কোথা হতে কি ভাবে বিধাতা দেয় যে!
কি যে আছে আমরা মানুষরা জানার?
কেন এতো করি যে গর্ব?
আমরা মানুষেরা হই অহংকারী!


জানতে বড় ইচ্ছে করে..
তুমিও মানুষ আমিও যে একই;
কেন তবে কর বাক্য প্রলেপ,
ব্যাস বাক্য কি জেনেছি ভাল করে?


একই মানুষ কেহ লেখা-পড়ায় অন্ধ;
কেহ জেনারেল ম্যাথে,
কেহ সমাজ বিজ্ঞানে,
কেহ জৈবিক বিজ্ঞানে,
কেহ সমাজ কল্যাণে
কেহ রাষ্ট্র বিজ্ঞানে,
কেহ প্রাণী বিজ্ঞানে,
কেহ সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এ,
কেহ হিসাব বিজ্ঞানে,
কেহ অর্থনৈতিকে,
কেহ অর্থ নীতিতে,
কেহ ভূগোলে,
কেহ সমাজ কর্মে,
কেহ ডিজাইন ডেভলপমেন্টে,
কেহ আর্কিটেক্টে;
কেহ পরিবেশ ও জীব বৈচিত্তের,
কেহ চারুকলায় ও নৃত্য শিল্পে,
কেহ ম্যানেজমেন্টের,
কেহ হিউম্যান রিসোর্স এর,
কেহ ডাক্তার,
কেহ যুক্তি বিদ্যায়,


এরই মাঝে কেহ বিভিন্ন প্রশাসন ক্যাডারে,
আবার কেহ প্রকৌশলী যে,
কেহ আইই প্লানিং এর,
কেহ আইটি ও তথ্য প্রযুক্তিতে,
কেহ হুজুর ও আলেম-মাওলানা!


কেহ এই পর্যায়ের নহে,
কেহ পথের ফকির,
কেহ ধনী,
কেহ ধনী চোর!
কেহ নামাজী; পরহেজগার;
কেহ শিক্ষা গুরু হয় যে;
কেহ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজী!
কেহ নিয়মিত কাজে ব্যস্ত;
কেহ বেশি গল্প বাজ,
কেহ সদা—সত্য বলে’
কেহ মিথ্যাকেই সুন্দর করে সত্য সাঁজায়ে বলে;
কোন কারণ ছাড়াই বলে!
কেন বলে?
কেহ নিজেকে একটু মিথ্যায় অহংকারী ভেবে।
কেহ বলে আমি শিক্ষিত!


আমার আছে অনেক জানা;
কেহ বলে আমি অনেক বড় চাকুরী করি;
আছে আমার অনেক ধন—রত্ন!


কেহ গাঁয়ে বড়;
কেহ পোশাকে বড় ও অহংকারী;
কেহ চলা ও কথায় পটু!
কারো নেই কোন সুশিক্ষার আলো’
আলো আছে যার সে তো ফুটাতেই এক..
পায় কি কখনও নিজেকে ভাবার গর্ব?


গর্ব করবে তো সেই জন;
যে করবে নিজের জানার।
সেই তো হবে গর্বে আত্ন হারা’
যা না কি সেই মানুষ
হয় নি কখনও পথ হারা।
সেই তো গর্বিত আমরা মানুষ।


          =***=


বাণী : নিজ শ্রম দ্বারা অর্জিত ভাল ও সত্য-নিষ্ঠা কাজে মানবের কল্যাণে কল্যাণ করেই এক মাত্র গর্ব।।