণী : অনেক সময় ভাল সুমিষ্ট ফলের বীজের অঙ্কুরেই ভাল ফল ও প্রকৃত স্বাদ দিতে চায় না! আর সেই জায়গায় মানুষ "আশরাফুল মাখলুকাত" হয়ে যদি জটিল সমাজ জীবনে সঠিক ভাবে অর্জনের মধ্য দিয়ে ভাল ভাবে চলতে না পারি তাহলে কোন বয়স নয় যে কোন বয়সেই আমরা সমাজে ও পারিবারিক ভাবেও হ্যায় প্রতিপন্নতায় জীবন যাপন করতে হয়। যার ন্যায় মানুষ হয়ে সব সময় সাবধানতায় সর্তকতা অবলম্বনে নীতি নৈতিকতা রক্ষা করেই পারিবারিক ও সমাজিক ভাবে চলাই উত্তম ও শ্রেয়।