একটি বার ভেবে নিলেম সেই মনে
ঝর্ণার বয়স এখন যে বিবাহের!
এই বয়সে বাঙ্গালী মেয়ে বলে রয়
কত শত কথা পাড়া প্রতিবেশীসহ;


আরো অনেকেই' কি জীবন মেয়েদের
এক সময়ে বয়স নিয়ে এটা-সেটা রঙ্গ-
মাখানো কথা-বার্তা। মেয়েদের গাঁয়ে
একটু উঠন্ত বয়সের রং ধরলেই বিবাহ


নামক শলা-পরামর্শ গল্পের শোলক-
ছড়ার ধুম পড়ে মহল্লাতে। সেই ভাবনাতে
ওর ও তো বয়স বিবাহের। ও আমাকে
প্রস্তাব করে ভাল লাগার! আবার অধিকার'


রয়েছে পত্রের সূত্রতার। প্রিয় বান্ধবী বলে
কথা; সে পাইনি' তার ও কে তাতে তেমন  
কোন ক্ষোভ নেই; তবে ওকে দিয়ে যেতে
চেয়েছে তার ভালো লাগাকে!


যেন দেখতে পান প্রিয় বান্ধবীকে ঘিরে
আপন করে ভালোবাসার মানুষটি নয়নে
ধরে রাখবে বলে। এরই নাম যে কতটাই
ভাল লাগা ও ভাল বাসা! তা আর কে বা..


জানেন! যে জন ঐ'রকমের নিখুঁত মনটি
হতে হ্নদয় নিংরানো ভালোবাসতে পারে
সেই তো ভালো বেসে লাইলী-মজনু; ইউসুফ-
জুলেখা; সম্রাট শাহজাহান-মমতাজ আরো'


কতশত নাম না জানা প্রেমি দেওয়ানার তরে।
হবে যে এক সময়ে যৌবন নামক সুন্দরেরই
ঘাট-ছাড়া বাঁধারই শোভাতেরই এক চমৎকার
মানব-জীবন-নামক-সুখী-অনুভূতির-দু'টি-মন।


সেই মন অনুভাবেরই তরে ও যে আমাকে পত্র
প্রেরণে সুবার্তা পাঠিয়েছেন ঐ'মন হ্নদয় ও প্রাণ
নামক স্পন্দনের টানে। প্রকৃত পক্ষে ও তো এক
রকমের বোকাই বটে। কাউকে প্রেম নিবেদনে'


প্রস্তাব করতে হলে আগে জেনে নিতে হবে যাকে
সে ভালো বাসবে সে কি চাহে! তার চাওয়াটাও
কি একই ' না কি ভিন্নতার প্রকাশে রয়ে চলে
উল্টা পিঠেরই চরণের এক এক-ঘেয়েমীতার..


পরিচয় বহনে? সেই ভালোবাসা কখনও পেতে
পারে না প্রেমিক-প্রেমিকা ভালোবাসা নামক
দীর্ঘ-সূত্রীতার চমৎকার ভাবনার একই সূত্রেই
গাঁথা নামক মাল‍্যের অবদানের প্রাপ‍্যতার ফল।
চলমান;
===***===
===***===
বাণী: ঝর্ণার প্রেরিত পত্রের উত্তর (তৃতীয় পর্ব) শেষ হওয়ার মত নয়! আসলে মানুষের প্রেম-ভালোবাসা যে কতটাই গভীর তা বোঝা বড়ই দায়। যে জন প্রেম ও ভালোবাসা নামক অমৃত সাধের শোভা পাইনি জীবনে (নারী-পুরুষ) তারা জানবে কি করে। আর যে সকল মানুষেরা একজন আরেক জনের মনের চাওয়া না জেনেই শুধু নিজের চাওয়াকেই প্রাধান‍্য দিয়ে এক চাটিও  প্রেম নামের অসম্পূর্ণ জীবন যাপন করে থাকে। সেই সকল  মানুষেরা প্রকৃত পক্ষে প্রেম বোঝেই না। শুধুই আবেগ তারিত ভালোলাগা নিয়ে চলে থাকে। সকল প্রেমিক-প্রেমিকা আসলে প্রেমই বোঝে না। তারা শুধুই যৌবন তারিত মনে সকল কাজ-কর্ম ফেলে জীবন গড়ার বালাই না জেনে ও বুঝে শুধুই বে-সামাল চাল-চলনে হতাশায় হাতে পঁয়সা না থাকলেও তাদের যায় আসে না। তারা শুধুই রক্ত-মাংসের চোখের দৃষ্টি অমৃত সুধাতে রঙ্গ-তামাশা করে প্রেম নামক অমানবিক জীবন-যাপনের ন্যায় কর্ম-কান্ড করে চলে থাকেন। যা প্রকৃত প্রেম-ভালোবাসাতে বাঁধা গ্রহস্ত।।