লিখতে আমি জানি কি?
কোথায় কোন কবিতায়
ছন্দ বেশ না মিলালেই
হতেই চাইবে না ছড়ার কবিতা!


অন্য মনে কেহ বলিবে
হয়নি ছড়ার কবিতা;
মানিতে চাইনি আমি'
পারি না লিখিতে ছড়ার কবিতা?


ছড়ার কবিতা হতেই হইলে
প্রতিটি কথায় চরণে রইবে
শব্দ বিন্যাস সুন্দর পঠনে
পঠিত বেশ হইবে ছন্দময় কাব্য।


তাই তো কবিতাটিতে ছন্দের
রুপ লাবণ্যের কাঁঠিতে আঁচড়ের
কারুকার্যের অপরুপ শোভাতে
হইবে কি সেই সাঁজের সভ্যতা।


নয় তো কোনই মনন মাঝে হইবে
কোন সেই প্রাণের তরে;
সবাই আমরা বলি সভ্য জাতি!
মনকে না জানিয়াই হয়েছি যে ভারী।


কিসের তরে কোন নেশাতে চলছি আমি?
তাই তো বলি কোন নিয়মের তরে!
হন্নে হয়েই ছুটি এক শ্রেণীর মানুষেরা,
তবেই কি ছন্দতেই হইবে ছন্দময কবি।


আপনি বলিয়াছেন এই কবিতাটি ছড়ার নয়
হতেই পারে বিবিধ, মানবতাবাদী কবিতা তাতে কি?
যে কবিতায় অর্থবহতা বহণে হইতে চাহে না অর্থবোধক!
সেই কবিতা আবার ছন্দময় কি, আর ছড়ারই বই কি?


এমনই কবিতা আমি লিখিবো
হয় যেন মানব কল্যাণের
হয় যেন পথ প্রদর্শকের
হয় যেন শিষ্ঠাচারের
হয় যেন শিক্ষণীয়
হয় যেন আদব-কায়দার
হয় যেন গৌরবের
হয় যেন মুন্যুষ্যত্বের বিকাশের
হয় যেন বিবেকবানের
হয় যেন নিজ উপকারের প্রকৃত বন্ধু!
হয় যেন অপরের কল্যাণের
হয় যেন একে পরের তরে
হয় যেন প্রত্যেকে আমরা একে অপরের তরে।
তাই তো বলি জীবে দয়া করে যেই জন
সেই জন জন হয়, সেই বিশেষ:স্বর।।
===×××===
===×××===
বাণী : আমার কণ্ঠ ভাল না, আমি সূর জানি না, আসে না সূর মন হতেই, পাই না কোনই সূরের তাল, আছে আমার বিশালতার মন ও প্রাণ, সেই প্রাণের সূরে নাওনা নিজেকে আপন করে আমাকে। জীবনে মানুষ যত রঙ্গ-তামাশায় জীবন অতিবাহিত করুক না কেন! প্রকৃত পক্ষের (বাস্তব) জীবনকে যদি সফলতায় ভরতে না পারা যায়, সেই রঙ্গ-তামাশার জীবনে শুধুই এক সময়ে ছড়া-কাঁটারই বড় কিচ্ছা হয়েই রয়ে যায়। তাই তো বলি রঙ্গ-তামাশার জীবন নহে; রঙ্গ-তামাশাকে সাথে যৎ সামাণ্য নিয়ে, গড়ে তোল নিজ জীবনকে তবেই তো হতেই পারিবে প্রকৃত পক্ষেরই একজন উপযুক্ত মানুষ (আশরাফুল মাখলুকাত)।।