দুনিয়া যে সৃষ্টি করলো
সৃষ্টি করেছে যে পৃথিবী
সৃষ্টিকে বিমোহিত করতে!
বিধাতা সৃষ্টি করলেন..
চন্দ, সূর্য্, গ্রহ, তারা, নক্ষত্র ও জোনাকী রাজ—রাজী!


এই দুনিয়া সৃষ্টিতে; সৃষ্টি করেন..
ভূ—খন্ড, জলাশয়, নদী—নালা, খাল—বিল এবং সমতল ভূমি!
সৃষ্টি করলেন বিভিন্ন বৃক্ষ—রাজী, পশু—পাখি ও কীট—পতঙ্গ;
কত যে নিয়ামত দিয়ে কল্যাণে সৃষ্টি কূলের!


ন্যায়—অন্যায়ের বিচার রেখে..
জ্ঞানার্জনের উপলব্ধিতে সৃষ্টি যে আল্লাহর!
কিভাবে যে করা যায় কল্যাণ;
সেই রহস্য উদ্ঘাটনেই সৃষ্টি কর্তা সৃষ্টি করেন সমগ্র দুনিয়া:


এই দুনিয়ার কল্যাণে..
সৃষ্টি করেন ফেরেস্তা কুল;
সৃষ্টি করেন হযরত আদম ও হাওয়া আলাইহে ওয়াস সালামকে;
সৃষ্টি কর্তা রহস্য যে রাখেন নিজেরই মাঝে;


কঠিন পরীক্ষায় শর্ত দিলেন..
হযরত আদম—হাওয়া আলাইহে ওয়াস সালামকে!
নিষেধাজ্ঞা দিলেন মানতে হবে আদেশ আল্লাহর;
যাওয়া যাবে না ঐ গন্ধব ফল গাছের নিকটে!


খাবে না ফল যে ঐ গাছের;
করলে অমান্য; পাবে না যে ঠিকানা এই বেহেস্তের।
অন্ন পাপী; শয়তানের প্রলোভনে যায় যে গন্ধব গাছের নিকটে;
শয়তান আগ্রহ জন্ম দেয় ফল প্রলোভন ভক্ষণে!


আল্লাহ্ দেখলেন অমান্য করেছে আমার আদেশ;
ইবলিস লেগেছে যে সৃষ্টি কূলে!
লাগুক না যত পারে; দেখি আমি আল্লাহ্ কে হয় জয়ী?
আমার সৃষ্টি মানুষ যেহেতু পেল না শান্তি;


যাবে দুনিয়াতে করবে দুনিয়া পরিচর্যা ও ভ্রমণ!
দেই না পাঁঠায়ে দুনিয়াতে,
আমারই সৃষ্টি জীব মানুষ ও যন্ত্র—জানোয়ার;
দেই না আহার তাদের জীবিকা নির্বাহ ও বসবাস করার,


প্রতিকূলতার সাথে সংগ্রাম করে..
আল্লাহর রহমতে সৃষ্টি জগৎ পায় যে রহমতের ভান্ডার;
বৃদ্ধি পেতে থাকে মানুষ (নর—নারী)!
মানুষ হতে থাকে হিংস্র ও জন্ত—জানোয়ারের মত!


এরই মাঝে আল্লাহ্ মানুষ হেফাজতে পাঠান নবী—রাসুল কূল;
বিধান আসে আল্লাহ্ হতে আল—কুরআন এর অনুশাসন!
যার অনুশাসনের শিক্ষা দেন নবী ও রাসুলগণের;
শিক্ষা ও দীক্ষা পেয়ে হেদায়েতে মানুষকে..


দেন যে হেদায়েত শিক্ষা।
আল—কুরআনের আলোয় আলোকিত করতে..
নির্দেশ আসে আল্লাহ্ হতে যা মানুষেরই কল্যাণে;
শত প্রচেষ্টায় ও ঘাত—প্রতি—ঘাতে মানুষ হেদায়েত পেতে থাকে!


দুনিয়ার মোহে মানুষ হয় পাপী ও অত্যাচারি;
দিন দিন বেড়ে যায় এক মানুষ অপর মানুষের..
প্রতি জোর জুলুম—অত্যাচার ও ব্যভিচার!
নারী—নির্যাতন হতে শুরু করে জমি—জমার;


যার পরিবারে সদস্য সংখ্যা বেশী তারাই শক্তি—শালী দল।
বাড়তেই থাকে তাদের অত্যাচার ও পাপের হার;
বেড়ে যায় নিপীড়ন ও নেশার জগতের হার!
মদ—জোঁয়া—সুরার—মজলিশ—নারী—নৃত্ত মঞ্চনার;


আল্লাহ্ কি এই পাপিষ্ট কাজে সৃষ্টি করেছিল মানব কূল?
জন্ম নেয় যে জাতি ভেদা—ভেদ;
মন গড়া ধর্ম নিয়ে তৈরি হয় বিভিন্ন প্রথায় ও জাতিতে!
জোর যার মুল্লুক তার শাসন চলতে থাকে সৃষ্টি জগতের;


মানুষ যখন সীমা লঙ্ঘন করতে লাগলেন সৃষ্টি জগতের,
আল্লাহ্ তাওয়ালা দেখলেন এই জাতি ধ্বংসের জাতি;
সৃষ্টি করেছি আমি আল্লাহ!
কি যে করি এই জাতির জন্যে?


আল্লাহর সৃষ্টি দুনিয়ার সবই করা যাবে না যে ধ্বংস এই সৃষ্টি কূল হতে;
নবী— রাসূল প্রেরণের ন্যায় আল্লাহর শাসনের বিধান..
ঐশরীক আল—কুরআনের চির অনুশাসন চিরবন্ধবস্ত!
যাহা আল্লাহ প্রদত্ত—ইসলাম—ধর্ম—গ্রন্থ।


প্রকৃত শাসন মানুষের কল্যাণে রয়েছে পবিত্র আল—কুরআনেই;
নবী ও রাসুলগণের আদেশ এবং উপদেশে।
কত—না কষ্ট—করেছেন—মানুষের হেদায়েতে;
শত নির্যাতনের আঘাত শয্য করেছেন জীবন বাঁজি রেখে!


শুধু মানুষকেই সত্যের ও কল্যাণের আহবানে;
শান্তির ধর্ম যে ইসলাম; পবিত্র কুরআনই এক মাত্র আলো!
মানব জীবনের সে যে এক দিশারী জীবন উপলব্ধিতে;
জ্ঞান অর্জন করবে মানুষ; হবে অমানুষ হতে মানুষ!


গড়বে নিজেকে! তৈরি করবে দেশ ও জাতির জন্যে..
আলোয় আলোকময়ে ঝলমল করবে প্রতিটি মানুষের জীবন;
হবে নিজে শান্ত, করবে দেশকে, এগিয়ে যাবে জাতি!
আল—কুরআনের আলোয় আলোকিত হয়ে।


থাকবে না কোন মিথ্যা ও অত্যাচারের গ্লানি;
হবে না কোন নারী নির্যাতনের স্বীকার,
পুরুষ স্বীকার হবে না নারী হতে;
থাকবে না কোন মিথ্যা অহংকার (নর—নারীর)।


সৃষ্টি জগতের সবই আল্লাহর রহস্য!
আমরা মানুষ ক’জনে জানি এবং জ্ঞান উপলব্ধি করি;
জ্ঞান অর্জন করতে তাই তো নবীজি বলেছেন;
সুদূর চীন দেশে হতে হলেও জ্ঞান অর্জন করা ফরজ।


সৃষ্টি কর্তার সব রহস্যই উপলব্ধি করতে প্রয়োজন কঠোর অধ্যাবসায়!
প্রতিটি সৃষ্টির রহস্য ও মহিমা জানতে প্রয়োজন জ্ঞান চর্চার;
জানতে হবে কোন কিছুই নিরর্থক সৃষ্টি করেন নাই আল্লাহ্ তাওয়ালা।
সকল সৃষ্টিরই রহস্য রয়েছে, সবই কল্যাণে মানুষের।
                     ==×××==
বানী : মাঝে মাঝে নিজ মনকে চিনতে অনেক কষ্ট হয়। যা এমন অনৈতিক কিছু ভাবায় পরবর্তীতে স্বাভাবিক হলেই জানা যায়।।