চৌদ্দতম পর্বের শেষে এলো ঝর্ণার ঝলক
এক যে অগ্নি মূর্তির বেশে। ঝর্ণা যেন প্রেম
পিপাসিত চরণেরই মননে কি যে অধিকার?
বড়ই এক সেই আবদার কতটাই আপনের।


প্রেম-পিপাসিত পেয়ালার হাতটিতে ভরা
প্রেমিক হ্নদয়ের টানে বার বার বাড়িয়ে
ঐ'দুটি সুন্দর দেখতে মলায়েম কমলমতি
আদুরে হাতের স্পর্শ কে না পেতে চায়?


তারপরও আমি কেন পেয়েও সংকোচ!
প্রিয় ঝর্ণা এবার শোন!
তোমার মাঝে ভালোবাসার প্রেরণা
রয়েছে। আমার মাঝেও কম নহে।


তোমার প্রতি বিন্দুমাত্রও আমার নেই
কোন অবহেলা ও অপছন্দের। শুধুই
আমি এটুকুই জানাতে পারি। আমার-
হাতে-প্রেম-বিবাহ-ঘর-সংসার-নিয়ে-
ভাবনার-মোটেও-নেই-তো-কোনই-সময়!


এক্ষেত্রে বলো আমার আছে কি করার?
তুমি আমাকে নিয়ে আকাশ-কুসুম ভাবলে
হবে কি? তুমি তো আমার শুধুই উপরের
সৌন্দার্য দেখেই মহে মত্ত হয়েছো। ওরে
অবুঝ! প্রেম-প্রেয়সী মনের প্রেমিকা।।


আমার জীবন চলছে কোন মতে এই
ঢাকার শহরটিতে বড় একা; যদি তুমি
আমার রুপ দেখে পাগল না হতে। তবে
বুঝে নিতাম তুমি আমার যোগ‍্য অনুসারী'
তোমার প্রেমের মাঝে বড় বুদ্ধি লুকায়িত।


আমি যে বড়ই মাকাল ফলের গন্ধবের
কিষ্ণনো! কি করে তুমি বুঝবে? কেন
আমি সরি তোমারই হতে? আমি যদি
করি চালাকী! তাহলে ঠকবে যে তুমি।


তোমাকে অনেক ভাল জানি তাই আমি
ঠকাতেই চাইনি তোমাকে আমার হতে।
তুমি যে বড়ই লক্ষী মেয়ে। আমার হয়নি
এখনও চাল-চুলার ঠিক ঠিকানা। নিজ


বাড়িতে যাও বা আছে তাও তো বাবা-
দাদার পৈত্রিক সম্পত্তি। তুমি তো মাছে
দুধে আছো ভালোই। আমি জেনে বুঝে
কেন করবো তোমাকে অর্থের অভাবের'


কষ্ট নামক দুর-দর্শাতে? আমার বলতে
ঢাকার শহরে নেই তো কিছুই। এই কথা
শোনাতেই বলবে! ঘর জামাই থাকতে।
আসলে নিজেই ভেবে দেখ' একটি মেয়ে;


যে বাড়িতে জন্ম নিলো! সেই বাড়িতেই
পিতা-মাতা-ভাই-বোনের-সামনে-স্বামী-
স্ত্রী-সকাল-দুপুর-বিকাল-সন্ধ‍্যা-রাত্রী।
কেমন যেন দেখায়? আমায় ভাল লাগে '


না' ঐ'ভাবে সময় পার করতে। যা হাই
হোক না কেন! আজিকের মত এখানেই।
প্রিয় পাঠক ও পাঠিকা সাথেই থাকুন'
চলমান দেখুন না প্রেমের টানের খেলা।
===***===
===***===
বাণী: একটি কথাই জেনে রাখা ভাল চাল-চুলা ছাড়া জীবনে কখনও প্রকৃত প্রেম-ভালোলাগা-ও-ভালোবাসাতে কখনও সুখ-শান্তি আসে না। তাই আবেগ দিয়ে কোন অবস্থাতেই জীবন চলে না। সেই সমস্ত আবেগ পরিহার করাই উত্তম।