সাঁজ সকালে ঘুম হতে
জেগে আমি মনে মনে
প্রতি নিয়তই বলে থাকি
হে বিধাতা তুমি আমাকে..


রক্ষা করো! দুনিয়ার সমস্ত
নাপাকী, জাহান্নামী, শয়তান,
মুনাফেক, ধোঁকার, বদমাহিশী,
পরনিন্দা, ছোগলখোড়, গিবতকারী,
গরীবের হক, মানুষের প্রকৃত হক,
জিনাকারী, মদখোড়, সকল নেশা-
গ্রস্থ মাতালের হাত হতে রক্ষা করো।


হে বিধাতা রক্ষা করো তুমি আমাকে'
সেই সাথে রক্ষা করো সমস্ত মানব কূলের'
তোমারই সৃষ্টি মানুষ গুলি দেখ কি করে?
ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে ওরা! তুমিই করেছ সৃষ্টি


ওদের! তোমারই দায়িত্বে যদি করে দাও
হেদায়েত' তবেই রক্ষা পাবে তোমারই
সুন্দর সৃষ্টি গঠন মানব রুপের আকৃতির!
নয়তো ওরা যা করছে সবই পশু ভীতির।


তোমার সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ রুপের পশু হবে
এ কেমন কথা? প্রশ্ন জাগে সব সময়ই
কর্মকান্ড দেখে সকলের' সেই চেতনায়
তোমাকেই বলি রক্ষা করো আমাদের।


করো রক্ষা সকল মানব জাতিকেই!
দেখ না' সকল দেশে রাষ্ট্রে-রাষ্ট্রে করছে
হানাহানি, ক্ষমতা দখলবাজি বড়-ছোট
ভাবনাতে আত্ম:অহংকারী, জোরজুলুম।


কেন এই সব তোমারই মানব নামক
জাতি হতে? একজনকে ঠকায়ে আরেক
জনে হতে চায় সাময়িক উৎফুল্লের মন!
সেই তারনায় করে আসছে ভুল দিক-
বি-দিকের।


হে বিধাতা রক্ষা কর তোমার কল্যাণে'
সেই তরে! ভুল পথে আর যেতে দিওনা
চলতে চাই তোমারই পথে! তুমি কি
শুনতে পাওনা চোর-চুরি করে পড়লে ধরা'


অপরাধ ঢাকার ভয়ে বলে থাকে ঐ যে'
সেই মনে আল্লাহর কছম! আমি করি
নাই চুরি! ওরে আল্লাহ্ মাফ করে দাও!
উড়ে মারে' মাফ করে দাও আমাকে।


তখন দেখ ঘনঘন অপরাধ আত্ম:স্খলনে
তোমারই দরবারে "ফরিয়াদে" হয় রত!
কি যে লাগে খারাপ ঐ সমস্ত তোমারই
সৃষ্টি মানুষ হতে। কি যে মনে কষ্ট জাগে?
সেই জন্যই বলি' এই "ফরিয়াদ" কবুলের
মাধ্যমে মানব জাতিকে রক্ষা কর তুমি।
===×××===
===×××===
বাণী : মানুষ আমরা যত জ্ঞানই অর্জন করি না কেন, জ্ঞান-বিজ্ঞানে যতই উচ্চ-শিক্ষা লাভ করি না কেন! বিধাতার অনুশাসন মেনে জীবন-যাপনে, নীতি নৈতিকতার আদর্শের, সততা-নিষ্ঠার বলে-বলিয়ানে না চলতে পারলে, এই মানব জীবন "আশরাফুল মাখলুকাত" নামক কথার'ই অর্থ বিথা ও নিষ্ফল হিসেবেই থেকে রয়ে যাবে। সেই তবে হে বিধাতা মানব কূল আমরা; তোমার সৃষ্টির সেরা জীব' মানব জাতিকে রক্ষা করো' তোমারই কুদরতের অলৌকিক প্রেরিত মহব্বত বার্তায়। সেই তরেই ঐ গায়েবি আদেশের অনুশাসনে চললে, বিধাতার বিধানের যা ব্যয়িত ঘটবে না, সেই শাসনে পথ চলায় মানব জীবন হবে সুন্দর ও কল্যাণের। হে বিধাতা রক্ষা করো মানব কূলের। অন্যথা নহে।