আমরা মানুষরা জেনে না জেনে কত না অপরাধ করি;
অজান্তেই হেয়ালিপণায়, প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে..
মিথ্যা বলি যে আমরা মানুষরা!
মানুষ যখন আমরা মিথ্যা বলি,


সৃষ্টি করি কলহ; সৃষ্টি কর্তা তখন হন নির্বিকার;
ভাবায়ে তোলেন কেন যে করেছি সৃষ্টি এই মানুষ?
তাই তো আল্লাহ্ বিভিন্ন সময়ে হেদায়েতে মানুষকে..
সংশোধনে পরীক্ষায় ফেলেন বিভিন্ন আলামতের;


আমরা মানুষরা কি দেখতে পাই না?
কি ঘটছে দুনিয়াতে?
প্রাকৃতিক আলামত কি দেখতে পাই না?
আকাশের বিদ্যুৎ চমকানো কি দেখতে পাই না?


ঝড়—বৃষ্টির প্রলয়ংকর কি দেখতে পাই না?
শয়তান শুধু ক্ষতি করতে পারে মানুষের ঈমানের!
অন্য কিছুর নহে!
আর আমরা মানুষরা অন্যায় করলে সংশোধন না হলে..


আল্লাহ্ ক্ষতি করতে পারেন সব কিছুরই।
জীবনে আমরা কত কিছুই তো দেখতে পাই;
ভাঙ্গা—গড়া, নদীর এককূল ভাঙ্গে আরেক কূল গড়ে!
আজকের ধনী আগামী দিনের গরীব;


তবে কেন আমাদের এতোটাই অহংকার?
প্রকৃত শিক্ষা অর্জন কর!
কর উপলব্ধি!
তবেই তো আসবে আমরা মানুষের মাঝে ভয়—ভৃতি;


আমরা করবো না কভু অন্যের (মানুষের) ক্ষতি।
হবে না নিজেরও ক্ষতি!
শান্তিতে কাঁটবে আমাদের জীবন;
কেন করি অপরের ক্ষতি?


কেন করি ভবিষ্যৎ নষ্ট?
আমার কু—কর্মের স্বীকার হয় কেন প্রজন্ম?
গ্লানি সইতে হয় কেন সারাটি জীবন?
কেন বিচ্ছেদ ঘটে (নারী—পুরুষের)?
কার কাছে গেলে পাবো যে আছান?


কিসের নেশায় মত্ত হয়ে যার জন্য হই পাগল..
আবার তাকেই করি কেন ঘৃণা?
এমন স্বভাব তো মানুষ মানুষের জন্যে হওয়ার ছিল না?
আমরা মানুষরা কোন না কোন ভাবেই অপরাধী!


কেহ বড় অপরাধী, কেহ ছোট অপরাধী,
কেহ বা বিনা কারণে মিথ্যা কুৎসা-রটনা করে বেড়ায়!
আসুন আমরা মানুষরা সত্যের পূজারী হই;
মিথ্যাকে না বলি, অপরের হক নষ্ট না করি!


নিজের ভবিষ্যত কল্যাণে সদা—সর্বত্র সত্যের পথে চলি;
কেন এতো অবৈধ লোভ আমাদের?
কি হবে বিনা যোগ্যতা অর্জনে প্রাপ্তিতে?
কথায় আছে কাঁচা—বাঁশে ঘুন ধরলে..


টিকসই হবে না যে বেশি দিনের।
আসুন আমরা সঠিক জ্ঞান অর্জন করি!
সঠিক রাজনীতি চর্চা করি!
প্রজন্মকে দেই সঠিক ভবিষ্যৎ দিক নির্দেশনা!


আসুন আমরা প্রতিটি পিতা—মাতা হই শিক্ষিত;
সন্তানরা করবে না আমাদের অবহেলা তাদের জ্ঞানে!
আমরা ছোট হই কখন?
অপরের কাছে যাই যখন জ্ঞান ধার করতে!


অলস হয়ে যাই যখন অপরের কাছে হাত পাততে।
যে কাজে থাকবে না জ্ঞান..
সেই কাজে পন্ডিতি করলে;
আমরাই তো পাপী; পাপ যে জানাতেই’


এই দুনিয়া আল্লাহর সৃষ্টি!
সৃষ্টি করেছেন বিধাতা রিজিকের;
সবই মানুষের জন্যে’
কেন করি অপরাধ অন্যের কাজে আঙ্গুলি দিয়ে?


বিধাতার বিধানে রয়েছে কৌতুক করিয়াও মিথ্যা বলা যে মহা—পাপ।
মানুষ যদি চিন্তা—চেতনায় সত্য ও নিষ্ঠায়
তৈরি করে নিজেকে!
হতে চাবে স্বাবলম্বি; যোগ্যতা অর্জনের!


চাইলে আল্লাহর দরবারে পানা, সাহায্য ও ক্ষমার দোয়া..
কেন কুবুল হবে না কেন পাবোনা সফলতা আমরা মানুষরা?
তাই তো বলি আমি লেখক; শত সমস্যার মাঝেও;
নিজেকে আল্লাহর বান্দা হিসেবে করিনি কারো নিকট ছোট!


করেছি কর্ম ও কঠোর পরিশ্রম;
চেয়েছি একমাত্র আল্লাহর দরবারে সাহায্য’
পেয়েছি সৃষ্টি কর্তার সহানুভূতি ও মেহেরবাণী;
যা ছিল না আমার কখনও সম্ভব; ছিল না কখনও পাওয়ার!


যখনই নি:ষ্পাপ মনে দু’হাত তুলে ফরিয়াদ করেছি..
সেই সৃষ্টি কর্তার দরবারে, হয়েছে দোয়া কবুল।
আল্লাহর সমস্ত সৃষ্টি কূলের প্রতি মানুষ হিসেবে দয়া দেখানোই..
সদালাপণীতে আল্লাহর রহমত ও বরকত বর্ষিত হয় যে;
মানুষেরই কল্যাণে।


আল্লাহর হুকুম রয়েছে স্পষ্টই পবিত্র আল—কুরআনে!
পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায়ের;
আল্লাহর হুকুম মেনে কোন প্রকার অসত্যের কাজ না করে;
দুনিয়ার মহে মত্ত না হয়ে:


চিন্তা—চেতনায় ন্যায়—নীতিবান হয়ে;
আসুন না পবিত্রতার সহিত দু’টি হাত তুলি আল্লাহর দরবারে!
কেন আমাদের চাওয়া কবুল হবে না সেই সৃষ্টি কর্তার..
দরবারে যিনি সৃষ্টি করেছেন আমাদের কে।


আমি তো পেয়েছি!
আপনি কেন পাবেন না?
এই জন্যই তো বলি কে বলেছে দোয়া কবুল হয় না?
হয় না তো চাওয়া ও পাওয়ার সাথে অসামঞ্জ্যতার তারতম্যের কারণেই।


আমাদের যোগ্যতার বাইরে কিছুেই জোর করে চাঁপায়ে দেন’
আল্লাহ্ তাওয়ালা কোন অবস্থাতেই!
আমরাই যোগ্যতার বাইরে চাই যে অতিরিক্ত চাওয়া!
সৃষ্টি কর্তা বলেন দেখ অবুঝ আমার বান্দা করছে যে কি?


জুলুম নিজের উপর; পারবে না যে বহন করতে!
কি করে করি পূরণ আমার বান্দার অনিয়মের চাওয়া?
চাওয়ার মত চাইলে কে বলেছে আল্লাহ্ কবুল করেন না দোয়া?
জুলুমের চাওয়া চাইবো না;
অপ্রাপ্তিতে দোয়া কবুল না হওয়ার আকাঙ্খা মানব জীবনে দেখা দিবে না।।
                            ==×××==
বাণী : বিনা কাজে অঘুমা রাত্রী যাপনে; দিনের বেলায় কাজে-শরীর-মন দিতে চায় না সাই যে।।  
------------