কোথায় সেই বাংলা’র ভয়ংকর হুংকারের শাসক গোষ্ঠী?
কোথায় হানাদার বাহিনী?
হানাদার বলতে কি ছিল কোন বাহিনী?
আমরা কেন বলি হানাদার বাহিনী?


কেন এতো নাম তাদের!
কোথায় সেই আইয়ুব খাঁনের শাসন?
টিক্কা খাঁনের শাসন?
কোথায় সেই নীল চাষ?


কোথায় সেই বর্বরতা?
কোথায় সেই নির্যাতন?
কোথায় সেই বাঙ্গালীদের নিঁপীড়নের আর্তনাদ?
দেখিনি আমরা সেই অত্যাচার-নির্যাতন;


দেখিনি সেই সময়ের অভাব-অনাটন!
শুনেছি গুরু জনের গল্পে ও কিচ্ছাতে;
কতটা যে ভয়ংকর সেই হানাদরা পাকিস্তানী!
নারীরা বলির স্বীকার ছিল তাদেরই রাজাকারের;


রাজাকার কাকে বলে?
আমরা কি জানতে চাই না তাদের?
একই মানুষ কিভাবে হয় রাজাকার?
করে কিভাবে তারই মত মানুষের অত্যাচার?


হানাদার বাহিনী কি?
আজকের দিনে কি রয়েছে নাম তাদের?
কোথায় সেই আইয়ুব আর টিক্কা খাঁন?
আজ কি রয়েছে তারা?


যত শোষন—শাসন, নিপীড়ন—অত্যাচার করেছে তারা!
বাঙ্গালী জাতিকে দিতে চায়নি তারা কোন প্রকার সুযোগ;
(চাকুরী—বাকুরী, কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা,
আবাসন, খাদ্যের সু—ব্যবস্থা, সামরিক বাহিনী গঠন,


স্বায়ত্ব:শাসিত বাহিনী, প্রতিষ্ঠান গঠন,
না দিয়েছিল সিভিল সার্জনের পদ,
ছিল না কোন (বি.সি.এস) ক্যাডারের কোন সচিব,
নামে মাত্র হাতে গুনা কয়েকটি স্কুল—কলেজ)


বাঙ্গালী জাতি যাতে মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে
তাই ছিল তাদের পাকিস্তানী শাসনামলের।
আর সইতে না পেরে বাঙ্গালী জাতি;
বাঙ্গালী জাতি মনে প্রাণে ধারণ করে!


মনে মনে নিজেকে তৈরি করে বাঙ্গালীরা..
একজন সৈনিকের ন্যায় কঠোর প্রশিক্ষণ না নিয়েও
যৎ সামান্য প্রশিক্ষণ নিয়ে হয়ে যায় কঠোর যোদ্ধা!
মনোবলে তৈরী হয় যে তারা;


আর মানা যাবে না পূর্ব পাকিস্তানীদের নির্যাতন;
শুরু হয় মুক্তি যোদ্ধার প্রস্তুতি!
শত কষ্টের মাঝেও বাঙ্গালী জাতি!
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের..


জীবন উৎসর্গ বিনিময়ের নেতৃত্বে !
কঠোর হস্তে দমন করার প্রত্যয়ে;
জনতার ডাক দেন বাঙ্গালীর উদ্দেশ্যে!
আপামোর সকল বাঙ্গালী একই নেতৃত্বে..


গড়ে তোলেন দূর্গ!
বাঙ্গালী আর মানতে চাইনি সেই..
পাকিস্তানীদের বাঙ্গালী নিপীড়নের অত্যাচার;
বঙ্গ বন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে গঠিত হয় মুক্তি বাহিনী!


প্রশিক্ষণ চলে আঁড়ালে, গোপনে কত না কৌশলে..
শুরু হলো পূর্ব পাঁকিস্তানীদের..
শাসন মেনে নেওয়া না নেওয়ার দ্বিধা-দ্বন্দতায়;
হঠাৎ একদিন ডাক পড়ে সেই মুক্তি যুদ্ধের!


নয় মাস সংগ্রামী বাঙ্গালী জনতার কঠোর মুক্তিযুদ্ধের..
যুদ্ধ কলা-কৌশলের কাছে হার মানে সেই হানাদার বাহিনী;
সফলতা অর্জন করে বাঙ্গালী জাতি।
এই দেশেরই স্বাধীনতার লাল সবুজের পতাকা!


উত্তোলিত হয় বাংলার আকাশে-বাতাসে;
ধ্বনিত হতে থাকে সকল বাঙ্গালীদের মন ও প্রাণ মাঝে।
এই প্রাপ্য যে নেতৃত্ব দিয়ে ছিলেন;
আজকের সেই বাঙ্গালী জাতি আমরা!


পেয়েছি বটে স্বাধীনতা আমরা;
পেয়েছি কি প্রকৃত স্বাধীনতা?
হাঁ আমরা পেয়েছি!
আমরাই হতে পারিনি নিজেরাই স্বাধীন;


তাহলে কি বঙ্গবুন্ধ শেখ মুজিবুর রহমান!
বাংলাদেশ স্বাধীন করে করেছিল ভূল?
আমরা বাঙ্গালী কি অকৃতজ্ঞ?
জ্ঞান থাকতে কি অন্ধ?


কেন স্বীকার করতে চাই না স্বাধীনতা ও স্বাধীন বাংলাদেশ বাঙ্গালীর অহংকার?
আমরা আজ যে পতাকা তলে একই ছায়ায় গর্বিত এক বাঙ্গালী জাতি;
স্বাধীনতার সকল স্বাদই ভোগ করছি,
তবে কেন তলে তলে করছি সেই বরবর (পিপি)দেশের সহিত যোগাযোগ?


ওরা তো আমাদের মা-বোনের ইজ্জত নিয়েছে ছিনিয়ে!
আজও চেষ্টা করে নিতে;
সুযোগ পেলেই লুফে নেয় তারা সেই পুরাতনের ন্যায়!
আমরা বাঙ্গালী জাতি হয়ে কি করে করি দেশের ক্ষতি?


আজ যেখানে ভোগ করছি স্বাধীনতার স্বাদ;
বিশ্বের বুকে প্রমাণিত ও বিশ্ব চিনেছে বাঙ্গালীকে!
যেখানে বিশ্ব জাতীয় সংস্থার দরবারে স্বর্ণাক্ষরে নাম লেখা হয়েছে
তাহলে কেন আজ আমরা একাংশের অংশের..


অংশের ভগ্নাংশের দু’চার’জন বলি,
দেশ স্বাধীন না হলেই ভাল ছিল?
তাহলে আপনার কাছে সমাধা কোথায় ছিল?
আপনি কি জানেন এর ইতিবাচক কি হতে পারতো?


আল্লাহ্ রাব্বুল তখনই মানুষের সামর্থ্ দান করেন!
যখন এক মানুষ তার অপর একজন..
ভাইয়ের সহিত ক্ষমতার অসদ ব্যবহার করেন;
ততো সময় পর্যন্ত তাকে কিছু বলেন না যত সময় না তিনি ধৈর্য হারান!


আল্লাহর একমাত্র চাওয়াতে এই স্বাধীনতা অর্জন।
কেন আপনারা যারা অনেকেই মানতে চান না?
একটি দেশ স্বাধীন করাটা কি চার’টে খানিক কথা?
কত না রণা-কৌশল, কত না কুনৈতিক তৎপরতা!


এক জন মানুষের সাথে কত মানুষের জীবন জড়িত;
সকল কিছুর উর্দ্ধে যে সেই জাতির জনক..
বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের আত্নত্যাগ ও স্বীকৃতি
তাই তো আজ তিনি যোগ্য নেতৃত্বের ছিলেন,


অকূতো ভয়ের বাঙ্গালী জাতির;
এক উজ্জ্বল নক্ষত্র! তিনি বাঙ্গালীদের আর্শিবাদ!
তিনি ক্ষণ-জন্মা;
বাঙ্গালী জাতির জনক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।


তাই তো আমরা একটি উপহার পেয়েছি লাল সবুজের স্বাধীনতা
স্বাধীন বাংলাদেশ ও লাল-সবুজ পতাকা।
আমাদের মাঝে থাকতে পারে কাজের গড়মিল!
কথার সাত-পাঁচ; থাকতে পারে আত্নার অহংকারের ক্রুটি;


থাকতে পারে সম্পদ নিয়ে কোন দ্বন্দ!
তারপরও বাংলাদেশের লাল সবুজের পতাকায় লাগাতে দেব না!
না কোন গ্লানি।
ঘৃনা করা যাবে না কোন অবস্থাতেই স্বাধীনতা অর্জনের সেই সেরা নায়ককে;
তারই ছায়া তলে গ্রহণ করবো স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের রক্ষার কাজ!


আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি বটে!
আজ আমাদের রক্ষার দায়িত্ব রয়ে গেছে এই স্বাধীনতার সার্বভৌমত্বের।
আমাদের দূর্বলতা প্রকাশ পাবে না কোন বর্হি:শত্রুদের মাঝে!
কোন অবস্থাতেই; সকল প্রতিকূলতার মাঝেও আমরা বাঙ্গালী জাতি।


একটি পতাকায় আমরা আবদ্ধ;
একটাই কথা আমরা বাঙ্গালী!
আমাদের রাষ্ট্র ভাষা বাংলা!
আমাদের রয়েছে জন সমষ্টি, নির্দিষ্ট ভূ-খন্ড;


স্বাধীনতা অর্জন করেছি!
রাষ্ট্র গঠন করার ক্ষমতা আছে আমাদের!
আমরা যারা চিন্তা করি;
দেশ স্বাধীনতায় দ্বি-মত পোষণ করি;


ভেবে কি দেখেছি আমরা কি ভাবছি?
আমি সাধারণ মানুষ! তবে হতে পারিনি মানুষ;
হওয়ার চেষ্টা করছি বইকি!
যে ভাবেন দেশ স্বাধীন ঠিক হয়নি?


আপনি কি শুধু ব্যক্তির মধ্যেই থাকতে চান?
দেখতে পান না যে আজ পাকিস্তান কি করে চলছে?
কোথায় তাদের অবস্থান?
আমি কিছু করতে না পারি দেশের জন্য!


যেন ক্ষতি না করি দেশের

পরবর্তী প্রজন্মের ভবিষৎ বোঝার জল্পনায়!
আবেগ দিয়ে আপনি গড়ে তুলছেন আপনার জগৎ;
বন্ধ করুন সেই আবেগ! দেখুন এখন আপনার বয়স কত?


আপনার বলির স্বীকার দিয়ে আপনার প্রজন্মকে বলি করবেন না।
যা নাকি তার সামান্য জীবনে..
বাংলার স্বাধীনতার স্বাদ গ্রহণে সারাটি জীবন হয় বিপন্ন।
আপনাকে তো কেহ না করে নাই;


যে আপনি অন্য দেশে যেতে পারবেন না;
না লাগলে ভাল, না মানতে চাইলে যান না চলে সেখানে,
যে দেশ পাকিস্তান লাগলে ভাল।
কে বলেছে আপনাকে স্বাধীনতা মানতে?


দেশে থেকে অন্যদেশের পক্ষে কথা না বলে..
যান না সেই দেশ যেখানে আপনার ভাল লাগে!
করেন গে সেখানে যেয়ে যত পারেন ষড়যন্ত্র;
করেন কেন দেশে বসে?


তারপরও বলি সমস্ত ভুল বোঝা-বুঝি বন্ধ করে,
আসুন আমরা একই বাংলাদেশের;
স্বাধীনতার পতাকা তলে একতা বদ্ধ হয়ে;
সকল দ্বিধা-দ্বন্দ মাথা থেকে ঝেঁড়ে-ফেঁলে;


আমরা গঁড়ে তুলি একটি সোনার বাংলা!
হই আমরা প্রকৃত বাঙ্গালী।
দেশ স্বাধীন হয়েছে বলে কি!
আপনার অর্জনের আর কোন জায়গা নেই?


আপনি বোকার রাজ্যে বসবাস করেন;
দেখতে পাচ্ছেন না! আজ এই দেশ স্বাধীনতা অর্জনের ফলই,
হলো আজকে আমি আপনাদের মাঝে!
প্রবেশ করার চেষ্টা করছি;


যা এক মাত্র স্বাধীনতা অর্জনের জন্যই সম্ভব হয়েছে।
আপনার যদি মেধা থাকে আপনিও পারবেন;
এই দেশ স্বাধীন হয়েছে বলে আপনার যোগ্যতানুযায়ী
অর্জন করার এক সুবর্ণ সুযোগ!


যা না কি আপনি কখনও ভাবতেও পারেন নি:
আর হানাদার বাহিনী নয়!
আর নয় পাঁকিস্তানী!
আমরা সকলেই বাঙ্গালী।


পতাকা একটাই সেটা হলো স্বাধীন বাংলাদেশ!
রাখতে হবে ধরে এই স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বকে;
সমস্ত অপশক্তিকে রুখতে হবে সব সময়ই!
থাকতে হবে একই ছঁকে গাঁথা মালায়;


যে কোন উপায়েই আমরা বাঙ্গালী জাতি;
নেতা মোদের একজন!
নেতৃত্ব দেওয়ার পূর্বে তাঁরই দিক্ষা পেতে হবে যে আমাদের;
সে হল বাঙ্গালী জাতির নেতৃত্বের অভিভাবক;


দেশ স্বাধীনতার জনক!
বাঙ্গালী জাতির জনক!
বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান।
    
==***==


বাণী : সমালোচকেরা কখনই স্বাধীনতার স্বাদ গ্রহণ করতে পারেন না।।