চব্বিশ ঘন্টার কর্ম হিসাব
দিন (ভোর, সকাল, দুপুর ও বিকাল)
রাত্রি (সন্ধ‍্যা, সন্ধ‍্যা রাত্রি ও রাত্র) এই সময় কার?
ভোর:
ভোর হল ঘরের দরজা জানালা খোলরে
ওঠো জেগে
দেখ পশ্চিম আকাশ হতে
সুমধুর ডাক শোনা যাচ্ছে...
মসজিদ, মন্দির, গীর্জা ও অন‍্যান‍্য ধর্মালয় হতে!
ওঠো জেগে ওঠো পবিত্র হও যাওনা ধর্মালয়ে
জায়নামাজে মাথাটুকে নত স্বরে প্রার্থনা কর দু'টি হাত তুলে
বিধাতার দরবারে! আত্নশুদ্ধি কর জীবনের।
এই ভোর তো হয় সময়:
(4:30 এএম হতে-5:45 এএম) পর্যন্ত।।


সকাল:
সকাল হয়েছে সময় যে বড্ড অসহায়!
গাঁ গোসল সেরে রওনা দিতে হবে যে..
ছাত্র, হুজুর, ঠাকুর, যিষ‍্যু ও শিক্ষক স্কুল/কলেজ/বিশ্ববিদ‍্যালয়েতে, কৃষক ফসলের ক্ষেতে, চাকুরী জীবি, ব‍্যবসায়ী, গৃহস্তরা বাজারে, দোকানিরা, নাপিত, কামার, কুমার, মুচি, দিন মজুর, বাস-গাড়ী, রিক্সা, ভ‍্যান, অটো চালক এরা সকলেই কাজে বের হবে সকালে সঠিক সময়ে।
সময় মেনে নিয়ম করে করলে কাজ
জীবনে দেখা দিবে না কভূ কর্মসহ অর্থের অভাব!
যারাই করবে জীবনে অনিয়ম তারাই হবে অভাবী জীবনে
এই যে সকাল হয় যে সকল করনীয়।।
এই সকাল হয় তো সময়:
(7:00 এএম হতে 10:00 এএম) পর্যন্ত।।


দুপুর:
সকল কর্মবিরতিতে পবিত্র কর নিজেকে
ডাক পড়েছে পশ্চিম গগণ হতে
যাওনা প্রার্থনায় প্রার্থনালয়ে; প্রার্থনা শেষে
আহার কর মধ‍্যাহ্ন ভোজ যে
ভোজ শেষে আবার রত হও যে কাজে
কর কাজ কর্ম সময় বুঝে
এই দুপুর হয় তো সময়:
(12:30 পিএম হতে 4:00 পিএম) পযন্ত।।


বিকাল:
শেষ হয় যে সময় সকল সাধারণ কর্মের
বাড়িতে আস যে আপন আঙ্গিনালয়ে
সময় যে হল
ডাক যে পড়ল পশ্চিম গগণ হতে
যাওনা প্রার্থনায় বিধাতার দরবারে।।
যাওনা বিকালের বিনোদনে
সবুজ ঘাসের বুকে খেলা করতে
বিনোদন মাঠ ও ক্লাবেতে।।
এই বিকাল হয় তো সময়:
(4:30 পিএম হতে 5:30 পিএম) পর্যন্ত।।


সন্ধ‍্যা:
পশ্চিম গগণের ডাক এলো কানেতে
যাওনা প্রার্থনায় সৃষ্টিকতার দরবারেতে
এসে ফিরে বাড়ীতে ছাত্র হলে পড়তে বসবে তবে
আপন মনে করবে পড়া-লেখা তবে।
অন‍্যান‍্যরা সময় দিবে নিজ পরিবারকে
খেয়াল রাখবে ছাত্রদের পড়াশুনাতে
সন্ধ‍্যা রাত্রী খাওয়ার সময় যে হলে
খানা খেয়ে নাওনা তবে!!
এই সন্ধ‍্যা হয় যে সময়:
(6:00 পিএম হতে 9:30পিএম) পর্যন্ত।।


রাত্র:
এই যে রাত্র এলো
পরিশ্রমী কর্মব‍্যস্ত মানুষের
বিশ্রামের ও আরাম আয়েশের সময়
এই সময়ে কোন কাজ নয়!
(পালা ভিত্তিক কাজ ব‍্যতিত)
পূর্ণাঙ্গ বিশ্রামে যাও কর আরাম
বিশ্রামের ন‍্যায় ক্লান্ত দূর কর শরীরের
কোন ক্রমেই রাত্রে করনা অবহেলা ঘুমের
রাত্র জাগা যাবে না কভূ!
পরিপূর্ণ ঘুমায়ে সতেজ কর যে
নিজেকে আগামী দিনের কাজের
বিনা কারনে করলে অঘুমের কাজ
নানান বার্ধক‍্যতা দেখা দিবে যে জীবনে;
যা বয়ে চলতে হবে যে জীবন ভরে
তাই তো বলি রাত্রী তোমায় নিজেকে দিবে।।
এই রাত্র হয় যে সময়:
(10:00 পিএম হতে ভোর 4:30 এএম) পযান্ত।।
এই তো সেই কর্মগুণ চব্বিশ ঘন্টার হিসাব
মানব জীবনের!! করবো পালন!! হবো যে সাধন।।
এরই নিয়মে চলবো সারাটি জীবন।।
কভূ বিথা সময় করবো নষ্ট যে মানব জীবনে।।।
===×××===
===×××===
বাণী : সময় হিসাবের লেখা! যারা সময় হিসাব করেসময় মত কাজ করে থাকে সেই সময়ের কাজই একসময় জীবনের চরম ও গুরুত্ব পূর্ণ সফলতায় পৌঁচ্ছিয়ে দিতে পারে।