'লাবণী'
একটি মেয়ে (রুপক হিসাবে ব্যবহারিত)
লাবণী নামটি নিতেই'
লাস্যময়ীতায় হয় হাসিতেই
কুটিকুটি! মনেরই মাধুর্যের
রঙ লাগায়ে ঐ লাবণ্যতায়
লাবণীর অট্ট হাস্যোজ্জ্বল
মায়াবী রুপের টানটান হরিণীর!
অপলক নয়নের দৃষ্টি নন্দিত নজর
কাঁড়া মসৃণ কপল খানীতে শোভিত
বুক-ধরপর প্রাণের আচমকা আস্তাদনে'
সুন্দর লাল খয়েরী পড়া টিপ-খানায়
চমৎকার গড়নের মুখখানীতে সরু নাকটিতে
অপূর্ব নলকের ও সুন্দর স্নিগ্ধোজ্জ্বল ঠোঁটে
পরিহিত ম্যাস করা লিপিসটিক! ঐ সাঁজুনীর
সাথে পোশাকও পড়েছো ম্যাস করিয়া; কত
যে তোমায় লাগিছে ভালা সেই ভালা লগনেই
হও যে আটখানা।ভেবে কি দেখেছো কখনও'
নিজকে ঐ' পোশাকে যেমন লাগিছে ভালা!
ঐ মনে করিয়াছো কি অর্জনে সেই রুপ চেতনায়?
না অজানাতেই রহিবে সাঁজুনীরই একজন!


'লাভু'
লাবণী ও লাভু বাবা-মায়েরই আদরের সন্তান'
লাবণী হয় লাভুর বড় বোন!
লাবণী পড়া-লেখায় ও কাজে-কর্মে মোটামুটি
সাঁজু-গুজুতে খুবই পটু' আহলাদে আটখানা!
শুধুই থাকিতে চাহে টিপটপেতে ভরিয়া মন।
লাভু অষ্টম শ্রেণীতে পড়া-লেখা করে!
মা-বাবা ও বড় বোনের খুবই আদরের ছোট
ভাই!লাভু!!


সেইও পড়া-লেখাতে বোনেরই মতন'
বোনকেই নকল করিতে বেজায় ওস্তাদ!
অনেক আশা-আকাঙ্খা বুকে বাঁধিয়া
পিতা-মাতার কষ্টের জীবন সংসারে
তাদের সুখ-শান্তির কথা নাহি ভেবে'
সন্তান (লাবণী ও লাভু) হইবে একদিন
মানুষের মতন মানুষ! সেই আশায় বুক
থাকে বাঁধিয়া তাদের মানুষ করিতে।
এক সময় দেখিতে পারা যায়! শুধুই
সাঁজু আর গুঁজুতেই দুই ভাই-বোন রহে
বেজায় ওস্তাদ' ভবিষ্যৎ অন্ধকার করিয়া।


জীবন গড়া নামক কাজে ছিল না মনটিতে
চাওয়ার! চাহিদার দীক্ষা ও প্রকৃত মানুষ
হইবার' নিতে শিক্ষা' পাইনি সেই অনুকরণ
হইতে। তাই তো বলি বড়রা হও একনিষ্ঠ'
বাবা-মাকে কর তুষ্ট! ওহে লাবণী ও লাভু!
কর পড়া-লেখা, শোন বাবা-মায়ের কথা'
কষ্ট করিয়া জীবনটিকে চাহিবা গড়িতে;
সেই শর্তে দ্বী-মত পোষণ করিলে জীবনে
আসিবে নামিয়া জীবন নামক সুখের
পেয়ালাতে অশুভ লক্ষণের হাঁ-হাঁ-কার।


রইবে শুধুই চমৎকার নামেরই দুই'টি
ভাই-বোন লাবণী ও লাভু! ঐ সুন্দর
নামেরই সহিত নিজেদের যোগ্য না করিতে
পারিলে হইবে না কখনই নিজ জীবন নামক
সাধন ও ভোজন, ভবিষ্যৎ তোমাদেরই; ঐ
দিকে বাবা-মায়ের স্বপ্ন শুধুই অধরাই রহিবে
অপাত্রে সন্তান দানেরই অরণ্যের রোদন মতন।
===×××===
===×××===
বাণী : আমরা মানুষ হিসাবে নামে, বংশে, রুপ চেহারার, পদ-মর্যাদার, অর্থের, রক্ত মাংসের শরীরের গঠনের, শক্তি সামর্থের, অসভ্যতার, পরচর্চার, পরনিন্দার, পরের ক্ষতির, অপরের ধন আত্নসাতের নোংরা বুদ্ধির, অকাজে পারদর্শিতার অহংকার না করিয়া! নিজ জীবনের নিরাপত্তা ও ভবিষ্যৎ মঙ্গল কামনায় সঠিক ও সত্য কর্তব্য নিষ্ঠায় নিজ জীবনকে গড়িয়া তুলিবার প্রচেষ্টাই হলই' একজন মানব-মানবির প্রকৃত জীবন লাভের উপযুক্ত অর্জন।।