আমরা মা-কে-কি-ভাল-বাসী?
মা যে গর্ভ-ধারিণী!
কত আদর, সোহাগ, স্নেহ-মায়া;
মমতায় দিয়ে যে ভরে!
আমরা যে সন্তান কতটাই অবুলা;
অবুলা কি?
আমরা কি বড় হয়ে জানতে চেয়েছি?
সংসারে শত অভাব-অনাটন থাকলেও!
মা কখনও জানতে দেয় না যে সন্তানকে।
আমরা সেই সন্তান একটু গাঁয়ে-পাঁয়ে;
না দাঁড়াতেই বুঝাতে চাই, আমরা যে কে?
মা তখন নিজ সন্তান বলে যে..
জেনে না জেনে মনে করে;
আমার সন্তান হয় তো ভালই বুঝেছে!
কি বুঝেছে?
আসলে মা তো সন্তান বলে কথা, তাই জেনেছে;
কাজ করে যেখানে আবেগ!
মায়েদের আবেগ তো থাকবেই;
কেন মায়েদের এত বেশী আবেগ?
সন্তানের প্রতি অঘাত ভাল বাসাতে।
মায়েরা মনে করে সন্তান আমার;
বলবে না মিথ্যা যে আমায় কভূ!
সেই ছলনায় মায়েরা পড়ে হয় তো..
সন্তানের কাছে অন্ধ ভালবাসায় হয় যে কাবু।
আমাদের দেশের মায়েরা খুবই সহজ-সরল;
তারা অল্পতেই তুষ্ট!
সন্তানের ছলনায় পায় না যে কতটাই কষ্ট।
এতো টাই যে ¯েœহ প্রবণ মায়েরা;
শেষ বয়সেও কষ্টে কাঁটালেও জীবন!
সন্তান যেন থাকে ভাল সেই কামনায়..
বিধাতার দরবারে থাকে যে রত
সন্তান যে পরিবার-পরিজন নিয়ে কতই না..
থাকে আনন্দ ফুর্তিতে;
এদিকে অনেকাংশেই থাকে না মায়ের ঘুমানোর ঘর,
থাকে না খাঁট ও বিছানার চাঁদর;
প্রশ্নই আসে না তোষকের।
পরনের কাপড় তো যত সামান্যের কথা;
যদিও দেয় অল্প পঁয়সায় কষ্ট লাগে যে প্রাণে!
স্ত্রী-সন্তানের পোশাক কিনতে;
থাকে না পঁয়সার যে অভাব;
খাঁট-পালংঙ্কতে-ঝন-ঝ-নানী;
পোশাকে আশাকে কি যে এক?
রাজা-বাদশা আমরা সন্তানেরা
কি যে নামী-দামী আমরা?
স্ত্রী-সন্তানেরা দামী-বেসবোসের..
মাঝে মধ্যে যায় যদি দাদা-দাদীর কাছে;
তাদের মতই পোশাক ও সাজ-গোছ,
রুপে ও গুণে মেক-আপ না থাকায়,
আবেগে যদিও যায়;
ঘামের গন্ধে বলে যে দাদী পঁচা!
যাওয়া যাবে না তাঁর কাছে।
বউয়ের বিছানা তো থাকে পরিপাটি!
যেন এ কোন এক অন্য বংশের পরিবার!
খাওয়াতে পড়াতে যে,
হোটেল-রেঁস্তোরার ঝন-ঝ-না--নি;
সে যে এক মহা-দামী বড় লোকী কারবারী।
নামে-ডাকে যশখ্যাতিতে চলছে বাহাদুরী!
ঐ দিকে বাড়ীতে মা যে কষ্টে থাকে,
দু’টাকা মাকে দিলেই করি হিসাব খুবই ভারী।
মা যে আমাদের মহা ঔষধ কখন মনে করি;
বউয়ের সাথে বনি-নবা-না-হলে,
কোন বিপদে পড়লে,
সন্তানের অসুখ দেখা দিলে,
চাকুরী-ব্যবসা-বাণিজ্যে মন্দা হলে!
বলি-মা-যে-আমার-মা-ভুল-করেছি-আমি।
তোমাকে আর কোন কষ্ট দিবো না!
দোয়া করো আমাদের জন্য মা-জননী।
অনেক সন্তান আবার নাটক করে!
দেখ-ভালো করতে চায় না বেশি একটা;
আরেক সন্তান নিলে তার বাসায় সে যেন হয় উতালা।
অসুখ হলে কোন ডাক্তারের কাছে,
কোন হাসপাতালে নিতে হবে,
সেখানে প্রশ্ন করার পূর্বেই বলে যে আমি জানি না!
কোন রকমের বিপদ সরে গেলেই,
চিনি কি মা জননী কে?
আমরা সকলেই জানি আল্লাহ্র বিধানে;
আছে মায়ের সন্মান!
পবিত্র ধর্ম গ্রহন্তের বিধানে স্পষ্টই লিখিত আদশে রয়েছে;
আল্লাহ্র পরে যদি কাউকে,
সেজদা করতে হুকুম করতেন তাহলে যে-মা-কেই;
তৃতীয় বারের মাথায় চতুর্থ বারে বাবাকে।
তাহলে মায়ের মর্যাদা কি?
বাবার মর্যাদা কি?
আমরা স্বপ্ন বিলাসী, ইজ্জতকে করি ভয়!
স্ত্রী’র পক্ষের কোন আত্নীয় আসলে কি যে হই?
কোন কাননের ফুলের মতনই হয়ে যাই;
আমরা সন্তানেরা মাকে যদি করি তুষ্ট;
মা যেন অল্পতেই হয় আল্পুত।
মা কি যে এক পরশ পাথর জীবনে আমাদের!
জন্ম যদি স্বার্থক করতে চাই তাহলে মাকে;
ভরে দাও সুখ-শান্তি দিয়ে।
এহো জগতেও থাকবো সুখে,
পরকালেও দেখা দেবে না দোযকের ভয়।
মা-তো-মা-ই-মায়ের-মতন-আপন;
নাহি এই ত্রি-ভূবনে আর কেহ যে নাই।
যে সকল সন্তানেরা মাকে করেছে অবহেলা;
সেই সকল সন্তানেরা পেয়েছে জীবনে যন্ত্রণা;
মা-বাবা কোন অবস্থার স্বীকারে,
সন্তানের জীবন গড়ার ক্ষেত্রে,
অসংগতির দেখা দিলে;
তাই বলে মনে কি করবে বাবা-মা;
কি করেছিল আমার জীবনে?
তাই বলে কি আমরা মুখ ফিরায়ে নিবো,
কি তাদের থেকে?
আমরা মাকে ভুলবো না।
বাবা-কেউ-না।।
মা-বাবাকে সন্মান করবো,
আপন করে গেঁথে রাখব হৃদয় মাঝে!!
সর্বত্র বিরাজ করবো সে যে আমাদের জননী মাতা ও পিতা।      
আমরা মায়ের ভাত-কাপড় দিতে কষ্ট পাই;
এ দিকে বড় পীর মা-বাবা থাকতে;
তাদের অমান্য করে, ভাল থাকায় যায় কি?
সন্তানের উন্নতিতে সব চেয়ে খুঁশি হয় যে মা!
বিনা স্বার্থকতায়;
অপর কেহ হয় যদি খুঁশি..
খোঁজবে যে কখন যেন সুযোগে বলবো
নিজ সুবিধার কথা!
পেলে হবে যে সামাণ্যই তুষ্ট;
উপকার না পেলে করবে যে বদনাম পাড়া ভরে শত।।
আর মা কি তাই:
(নাম যশ-খ্যাঁতি,
পাগল, বোকা,বেকার বোবা, বর্ধির,
কানে শোনে না,লেংড়া-খোঁড়া, কাঁনা সব কিছুরই উর্দ্ধে মা)।
পীরের ও হুজুরের কাছে দোয়া চাইলে;
পীর কি?
কাকে পীর বলে?
হুজুর কি?
কাকে হুজুর বলে?
মা-ই-যে-আমাদের বড় হুজুর, অনেক-বড়-পীর!
মায়ের মুখে ভাত জোটে না পীরের দরবারে
বড়-বড়-হাঁস-মুরগী-গরু-ছাঁগল আরও কত কি?
সন্তান যে বড় ধর্ম ভীরু, ধার্মিক তার লেবাজে।
আর ভুল করবো না সেবায় যে মা-বাবাকে।
এরই নাম মা; কি যে পরশ পাথরের ন্যায়.
মা ডাক শুনলেই মনের মাঝে অন্য রকমের..
প্রেরণা যোগায় মনে সেই যে মা!
নারী কাঁটা সন্তান আমরা যেখানে।
কোনই তুলনা নাই যে;
কোন কিছুরই সাথে সে হল মা-মা-মা!!
সে যে এক একক সত্ত্বা সে হল মা।।
===×××===
===×××===
বাণী : মা হল জন্মদাত্রী! মায়ের মতন আপনজন আর হতে পারে না এই ত্রিভূবণে দ্বিতীয় যে আর কেহ। তাই মা-বাবাকে সম্মানের আসনে সব সময় সর্বত্র ধ্যানে ও খেয়ালে রেখে যে সন্তানেরা জীবন-যাপন করে থাকে' সেই সকল সন্তানেরা জীবনে চরম সুখ-শান্তিতে জীবন-যাপন করে থাকে। এতে কোনই সন্দেহে অবকাশ থাকে না।।