কি করে ফরিয়াদ করতে হয়?
কেন ফরিয়াদ করবো আমরা মানুষরা?
কিসের জন্য এতো ফরিয়াদ?
সাধারণ কথায় আমরা দেখতে পাই;


একজন ছাত্র যদি ভাল পড়া-লেখা না করে..
পরীক্ষা দিতে গেলে প্রশ্নের অর্থবোধক উত্তর না লিখলে!
হবে কি পাস এই দুণিয়াতেই?
দুণিয়ার জগতের এই যদি হয় হিসাব!


সৃষ্টি কর্তার সৃষ্টি কূলের মানুষের বিচারেই:
আল্লাহর নিকট কেন হবে বিনা শ্রমে দোয়া কবুল?
পিতা-মাতা যেখানে সন্তানের জন্ম দাতায় হয় অধিকারী!
পেতে চায় অধিকার আল্লাহর বিধানেরই রয়েছে নিয়ম।


তবে কেন দোয়া কবুল হতে লাগবে না মনুষ্যত্যের বিকাশের?
বিধাতা কেন মানুষ সৃষ্টি করেছেন?
মানুষ সৃষ্টির রহস্যই বা কি?
বিধাতা তো মানুষ সৃষ্টিই করেছেন তাঁর ঈবাদতের জন্যে!


মানুষ সৃষ্টির রহস্যই হল;
বিধাতার সকল সৃষ্টিকে মানুষ দ্বারা পরিচর্যা করানোর দায়িত্বের।
বিধাতার সকল সৃষ্টিই মানুষের কাছে আমানত স্বরুপ!
এই আমানত খেলাপ করলে হতে হয় যে মুনাফেক;


সেই মুনাফেক যদি কোন কারণে ফরিয়াদ করে..
বিধাতার দরবারে কি করে হবে দোয়া কবুল?
পাপে ও পূর্ণের ওজনে কি আসবে?
জানেন শুধু বিধাতা!


তারপরও বলি আমি সারাটি দিন কি করি?
তা কি আমি জানি না?
অন্যায় ও পাপের কাজ করে..
যখনই হেরে যাই পরিশেষে দোষারোপ করি যে  বিধাতাকে!


বিধাতার বিধানের আইন মেনে করেছি কখনও কাজ?
তবে কেন সকল দোষ বর্তায় বিধাতায়!!!
কিভাবে হবে যে দোয়া কবুল?
দোষারোপ করি যে কাকে?


মনে থাকে না পবিত্রতা; প্রাণে যে থাকে না প্রাণ!
অপরাধ করে অপরাধী হই;
অন্যায় আবদার নিয়ে যাই যে বিধাতার দরবারে!
কি করে হবে দোয়া কবুল সৃষ্টি কর্তা আল্লাহর দরবারে?


আল্লাহ্ ক্ষমাশীল কথাটা সত্য বটে;
কভূ অন্যায় ও পাপ কার্য ভবিষ্যতে না করার তওবার শর্তে’
এক নিষ্ঠায় রত প্রার্থনায়!
সৃষ্টি কর্তা করেন যে কবুল সৃষ্টি কূলের মানুষের দোয়া।


কে বলেছে দোয়া কবুল হয় না?
আল্লাহর হুকুম মেনে করলে যে দোয়া!
হতেই হবে কবুল আল্লাহ্ করবেন সেই আহাজারির আত্ননাদের প্রার্থনা।
একজন পরহেজগার ধর্মপ্রাণ ব্যক্তির’


দোয়া কবুল না করে ফেরান না বিধাতা;
দোয়া কবুল না হওয়ার কারণই যে আমরা’
দোয়ার মত দোয়া ও চাওয়ার মত চাওয়া!
চাইতে পারি না;
তাই তো দোয়া কবুল না হওয়ার কারণ এতোটাই? 


           =***=


বাণী : ভাবুক ভাবণায় ভাল কিন্তু ভাবুক হয়ে বসে থাকলে ধর্মের ও কাজে লাগবে না এমন কি নিজ জীবন দর্শাতেও না।; ভাবনাতেই শ্রম বিনিময় অর্জন করতে হবে।।