ষষ্ঠ পর্বের এই মর্মে আর্দিষ্ট হয়ে
সপ্তম পর্বের শুরুতেই ভাবনাটা
এই যে, একটি পত্র লিখে দিবো
বলে কাগজ-কলম নিলাম হাতে।
কি লিখবো? শুরুটা সম্ভাষণে হবে?
কোন ভাষাতে সম্বন্ধন করে লিখবো?
যে কারণে ঝর্ণার সাথে তো আমার
ছিল না কখনও সাক্ষাৎ-প্রেমের ভাব!
ও আমাকে ওর প্রিয় বান্ধবীর ভালো
লাগা ও পছন্দের মানুষটাকে যদি ওর
পছন্দ হয়। সেই ভাবনাতে প্রস্তাব করে
দেখার জন্যে বলেছে একান্তই আপনে।
ঐ'মনে ঝর্ণা তো একেবারে আমার মন
না জেনেই একটি চমৎকার ভালো লাগার
মত নান্দনিকতাতে রসে ভরা প্রেম নামক
অসাধারণ হাতের লেখনীতে সত্যই মুগ্ধ।
সেই তরে অপূর্ব ছন্দ-তালে-ছন্দ-মনে
হ্নদয়ের টানে প্রেমময়ের তরে প্রেমিকের
টানেরই ইতিহাস সৃষ্টির এক সুন্দর প্রেরণা
যোগানো লোভনীয় প্রেয়সীর পিপাসী মন।
যেন অধিক আগ্রহে আসন পেতে বসে রয়
নিজেকে হারাতে মন ও প্রাণের টানে নিজ
হ্নদয়কে সর্পে দিতে। অনেক ভাবনার মাঝে
লিখতে বসলাম একটি পত্র ঝর্ণার কিনারে!
প্রিয় ঝর্ণা আমার শুভেচ্ছাসহ সালাম গ্রহণ
করবে; আশা রাখি আল্লাহর রহমতে ভাল
আছ। প্রথমে এই পত্রটি পেয়ে আমাকে
চিনতে পারবে কি না জানা নেই? অনুমান..
করে নিবে আমি কে? আর বেশী সময় নিব
না। বলে দেই তোমার প্রিয় বান্ধবীর পরিচিত
যে তোমাকে আমাকে সম্পর্কে তোমাকে বলে
গেছেন' তার বিবাহ হয়েছে। সে না কি পছন্দ..
করতেন আমার মত একজন হত-ভাগাকে।
সে যে কতটাই করতো পছন্দ তারবার্তাটি
পেয়েছি তোমার পত্রটি পেয়ে। আসলে আমি
কখনও জানতাম না ও আমাকে যে কতটা'
ভালো বেসেছিল? আগে জানালে হয়তো
ম্যানেজ করে নিতাম। কিন্তু এমন সময় ওর
আবেগের বাক্যালাপ আমাকে প্রবেশ এন্ট্রি
করায়েছে তখন আসলে আমি একেবারেই
বিবাহ করার মত অতবড় দায়িত্ব নেওয়ার
যোগ্য হয়ে উঠছিলাম না। সেই জন্যেই ওর
কথা রাখতে পারিনি। ও আমাকে ওর ভাল
লাগার কথাটি তোমাকে অর্পণ করে দিয়ে
নিজেকে হালকা করতে চেয়ে তোমার মাঝে
আমাকে দেখবে বলে। আসলে ও তো নারী
কূলের অনন্যতার শোভা মনের মানুষ। আমি
ও ওকে পছন্দ করতাম। বিবাহও করতাম।
যদি আমাকে সময় দিতো। মেয়ে মানুষ বলে
কথা। একটু গাঁয়ে-পাঁয়ে হলেই বিবাহ নামক ঐ'
সেই মনে ধুম পড়ে যায় কন্যা-দ্বায় ছাড়াতে!
যাহা কিছুই হোক না কেন' তোমার প্রেরিত পত্র'
আমি পেয়েছি। অনেক ভাল পত্র তুমি লেখ!
সত্যই তুলনা হয় না তোমার লেখনিতে। মুগ্ধ
হয়ে পড়েছি শতেক বার। সময় পেলেই পড়ি।
অসম্ভব সুন্দর ছন্দবেশের চমৎকার ভাবনার'
পরিশুদ্ধ তোমার প্রেমা কাব্যময়ের পত্র চরণ।
হয় না তুলনা এই দুনিয়াতে অন্য কিছুরই তরে।
তুমি আমাকে তেমনটা জানোও না চেনোও না!
বান্ধবীর প্রশংসাতে সহমতে তোমার ভাল লাগা।
অনেক ধন্যবাদসহ সাধুবাদ জানাই তোমাকে'
সত্যই আমার জীবন স্বার্থক ও ধন্য হল আজ!
তোমার মত রুপবতি; গুণবতি; সুন্দরী; অপরুপ
-অপূর্বের ঐ'সেই এস. এস.সি পরীক্ষার সময়ে!
পরীক্ষার হলে দেখা ও মানে তোমার প্রিয় বন্ধু
আমার সঙ্গে পরিচয় করায়ে দিয়ে বলে ছিল;
ও আমার প্রিয় বান্ধবী ঝর্ণা ও খুব ভাল বন্ধু।
পত্রে জানতে পারলাম সত্যই তোমরা অনন্য।
চলমান...।
===***===
===***===
বাণী: এরই নাম বন্ধু! যে নামটির পাশে বন্ধু শব্দটি রয়! যাকে যে বন্ধু পছন্দ করে থাকে নিঃস্বার্থক ভাবে একান্তই আপন জেনে। এক মনে পেতে চেলেও না পাওয়াতে কোন আপসোস নেই। তবে যেন হাতের আশে-পাশে থাকে। পান যেন প্রিয় বান্ধবীর মাধ্যমে দেখতে। সেই ভাবনাতে খুব বিশ্বস্ত বন্ধুর কাছে রেখে হাত কড়া পরিয়ে দু'নয়নের চাওয়ার স্বাদ যেন আপন করে পূরণে অপর জনের পাশে রেখে দেখবেন বলে। হায়রে ভাল লাগা ও ভালোবাসার একান্তই মানুষের মন। ক'জনা বোঝেন ও জানেন এ'জগতের।।