প্রিয় কবি রমেন মজুমদার এর উৎসর্গিত কবিতা চরণে উৎসাহিত হয়ে উভয়ের প্রতি শ্রদ্ধ‍্যা রেখে আমার লেখা উৎসর্গিত কবিতা;


এ'জীবন বিসর্জনে আমরা বিসর্জিত
এ'জীবন শুরুই হয় চাওয়া-পাওয়ায়
জাতি, ধর্ম, বর্ণ, বৈষম‍্য, প্রথা বিভাজন
ধনী-গরীব, উচু-নিচু, রাজা-প্রজা'জন।


একযোগে একত্রে একই কাতার ভুক্ত
আমরা সকল ধর্ম বর্ণ জাতির মানব
তারপরও পৃথিবী সৃষ্টি রহস‍‍্যাবিত্তের
চাদরে ঢাকা সৃষ্টিকর্তার মহিমাম্বিত।


সেই অপূর্ব চরণের উষার আলোয়
আলোকিত করতে দুনিয়ার জগত।
এ'জগৎ পরিচর্যাতে রহস‍্যাবৃত্ত সৃষ্টি
মানব জাতি আগমন আদম-হাওয়া।


সেখানেও পরীক্ষিত নাম হাওয়া ছিল
গন্ধব ফল ঈশারা নিষেধ নির্দেশনায়
সৃষ্টিকর্তা আদম তুমি যেওনা গন্ধবতলা
অমান‍্য আদেশে মিলন আদম-হাওয়া।


সবই রহস‍্য সৃষ্টিকর্তার এতো বিশালতা
সুন্দর পৃথিবী পরিচর্যায় দরকার বাকশক্তি
বুদ্ধিদীপ্ত জ্ঞানবান জীবন নামক শিষ্ঠাচার
মানুষ নামের আবাসন প্রয়োজন বোধতা।


সেই অনুশাসনেই সৃষ্টিকর্তা আদম-হাওয়া
পবিত্র ধর্ম গ্রন্থ কুরআন মাজিদ বর্ণনাবৃত্ত।
বরবর জাতি অবুঝ জাতি জুয়াখর জাতি
দাঙ্গা-হাঙ্গামা জাতি হিংস‍্যাবৃত্ত জুলুম জাতি।


এটাও রহস‍্যাবৃত্তের চাদর সৃষ্টিকর্তার রহস‍্য!
এ'কি মানব সৃষ্টি করলেন বিধাতা পৃথিবীকে
পরিচর্যায় আলোকিত করতে বিচরণ মানব
এ'কি মানব মানবে করছে ব‍্যাভিচার লিপ্তের।


এখানেও সৃষ্টিকর্তার রহস‍্যাবৃত্ত ভাবনা অসীম
ব‍্যাভিচারিত মানুষ হ‍েদায়তে যুগ যুগে ধর্মজ্ঞান
সৃষ্টিকর্তার আদেশ নিয়েই মানব মানব প্রকৃত
জ্ঞান চর্চার হিতকরে ভালো আর মন্দ প্রদর্শনে।


অর্জিত জ্ঞান আলোয় আলোকিত হয়ে জয়
যেন নিজসহ করবে আরো দশজনা কল‍্যাণ।
ত‍্যাগ হবে সমাজ হতে অপরাধ পাবে মানব
পরিশুদ্ধ সমাজ ব‍্যবস্থা এক অনন‍্য জীবন।


অতীত ইতিহাস দেখুন নারী জাতির মান
মানুষ মানুষেই হত‍্যা ব‍্যাভিচার জীবন্ত কবর!
সৃষ্টিকর্তা ঐ'ধরণ অশোভ‍্যতা বরদাস্তে নাখোশ
সেই নাখোশে সকল প্রকার নিষেধাজ্ঞা করেন।


নারী জাতিকে সবচেয়ে বেশী মর্যাদার আসনে
আর্শিয়ান করেন এ'ধরাতে মর্যাদাবান করেই।
কত মহাপুরুষ ও মহিয়ষী নারী প্রেরণে রয়েছে
উদাহরণ সভ‍্যতা অর্জনে সফল সেরা জাতিতে।


যে পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কুরআন শরীফ নাজিল হয়
মহা মানবতার কল‍্যাণে কেন বোন আমরা কি
কোন নেশাতে বিকৃত বিভ্রান্ত হতে চাই সঠিক
বিজ্ঞানের মহা-বিজ্ঞান, আইনের মহা-আইন,


অনুশাসনের মহানুশাসন, যা কখনও বিকৃত
করার নহে, কোন মানব কূলের সেই ক্ষমতা
দেয়নি সৃষ্টিকর্তা। আল্লাহ বলেছেন আমাকে
নিয়ে নয়! আমার সৃষ্টিকে নিয়ে তোমরা ভাব!


দেখবে আমাকে পাবে' কল‍্যাণকামীতে জয়ী।
এর ব‍্যয়িত ঘটালে মানব তোমার মাথা ফাটবে।
অকল‍্যাণ তোমারই হবে; তাই মানব হয়ে আমরা
বিতর্কিত বিকৃত মস্তিষ্ক চেতনায় জাগ্রত কর্মফল


কখনও সফলতা পেতে পারে কি? বিধাতা বলেন
মানব কল‍্যাণে অর্জন কর শুদ্ধ জ্ঞান; সেই জ্ঞান
চর্চাতে শুদ্ধ কর নিজসহ পরিবার ও প্রতিবেশী।
এই ভাবেই সমাজ সংস্কার ধীরে ধীরে সম্ভাবনা।


এমন কোনই কর্মকান্ড ঘটানো যাবে কি মানবে?
আজ যা আমি ভাবছি! আগামীতে কি হতে পারে?
আল্লাহর বিধানের বাহিরে যা কিছুই আমরা চাই!
সবই হয় যে নিঃফল বালুচূড়া; অবান্তর মাকাল


ফলের ফল প্রত‍্যাশা। যে ইসলাম মর্যাদা দিয়েছে
নারী জাতিকে। সেই পবিত্র কুরআনের নিয়ম ও
আদর্শকে অবমাননা করে সফলকাম মানুষ কে,
আছে কি এ'জগতে? পৃথিবীর যা কিছু কল‍্যাণকর


যে মানুষগুলি অর্জন করেছে সফলতা জীবনে!
সবই বিধাতার দয়া ও রহমত ছাড়া সম্ভব হয়নি।
যারাই ভেবেছে হয়েছি বুঝি আমি মহাজ্ঞানী জন!
বিধাতা হল রহস‍্যাবৃত্তের চাদর যে জনেরা ধরতে


পেরেছে (নারী-পুরুষ) তারা কামিয়াবী যোগ‍্যবান
পাচ্ছে সফলতা এগিয়ে যাচ্ছে ধীরে ধীরে কল‍্যাণে।
সমাজ সংস্কারে রাখছে ভূমিকা মহা-মানবতা দীক্ষা
সেখানে যে সকল অজ্ঞমানুষ নামে রুপধারী করছে


বেশী অনিয়ম তান্ত্রিক পদচারণের পদচারিত হচ্ছে;
হবেই তারা ধ্বংস; কষ্টে কাটবে জীবন; সে'অপর
এক ভয়ানক শাস্তি যা পবিত্র কুরআন মাজিদ অজ্ঞে!
কেন গবেষণা সৃষ্টিকর্তার আদেশ মান‍্যের বিরুদ্ধে?


কেন নয় কল‍্যাণকর কাজে লিপ্ত হও সঠিক জ্ঞানে?
তবেই তো সকল কর্মে পাবো সফলতা আমরা, সবই
যেন সৃষ্টিকর্তা আবৃত্ত জনম জনম জমিন ও গহীনের।
ভুলের ক্ষমাতে লজ্জা নেই; আল্লাহর অনুশাসন মান‍্যের!


এসো বোন; শোন! কোনই ক্ষতি নেই'  নেই কোনই দ্বন্দ!
কতজ'না অন‍্য ধর্ম হতে এসে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করছে!
কতজন আপনার চোখের সামনেই বেধর্মী অনেক
জ্ঞানীজন সঠিক ধর্ম জেনে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করছে।


আল্লাহর সকল প্রকার শাসন অনুশাসন প্রমাণিত।
আমি কেন একজন অপূর্ব উত্তম ধর্মের মানুষ হয়ে;
থাকবো সামান‍্য ভুলের জন‍্যে নির্বাসনে গুণিজনে?
মহান আল্লাহর নাযিলকৃত প্রদত্ত ইসলাম ধর্ম গ্রন্থ


পবিত্র আল কুরআন এর নিয়ম মেনে চলবো মোরা;
কল‍্যাণ বয়ে আনবো নিজসহ ধর্মের শিষ্ঠাচার সুনাম।
আমরা অন‍্যান‍্য ধর্মের দিকে তাকালে কি দেখিতে
পাই না, কেহ কি কখনও তাদের ধর্ম বিরুদ্ধাচারণ


করছে? না তেমন দেখতে পাওয়া যায় না। সেই
জায়গাতে এতো সুন্দর শিষ্ঠাচার মূলক আদর্শ
পবিত্র মানব জীবন গঠন ও নৈতিকতা ভরপুর
মহান আল্লাহর একনিষ্ঠতার আশ্রয়া আবৃত্ততাশ্রম!


সেই জায়গাতে দ্বিমত পোষণে কেন মনে সংশ্বয়?
পাপকে ঘৃণা করতে বলা হয়েছে! পাপীকে নয়!
তওবার মাধ‍্যমে সংশোধনে নেক কাজে নিয়োজিত
সেই সকল মানুষ গুলিই সফলকাম উত্তম মানুষ।


যা আল্লাহর নিদর্শনের এক রকমের মজিজা রত্ন।
এ'জগৎ শ্রেষ্ঠ‍‍্যত্বের পরিচয়ে আদর্শ সৎ কর্মপরায়ণ
পর-জগৎ যেন শান্তি বিরাজিত মনোতৃপ্ত সফলতা।
আর নয় ভাবনা! ছাড়ি সব মনগড়া চেতনা! করি
বিধাতার আদেশ পালন! হতে পারি যেন উদ্ভাসিত।
তবেই শান্তি; তথায় জয়; সেই জীবন ধন‍্য! নয় পর।


পরিশেষে বলি; অনেক মেধা আপনার! এই মেধা
যদি বিধাতার দয়া নিয়ে বিকশিত করেন, করবেন
জয়। হবেন সমাজের একজন মহান সেবক মানবতা।
বড়ই মন‍্যুষী'জন! আহা; দেখবেন আপনি হাসছেন!
হাসাবেন জগতটাকে। যেন পুরা জগৎ সেরা আপনি।
আর নয় আসি! আল্লাহ আপনার মঙ্গল করুন। আমীন।।
****************************************
এই কবিতাটি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকল জাতির প্রতি শ্রদ্ধ‍্যা রেখে উৎসর্গিত করলাম ; বিতর্কিত কবি ও সাহিত‍্যিক তসলিমা নাসরিন আপুর নির্বাসিত জীবন অবলোকনে। আমীন।