এমনই একটি শিশু‍ এসে ছিলেন এধরাতে
জন্ম যে তাঁহার স্বার্থক এই নৎসাত দুনিয়াতে
সৃষ্টি কর্তা আল্লাহু রাব্বুল আল-আমিন
সৃষ্টি জগতে প্রেরণ করেছিলেন!

সত্য-মিথ্যার ভেদা-ভেদ ন্যায়-অন্যায়
ব্যভিচার, নিপীড়ন, মদ-জুয়া, নারীদের প্রতি অনাচার
জোর-জুলুম, অন্যায় ভোগ-দখল
দাসত্ব বোধ এ সকল কিছুর অকল্যাণ হতে;


সারা জাহানের মানুষের কল্যাণে হয়েছিল যার জন্ম।।
এক অপলোক দৃষ্টি নন্দন, আকর্ষনীয় নিষ্পাপ মুখখানীতে
দৃষ্টি কারা মায়াময় চেহারার মহান আল্লাহর ইশারায়
ঐশরিক জ্ঞানানুসারীর বলিয়ানে মানব কল্যাণে!!


মানবের অপরাধ জগতের অন্ধকার গহীন কূপ হতে
আলোর পথের আহবানে শত ঘাত-প্রতি-ঘাতের
হাজারো পরীক্ষার পর পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে
সৃস্টি কর্তা মহান আল্লাহ-রাব্বুল আল-আমিন!


দেখলেন এই আখেরী জামানার মানুষ হবে এক অন্য রকমের
সেই চেতনায় সৃষ্টি কর্তা শেষ জামানার মানুষের কল্যাণে
প্রেরণ করলেন নবী ও রাসূল উপাধীতে হয়রত মুহাম্মদ (স:) কে
যাহার জন্ম এই দুনিয়াতে কেবল মাত্র মানব কূলের কল্যাণেই!!


সেই মহা মানবকে নিয়ে কেন এতো কথা-হৈ-ই-চৈ-ই
আমরা মানুষরা নিজেকে কি চিনতে পারি না?
কই কতজনই তো অনেক অনেক শ্রেষ্ঠত্বের অবদান
অর্জনে কত নাম-ডাক-সু-পরিচিতি’র জন্য এক অন্য রকমের;


তারপরও কি সেই গুণিজন হতে পেরেছেন নবী-রাসূল সমতুল্য
এক মূল্যবান সারা বিশ্ব বরেণ্য, নেতা-নেতার-নেতৃত্ব
সততার বলে বলিয়ান, এক নিষ্ঠা ব্যক্তিত্ব!
আদর্শ মানুষ, মহা-মানব, সৃষ্টি কূলের যিনি;


এক সময় শত বর্ষপর্বে ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দের
বারই রবিউল আউয়াল সোমবার
হিরা পর্বতের মক্কা নগরীতে
যাহার জন্ম, জন্মের পুূর্বেই যিনি হারালেন পিতাকে,


ছয় বছর বয়সে হারান মাতাকে!!
তখন ছিল আইয়্যামে জাহিলিয়াতের যুগ!
যে যুগে পিতা জীবিত কবর দিতো নিজ কন্যা সন্তানকে,
যেখানে ছিল শুধু অজ্ঞতা, কুসংস্কার, অন্ধকারাচ্ছন্ন সমাজ-ব্যবস্থা।


ছিল না কোন নিয়মের বালাই, জোর যার মুল্লুক তার এই
মতাদর্শের উপর প্রতিষ্ঠিত ছিল প্রতিটি গোত্র ও সমাজ।
এমন যুগে আলোর বর্তিকা নিয়ে আগমন করেন দু’জাহানের কান্ডারী
সৃষ্টির সর্বশ্রেষ্ঠ মহা মানব হযরত মুহাম্মদ (স:)।


যার আগমনে বিশ্ব আলোকিত নয় শুধু মুসলিম
ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলি তাঁর আগমনে ধন্য।
যিনি ব্যক্তি জীবন থেকে শুরু করে রাষ্ট্র পরিচালনার
সঠিক নির্দেশনা, মানব জীবনের এমন কোন দিক নেই;


যার সঠিক সমাধান তিনি ‍দিয়ে যান নাই।
এমন কেউ নেই, কেয়ামত পর্যন্তও আর কেউ আসবে না
হবে না এমন কেহ ব্যক্তি মহা পন্ডিত যে কেহ হোক না
যাঁহার কোন প্রকার ভূল ধরতে পারবেন সেই জন হলেন প্রিয় নবীজি।


কারণ আল্লাহর অশেষ কৃপায় তিনি ছিলেন এসব কিছুর উদ্র্ধে।
সৃষ্টি জগতের এমন কোন ব্যক্তি বা রাষ্ট্র-নায়ক জ্ঞানেই
হবে তাঁকে নিয়ে ভূল কিছু বলার।
বাস্তব জীবনে মুহাম্মদ (স:)-এর সততা, মহানুভবতা, সদাচার,
আমানতদারী ও দিয়ানতদারী সকলের কাছেই তিনি ছিলেন বিশ্বাসভাজন


শৈশবেই পান ‘আল্-আমীন’ অর্থাৎ আমানতদার বা বিশ্বাসভাজন উপাধি
বাল্যকাল থেকেই তিনি ছিলেন গভীর চিন্তাশীল
চরিত্র ছিল সব ধরনের মহৎ গুণের মধুর সমন্বয়
তিনি ছিলেন মহাবিজ্ঞ, ইহলৌকিক ও পারলৌকিক


সকল জ্ঞানের অফুরন্ত উৎস, জগতের মহাশিক্ষকদের সেরা।
অসত্যের বিরুদ্ধে আপোসহীন সংগ্রাম ও সত্যপ্রচারে একাকী হয়েও
চরম বিপদে তিনি ছিলেন অবিচল। এক বিস্তীর্ণ রাজ্যের অধিপতি হয়েও
তিনি ছিলেন অনাড়ম্বর। বিশ্বস্ততা ও কর্তব্যনিষ্ঠায় অটল, সংসারী হয়েও
মহাত্যাগী। তিনি ছিলেন প্রেমময় স্বামী, স্নেহশীল পিতা, অকৃত্রিম বন্ধু,


ঘোর শত্রুর প্রতি তিনি ছিলেন ক্ষমাশীল।
তাঁর অটল আত্মবিশ্বাস দৃঢ় সঙ্কল্প ও
দূরদর্শিতার নজির জগতে বিরল।
‘‘ধর্মে বল প্রয়োগ নাই’’, ‘‘বিজ্ঞতা ও উত্তম উপদেশ দ্বারা
যার যার প্রভুর নিকট আহবান করার জন্যে বলতেন’’,


কুরআনের এমন মহান উদার বাণী ছিল তাঁর প্রচারের মূলসূত্র
ইয়াতীম, আর্ত ও দরিদ্রের সেবা এবং আত্মীয়,
প্রতিবেশী ও নিপীড়িতের সাহায্য ছিল তাঁর জীবনের ব্রত।
তিনি ছিলেন একাধারে সমাজসেবক, সংস্কারক, ন্যায়বিচারক,
ধর্মপ্রবর্তক ও সাম্রাজ্য স্থাপক। আরবের শতধা


বিভক্ত, যুদ্ধরত বর্বর গোত্রগুলিকে সংঘবদ্ধ করে এক জাতি,
এক রাষ্ট্র ও সর্বকালের উপযোগী এক পবিত্র অলঙ্ঘনীয়
বিধান প্রতিষ্ঠা করে তিনি মানব সমাজকে নব জীবন দান করেন।
ইতিহাসে তিনিই একমাত্র ব্যক্তি যিনি ধর্মীয় ও ধর্মনিরপেক্ষ
উভয় পর্যায়ে চরমভাবে সফলকাম ছিলেন


বিশ্ব মনীষার শ্রীবৃদ্ধি ও সৌকর্য সাধনে রয়েছে যার অবদান,
এমন একজন মহা মানবকে কি করে কর অপমান?
তোমাদের রাষ্ট্রীয় মদদে মহানবী (সা.)-এর অবমাননাকর
কার্টুন প্রদর্শনে বিশ্বের ২০০ কোটি মুসলমানকে করেছ ব্যথিত।


তোমাদের সাহস কি করে হয়?
কোথায় পেলে এমন হিম্মত?
তোমাদের ইসলাম বিদ্বেষী এই মনোভাবের জন্য
চাইতেই হবে রাষ্ট্রীয় ভাবে ক্ষমা।


বন্ধ করতে হবে ইসলাম ও মুসলিম বিদ্বেষী সকল মনোভাবের কর্মকান্ড।
ইসলামে আদর্শতার এমন একটি পবিত্র ধর্মগ্রহন্থ
পবিত্র আল-কুরআন এই আল-কুরআনের নিয়ম-কানুন ও রীতি-নীতি
জেনে-বুঝে ও মান্য করে চললে মানব জীবন হবে সুন্দর ও সুখীময়।
এক অন্য রকমের অনন্যতায় ভরে এক পবিত্রতাময়।


আছেন কি এমন কোন গুনিজন নিজে পারবেন কি সেই জন হতে?
যে জন মহা-নবী ও রাসূল হয়রত মুহাম্মদ (স:) এর ন্যায়!!
হয়ে দেখান না তারপর চেতনায় প্রকাশ করবেন
যা আছে আপনার প্রেসিডেন্টের ঝুলি হতে!!


এক মাত্র কান্ডারী যিনি সকল ধর্মের মানুষের প্রতি ছিলেন সদয় ও বিনয়ী
শেষ জীবনে বিদায় হজ্জ্বের ভাষণে বলে গেছেন
যার যার ধর্ম সেই সে পালন করবে
কেহ ধর্ম নিয়ে বাড়া-বাড়ি করবে না।।


তিনিই হলেন শান্তির এক মাত্র দূত
মানব কূলের মহা-মানব যার নাই কোন তুলনা
আছে কি অন্য ধর্মের এই রকমের ত্যাগের বাণী’র
ইসলামের সেই মহান নেতা ও সকল ধর্মের আদর্শ গুণিজন!!!


         ===×××===
         ===×××===


বাণী : কোন হিংসা পরায়ণতা বশিভূত: হয়ে কোন ধর্ম বা সত্য নিষ্ঠার এক আদর্শকে অন্ধকার কূয়ায় ফেলে কোন দেশ বা জাতি টিকে থাকতে পারে নাই।।