এক দিন পড়ন্ত বিকেলে
সন্ধ্যা প্রায় ঘনিয়েছে গগনে!
গেলাম ছুটে ঝর্ণাদের বাড়িতে
ও দের বাড়িতে প্রবেশে সতর্ক


বেল বাঁজাতেই দেখা হল ঝর্ণার
সম্মানিত মায়েরই সাথে’ সালাম ও
কুশল বিনিময় পর্ব শেষে বললাম
খালা আম্মা ঝর্ণা কি আছে বাড়িতে?


এ কথা বলাতেই বললেন পাশের বাড়িতে।
তুমি বস আমি ডাকছি ও কে!
ঝর্ণার মাতাজান নামটি ধরে ডাকছেন
ও ঝর্ণা দেখ তোর কাছে কে এসেছে?


ঝর্ণা বলে কে এসেছে; নাম কি তার?
ঝর্ণার মাতাজান বলেন আয় এরপর দেখ!
নিজেই জানতে পারবে কে এসেছে।
ঝর্ণা এলো ছুটে’ নিজ বাসাতে!


ড্রয়িং রুমে প্রবেশ করেই ঝর্ণা
আমাকে দেখেই বলেন ও আপনি!
বিপ্লব ভাই! আপনি এতো দিন
পর পড়লো মনে।কেমন আছেন?


ভুলেই তো গেছেন আমাদের কথা!
ও যে কতটাই খুঁশি হয়েছিল ঐ’
চুপচাপ টাইপের সুন্দর গড়নের
অপূর্বা সুন্দর মিষ্টি হাসির মায়াবী'


রুপ খানার দেখেতে লেগেছিল
অপূর্বের অনন্যতায় ভরা মনে।।
ওর উদ্ভাসিত মুগ্ধকর লাবণ্য
মুখের স্মৃতির স্মৃতিচারণ হরিণী


চোখের চমৎকার হাসিতেরই
ছলছল দু’চোখের জল রাশির
কণা' খুঁশিতে বর্ষিত হল যেন
সুখ ভাবনাতে। কতটাই আপন


জেনে বলেছিল এতো দিন পরে!
তাহলে পড়লো মনে? ও বলেন
ফ্রেশ হয়ে এসে বসেন এখানেই
আমি আসছি ভিতর হতে। ও গেল
অন্দর মহলে খালি হাতে।


এলো যে ফিরে মিনিট দশেক পর
ভরা হাত দু’টিতে জল-খাবারের
পিয়ালা ভর্তিতে ওর পছন্দের নিজ
হাতে বানানো অ‍্যাপ‍্যায়ন ট্রে-ভর্তি'


হরেক রকমের নাস্তা ও গ্লাস ভর্তি
শরবত নিয়ে। এসেই বলেন নেন মুখে
দেন! আর কথা বলেন! সেই কবে দেখা
হয়েছিল, আর আজ ভাগ্য বটে?


জল খাওয়া শেষে নিয়ে এলো গরম চা’
নিজেও নিলো একটি চায়ের কাপ হাতে।
এ কথা; সে কথা; আমি আর কিছুই
পারছি না বলতে ও কে! ওর কথাই..


তো শেষ হবার নয়; কত আদর পরশ
মাখা আলতো নয়নের চাহনির অহনীয়তা।
সেই তরে বলে কত দিন দেখি না
আপনাকে’ প্রতিদিন পথ চেয়ে থাকি।


অপেক্ষাতে হয় এই বুঝি এলেন। আর
সেই আসা আসলেন এই যে আজ মাত্র।
বুঝতে পারছি আজ আর হবে না ওর’
প্রেরিত পত্রের জবাব প্রেরণে। ও যে


খুব সরল মনের মেয়ে! ও যে কি করছে
আমাকে পেয়ে, তা আমি নিজেই অবাক!
সেই তরে কি করে বলা যাবে আমার
মনের কথা মালার জমাট বাঁধার জটলা।


তাই তো আজ আর নয় ঝর্ণার পত্রের
জবাব প্রথম পর্ব এখানেই চলমান রেখে
শেষ করলাম। শুভরাত্রী যাপনের আশায়
সকল পাঠক ও শুভানুধায়ীকে সালাম।।
===***===
===***===
বাণী: অনেক সময় এমন পরিস্থিতির স্বীকার হতে হয়’ যা নিজ মনের কথাটি প্রকাশ করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। সেই ভাবনাতে নিজেকে গুঁটিয়ে মনের কথা মনে রেখেই অপরের ভালো লাগাটাকেই প্রাধান্য দিয়ে খুঁশি করা ছাড়া আর কিছুই বলার থাকে না।