কোথায় নারী নির্যাতন!
কে করেছে নির্যাতন?
কেন করেছে?
কিসের জন্য করেছে?
নারীরা কোন গ্রহ হতে এসেছে?
এই নারীদের বসবাস কোথায়?
তারা কোন পরিবাবের?
তারা কি এই সমাজের?
আমরা কেন নারী নির্যাতন করি?
কিসের জন্য করি?
এই নারী কি আমাদের পরিবার ভুক্ত নহে?
এই নারী কি আমাদের আপন জন নহে?
এই নারী কি আমাদের;
(মা-খালা, ফুফু, কাকী, দাদী,
নানী, মামী ও বোন-ভাতিজী ও মেয়ে নহে)!
তাহলে কেন আমাদের মধ্যে
এতো ভেদা-ভেদ;
নারী হবে নির্যাতন;
কেন করছি আমরা নির্যাতন!
যে নারী হতে আমরা দেখছি..
সেই নারী হতে হয় নির্যাতিত;
তাহলে কি আমরা বর্বর জাতি?
কোথায় আমাদের বিবেক?
কোথায় আমাদের মন্যুষ্যত্বের বিকাশ?
কোথায় আমাদের সেই চির-চেনা..
পরম কোমলতায় ও ¯েœহ মমতায়;
ভালবাসায় গড়ে ওঠা সেই নারীর,
শত কষ্টের ফসল আমরা পুরুষরা!
যে সন্মান দিয়েছে সৃষ্টি কর্তা;
নারীরা কেন জানে না নিতে সেই সন্মান!
রক্ষা করতে জানে না নারীরা;
যেহেতু আমরা নারী!
আমরাও মানুষ;
হতে চাই পুরুষের সমান অধিকারী!
কেন হতে হবে সমান অধিকারী?
কেন হতে হবে এমনটাই!
যে নারীর স্পন্দন ছাড়া;
পুরুষের জীবন হয় বৃথা!
যে নারীতে সন্তান পায় মমতা;
যে নারীতে স্বামী পায় সংসার;
যে নারীতে সংসার পায় প্রাণ;
যে নারী না হলে সংসার হয় নিষ্প্রাণ!
যে নারী না হলে চলে না পুরুষের জীবন;
যে পুরুষ না হলে নারীর জীবন হবে হা-হা-কা’র..
তাহলে কেন নারী বিদ্দেশী?
না হয় কেন পুরুষ বিদ্দেশী?
স্বামী’র যেমন স্ত্রী’র প্রয়োজন;
তেমনি সন্তান-সন্ততি’র প্রয়োজন..
পিতা ও মাতা’র তারা উভয়ই পরিপূরক!
যেহেতু নারী ও পুরুষ এর কথা,
যেহেতু প্রাপ্ত বয়স্কের কথা;
যেহেতু সংসার ধর্মে’র কথা!
যেহেতু সে একক কোন শর্তার নহে..
ভবিষ্যৎ নারী-পুরুষে’র অস্তিত্বের কথা!
সামান্য ক’টা দিন থাকতে হবে..
এই অধরায়ের-ত্রি-ভূবণে!
থাকতে হবে যে ভাবে
চলতে হবে যে নিয়ম-কানুন মেনে;
আল্লাহ্র বিধানে থাকবে না কোন অনিয়ম!
অমান্য করেছে যারা
(নারী-পুরুষ)
উভয়ই হচ্ছে দিশে হারা;
সর্বন্যাশ হচ্ছে তারাই,
যারাই করেছে..
সৃষ্টি কর্তার বিধানের অনিয়ম!
যৌবনে’র অহংকারে..
নোংরা শিক্ষা’র বদাভ্যাসে’র রোষানলে..
মিথ্যা ও না-বুঝ চাওয়া-পাওয়া’র
হিসাব-নিকাশে যৌবনে’র;
সন্দুর সময় বিনা কারণে..
উভয়ই করেছে যারা অপচয়;
সেই সময়ের হিসাব মিলবে কি আর?
কি ভাবে হয় অনিয়ম?
আমরা কি বুঝে করেছি যুবক-যুবতী..
যুবক-যুবতীদে’র বিবাহ-শাদী’র কাজ?
পাত্র কি পাত্রী’র জন্য যোগ্য কি না?
পাত্রী কি পাত্রে’র প্রনয়ী হতে পারবে কি না?
পাত্রের চাহিদা কি?
পাত্র কি পাত্রী’র পরিবাবের..
অর্থ-সম্পদের উপর লোভ করে ছিল কি?
পাত্রের আয়ে’র উৎসহ কি?
পাত্রী’র যোগ্যতা ও পাত্রের যোগ্যতা কি?
যেহেতু বর্তমান সমাজে’র উভয়ই শিক্ষিত;
(নারী-পুরুষ)
যোগ্যতা’র মাপ-কাঠির বিচারেই
হতে হবে নারী-পুরুষের সম্পর্কের বন্ধন।
ছেলে ভাল! মেয়ে ভাল!
আসলে কি ভাল?
ভালো’র অর্থ কি আমরা জানি?
আমরা কি ভাল!
ছিলাম কি ভাল?
ভালো’র অর্থই তো আমাদের নেই জানা!
নারী-পুরুষের ভেদা-ভেদ অতীতেও ছিল;
বর্তমানেও বহমান।
আমরা বৈশিক অন্ধজ্ঞানে জ্ঞানী;
আমরা সংক্রমিক অন্ধত্বে’র
মাঝে করছি বসবাস।
চাকচিক্ক দুনিয়া’র বুকে রত রয়েছি..
আমরা বোকামিতে
জ্ঞান-বিজ্ঞানের আমরা আধুনিকায়;
ইট-পাথরের ঝোলকানীতে..
আমরা চোমক-প্রমোদ!
আমাকে বড় হতে হবে..
সেই চোমক-প্রমোদ এর মত;
আসলে কি আমরা জেনে করেছি!
জানতে চেষ্টা করেছি?
শুধুই বড়-লোকের ছেলে হতে হবে;
মেয়ে হতে হবে বড়-লোকে’র।
বংশ-মর্যাদা’র যদিও আমি তোয়াক্কা করি না;
তথাপিও উভয়ই দেখ-ভালের বিষয় থাকে!
আমরা ছেলে-মেয়ে কার হাতে তুলে দিবো?
অর্থের লোভে মোহ না হয়ে..
আসুন আমরা নিজে নিজেকে চিনে;
অপর মানুষের সাথে যেহেতু সম্পর্ক জড়াতে হবে,
তাই তো বলি কাউকে পর নাহি ভেবে!
কাউকে পর ভেবে কষ্ট দিয়ে অপরাধী..
হওয়ার সুযোগ নাহি দিয়ে!
ছেলে-মেয়ে তাদের নিজ যোগ্যতা’র..
মাপ-কাঠিতে নিজেকে পরিমাপণের যোগ্যতায়;
নিজের পরিচয় নিজে করতে পেরে!
কাকে করবে সে নিজ যোগ্য মনে করে;
অর্ধাঙ্গিনী বা জীবন সঙ্গিনী করবে?
সমাজ ব্যবস্থায় বড় সমস্যা রয়েছে আমাদের!
যোগ্য না হলেও নিজেকে যোগ্য ভাবে;
এ বড় সামাজিক ব্যাধি, বড় ধরণের সংক্রমন।
আমার নাই! আমার বাবার ছিল না!
নানা-দাদার ছিল না!
আমার হতেই হবে!
যে কোন উপায়েই।
আসলে আমি কি যোগ্যতা বলে প্রাপ্য?
করেছি কি আমি শত পরিশ্রম?
বিনা শ্রমে! হাতে পায়ে নিজেকে বড় ভেবে;
দু’চোখের নেশায়, নিজেকে ভুলে!
নিজের জীবনকে করে আসছি অত্যাচার।
তাই তো আমরা পর লোভী!
করি স্বামী-স্ত্রী হয়েও হই অত্যাচারী;
শুধু আমরা বলি নারী নির্যাতনের কথা!
নারী কর্তৃক হয় না কি পুরুষ নির্যাতন?
বর্তমান সমাজে উভয়ই নির্যাতিত।
যৌবনে যে পুরুষ একটি নারীর ভাল-বাসা;
প্রাপ্তিতে যখন মগ্ন থাকে অবিরত;
একটি মেয়ে পছন্দ না করলেও..
মিছা-মিছি ছুটি সেই নেশায়;
ফিরে এসে বলি বন্ধু সমাজে আরে..
আজ না পেরেছি স্পন্দের স্পর্কতায় কি হবে?
ছুটি নেশার মত মাতাল হয়ে;
আর সেই পুরুষই একদিন;
নারীকে করে নির্যাতন।
ঘর-বাড়ী ও আপন জন ছেড়ে;
আমরা যৌবনের নেশায় কি না করছি!
সুন্দর ও সাজানো সংসার করছি..
আবার কোথায় যেয়ে গড়ব সংসার?
সে কি হবে মনের মত আপন জন?
কেন ভাই ও বোন জীবনের এমন হবে!
উভয়ই বেঁচে থাকতে বিচ্ছেদ?
আমি মানি না মানতে চাই না..
আমি বলতে চাই বিবাহের পূর্বে;
মেয়ে বিবাহ দিতে চাইলে!
দেখ ছেলে তার প্রাপ্তিতে মেয়ে পছন্দ করে কি না?
দেখ ছেলে পছন্দ হয় কি না?
উভয়ই যোগ্য কি না?
উভয় সংসারের মর্যাদা রক্ষা করতে পারবে কি না?
একটি মেয়ের অনেক চাহিদা!
অনেক ছেলে রয়েছে যারা জীবনে’র উচ্চ..
কিন্তু মেয়েটি মনে করেছে বাবার বাড়ী যাই তাই!
স্বামী’র বাড়ী হবে আমার একটি..
একটি মেয়ের জীবনে স্বামী হল অলংকার!
আর পুরুষ জগতে স্ত্রী হল স্বর্ণ।
আমি তো মনে করি,
মানব জীবন পরিপূর্ণ হতে হলে..
প্রয়োজন উভয়েরই (নারী-পুরুষের)।
গাছে যেমন ফুল ও ফল না ধরলে;
গাছ-পালা যেমন নিজেকে স্বার্থক মনে করে না!
তেমনি একজন নারী-পুরুষ সম্পর্ক না হলে;
জীবন হয় নিরর্থক।
কাম-ভাব মনের চাহিদা
কারও বেশি, কারও কম!
অনেক ক্ষেত্রেই সংসার নষ্ট হয়ে যায়!!
যৌবনে যৌবন বিনা কারণে..
যেমনি একজন ছাত্র পড়াশুনা না করলে;
হতে পারবে না শিক্ষিত।
তেমনি একজন নারী-পুরুষ
যদি হেফাযৎ না করে যৌবন;
তাহলে উপযুক্ত বয়সে তারা হবে!
অনাকাঙ্খিত যৌবনের জীবন যাপন।
বিধাতা কাউকে হারায় না,
হারাতে পছন্দ করেন না;
বিধাতা চাঁন তাঁর বান্দারা ভাল থাকুক।
যৌবন না থাকলে, অর্থ না থাকলে;
করবো না স্বামী’র সংসার।
চলে যাবো বাবার বাড়ী!
মনে হয় পাবো, সেই আশায়
ছাড়ি নিজ সংসার।
আবার সেই সব পুরুষরা মনে করে;
এই স্ত্রী ভাল না গেলে মনে হয় পাবো!
স্বাধীনতা, দেখে শুনে সুবিধা পেয়ে
করে নিবো ভাল দেখে আরেকটা বিয়া!
আসলে কি আমরা করছি কি?
করে আসছি কি?
যে করেছে সেই জানে!
অনুতপ্ত হচ্ছে ক্ষণে-ক্ষণে;
মনের মাঝে জ্বলছে বিষের বাঁশি
কিন্তুÍ কি করবে ভেবে না পেয়ে;
চলছে সংসার না পাওয়ার অতৃপ্তিতে!
হৃদয় মাঝে হা-হা-কার নিয়ে।
যারা সামাজিক ভাব একটু লজ্জা বোধের..
বাহিরে প্রকাশ ভঙ্গিকে আড়ালের মুখোশে যন্ত্রণা চাপায়ে কি যে এক?
যদি মাঝ পথে ঐ সংসারে এসে যায় সন্তান!
তাহলে উভয়ের তুষের আগুনের;
রোষানলের স্বীকার হয় বা হচ্ছে যে সন্তান।
এই অপরাধ কার (উভয়ই নারী-পুরুষ)?
কে নিবে সেই সন্তানের দ¦ায়-ভার?
আমরা মানুষ রুপি, আমরা গর্ব করি!
আমাদের আছে না কি আত্ন-মর্যাদা?
উপযুক্ত (ছেলে-মেয়ে) যখনই
বিবাহ-বন্ধনে আবদ্ধ হলো;
তখন হতেই শুরু হলো.
তাদের একটি পরিবার;
সেই পরিবারকে  করে নিবে আপন;
গড়ে তুলবে একটি সন্দুর পরিবার।
কে আপন আর কে পর;
করা যাবে না কোন ভেদা-ভেদ।
নিজের মায়ের ও বাবার মতই
মনে করে উভয়ই করবে সংসার।
করবে না মেয়ের (বাবা-মা)..
মেয়ের সংসারের প্রতি এখতিয়ার!
মেয়েকে আদর্শ করে
গড়ে তুলেছো তো তোমরা;
কেন করবে আজ দূ’চিন্তা।
যার সংসার সেই বুঝে করবে!
কোন পিতা-মাতাই করবে না কোন খবর-দারী।
পিতা-মাতা শুধু চাবে তাদের সন্মান ও মর্যাদা!
তোমরা করবে না তাদের মর্যাদার কমতী।
চাওয়া-পাওয়া হবে উভয়ের আলোচনার মধ্যে;
বুঝতে হবে উভয়ের সামর্থ কি আছে?
হবে না কভু ভুল বোঝা-বুঝি!
হবে না সংসার নষ্ট,
হবে না নারী ও পুরুষ নির্যাতন।
হবে না সমাজ কূলোষিত;
নিজেরা মর্যাদাবান হবে,
মর্যাবান করবে সমাজকে।
কে বলেছে নারী নির্যাতিত?
কে বলেছে পুরুষ নির্যাতিত?
মানুষ হিসাবে আমরা একে অপরের পরিপুরক!
আমরা যদি কোন নারী বা পুরুষকে ঘৃণা করি!
সংসার নষ্ট করি,
তাহলে কি পুশু-পাখির নিকট নিজের কথা বলি!
না তেমনি একজন মানুষের কাছেই বলি?
তাই তো বলি যাকে এতো আপন ভেবে..
নিজেকে দিয়ে শুপে, করেছো প্রেম নিবেদন!
কেন তাকে করবে নির্যাতন।
সমস্যা মানব জীবনে (নারী-পুরুষ);
উভয়েরই থাকবে, তাই বলে কি..
আল্লাহর বিধান অমাণ্য করে, বিনা কারণে..
করবে সাজানো সংসার বিনষ্ট?
না তা করবে না, কখনও করবে না।
যদি না স্বামী-স্ত্রী অল্প সময়ে মারা না যায়,
যদি না স্বামী বা স্ত্রী কম বয়সে পাগল হয়ে যায়!
কিন্তু বিনা কারণে অর্থের লোভে,
শারীরিক লিস্পসায়, চোখের কু-দৃষ্টি’র
এবং
শয়তানের প্রচরণায় করবে না কভু সংসার ধর্ম নষ্ট;
তাহলেই হবে না নারী ও পুরুষ নির্যাতন।
আমরা নারীকে ছোট করে দেখবো না!
যেখানে নারীরা অনেক পথ পেরিয়ে;
আজ তারা পেয়েছে রাষ্ট্র পরিচালনার চাবী-কাঠি!
তারা শিক্ষা অর্জন করে ডানা মেলাচ্ছে বর্হি:বিশ্বে;
কেন বলবো শুধু নারী নির্যাতন?
নারীকে কেন আমরা পুরুষরা ভাবছি ছোট করে?
তাহলে কি সকাল বেলা যে ঘর হতে বাহির হই!
সেই ঘর কি নারী শুণ্য?
নারী-পুরুষ উভয়ই আমরা মানুষ!
তাই তো আমাদের পরিচয় দিতে হবে মুন্যষত্বের’
আমাদের সংযোমী হতে হবে,
ধর্মের প্রতি আস্তা অর্জন করতে হবে;
অর্জন করতে হবে নৈতিক জ্ঞানের!
আল্লাহ্র বিধান মানতে হবে
উভয়ই (নারী-পুরুষ)।
আনতে হবে সমাজে শৃঙ্খলা;
আপন ভাবতে হবে নিজ ছেলে-মেয়ের মত,
আমি করবো না কভু অপর মা-বোনের ক্ষতি ;
ক্ষতি কেহ করবে না আমার...
তাহলেই আমরা হবো সর্ব-জাতি।
হবে না কোন নারী ও পুরুষ নির্যাতন।
পরকিয়া, লোভ, লালসার স্থান কভু নাহি দেব!
মিথ্যার আশ্রয় কভু নাহি নেবো!
বিনা কারণে সংসারে সময় না দিয়ে;
যদি করি অপরের সাথে লুকোচুরি;
তাহলেই তো হবে সংসারে অবনতি;
স্বামী সংসার..
স্ত্রী সংসার..
উভয়ই হবে ধ্বংসের প্রলংয়কারী।
যখনই করেছ সংসার ধর্ম..
তখনই তুমি হয়েছো একটি পরিবার।
তাই তো বলি হও সংযোমি ও আতœ-প্রত্যয়ী।
হতে হবে না কোন দিন সংসার ত্যাগী।
কেউ কাউকে করবে না নির্যাতন;
হতে হবে না (কাউকে)
নির্যাতিত ও কলংকের স্বীকার।
আমরা মেয়ে হয়ে করি!
অপর মেয়ের ক্ষতি;
সোচ্ছার ও স্বচেতন হতে হবে ..
শাশুরি, ননদ ও দেবর’দের।
স্বাবলিল হতে হবে বউকে!
ব্যক্তি জীবন দিয়ে চলে সংসার জীবন;
সংসার জীবন চলে,
স্বামীকে ও স্বামী’র..
পরিবারের সহিত চলতে;
প্রয়োজন হবে বিচক্ষণতার,
করতে হবে ব্যক্তির বদাভ্যাসের পরিবর্তন;
করতে হবে নিয়তির উপর ভরসা!
মনের মধ্যে কোন অবস্থাতেই..
জাগ্রত করা যাবে না;
বাবার বাড়ীতে আমি ছিলাম!
কুমারী রাজ-রাণী আর স্বামী’র সংসারে একি?
না হবে না কোন সংশ্বয়;
মনকে করতে হবে অনেক বড়..
মানতে হবে নিজেকে,
মেনে নিতে হবে পরিস্থিতিকে;
হতে হবে কর্মঠ, পরিশ্রমী, কাজ-কর্ম বলে করা যাবে না ভয় যে,
তবেই তো আমরা সফল হতে পারবো!
ছেলেরা বিবাহ-শাদীর পূর্বে;
তৈরি করবে নিজেকে !
হতে হবে স্বাবলম্বী।
স্বাবলম্বী হলেই তো নিবে দায়িত্ব সংসারের।
আবেগ কে একজন মেয়ের প্রতি;
লিপ্সতায় ও যৌবনের মিথ্যা চাহিদায়..
ছেলে-মেয়ে কেহ হবে না অপরাধী;
থাকবে সোচ্চার ও হবে সত্যবাদী।
যখনই মানুষ সত্য লুকাতে চায়;
তখনই মানুষ দশটা মিথ্যা দ্বারা;
সত্যকে পরাজিত করে!
চাপায়ে রেখে মিথ্যা অহংকারের;
বাসা বেঁধে চলতে থাকে,
তাই তো পরবর্তীতে অসৎ পরিনতি’র স্বীকারে পরে!
কেউ কাউকে অবজ্ঞা করে হতে পারেনি বড়;
আমরা জেনেও করে আসছি সেই অপরাধ,
করছি একে অপরকে দোষী;
আসলে আমি কি ভাল?
নিজেকে কি চিনেছি?
যাই হোক না কেন!
আপন করে নিতে হবে একে অপরকে;
যেখানে করবে না কেহ!
(অর্থ-বিত্তের, ধলা-কালোর,
বংশ-মর্যাদার, বেটে-লম্বা,
নাকবোচা-নাকলম্বার, রং-বে-রং) এর
বালাই থাকবে না,
হবে শুধু একজন..
মানুষ স্ত্রী ও স্বামী’র পরিচয়!
হবে শুধু সংসারের একজন সদস্য;
নিজেকে গড়ে নিতে হবে ঐ পরিবারের..
সন্মান জনক স্থানে;
তা হল শুধু দায়িত্ব ও কর্তব্যের
এবং
সকলের ভালবাসার বেড়া জ¦ালে ফেলে।
করে নিতে হবে নিজ স্থান!
তাই তো হতে হবে না নির্যাতিত
(নারী ও পুরুষ) আমরা।
আমার খুব লজ্জা লাগে!
কেউ কাউকে যদি করে
অপমাণ, নির্যাতন, র‌্যাগিং এর মত অপরাধ!
তাহলে কোথায় আমাদের স্বাধীনতা?
কোথায় আমরা স্বাধীন?
কোথায় আমরা মানবিক মানুষ?
ধর্ম প্রাণ মুসলিম ও অন্যান্য ধর্মাবলম্বী মানুষ?
আমরা সমাজে মানবিকতা প্রকাশ করি!
আমরা নিজ বাড়িতে করি ঝঞ্জা!
শুনতে চাই না কোন নিয়মের বালাই!
মানতে চাই না কোন আদেশ-উপদেশ!
আমরা না জেনে হতে চাই বড়!
তাই তো আমাদের পরিনতি এই;
এই মানুষ গুলোই তো আমাদের,
সমাজের একটি বড় জায়গায়..
পেতে চায় স্থান, করছেও তাই!
তাই তো আমরা পরেছি বিপদে!
হচ্ছি বিপদগামী, না জেনে না বুঝে..
চাইছি যে কি? করছি যে কি?
না পাওয়ার আকাঙ্খায়;
আমরা ছুঁটছি যে কিসের পিঁছনে?
সঠিক জীবনের নেশা যে কি?
জানতে চাই না কখনও যে!
এরই জন্যে আমরা আজ;
দিশেহারা মানব জাতি!
যার ন্যায় আমরা একে অপরকে;
করছি নির্যাতন ও বিভ্রান্ত,
হচ্ছি পথ হারা সেই,
নীরভাঙ্গা পাখির মতন।
পাগলে’র কথা পাগল বোঝে;
বুঝবে না কোন সুস্থ্য মানুষ;
সুস্থ্য মানুষ বুঝবে সুস্থ্য মানুষের কথা!
ভাল মানুষের সর্ম্পক হবে..
ভাল মানুষের সাথে।
করবে না কভু অপমান ও অবহেলা!
নিজ যোগ্যতা বলে হয়ে বড়;
সঙ্গি হবে না কভু যোগ্যবান,
সেটা কি মেনে নেওয়া যায়?
হবে না কভু সেই অসন্মান।
যাকে যেখানে মানায়!
তাকে কিছু করার পূর্বে ভাবতে হবে;
আমি কি করিবো এমনটাই?
না জেনে না বুঝে আবেক টিকে
দিয়ে যে প্রশ্রয় করে আসছি যে কি আমরা?
আবেক কেঁটে গেলেই ফিরে দেখি;
করেছি ভুল; শুধরাতে হবে আজ?
না এখন আর শুধরানোর সময় নেই!
এখান থেকেই শুরু করতে হবে;
যদি ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে,
আল্লাহ্র দরবারে ক্ষমা চেয়ে শুরু করি;
তাহলে আল্লাহ্ চাহে তো আমাকে..
দিতে পারেন মহান সন্মান।
তাই তো আমরা যদি মানুষ হতে চাই!
হতে চাই আশরাফুল মাকলুকাৎ;
ভবিষ্যৎ মঙ্গল কামনায়,
করতে হবে সকল সংকটকে জয়!
তাহলেই আমরা হবো না
কোন সংশয়, হতে হবে নির্যাতন;
শোনবো না কোন অপরাধের
আহাজারি, নির্যাতনের মতন আর্তনাদ।
শুনতে চাই না নির্যাতিত মানুষ;
হোক সে মেয়ে! হোক না সে ছেলে!
আমরা কেন উচ্চরণ করি নারী নির্যাতনের কথা?
আমি তো দু’চোখ মেলেই দেখতে পাই..
শুনতে পাই নারী জাগরণের গান!
যেখানে রয়েছে হবো আমরা;
সমান; থাকবো না আর অধীনে পুরুষের!
আমরা হবো একে অপরের সহযোগী;
আসলে হোক সে পুরুষ;
হোক সে মহিলা
আসলে আমরা কি সকলেই বুঝি সমান?
সকলেই কি আমরা একই বুঝি? না!
আমরা কথা যখন বলি তখন;
মুখে আসলেই বলে ফেলি!
যা আল্লাহ্ রাব্বুল আলা আমিন..
কভু অপরকে না জেনে বলতে বলেন নাই।
আমরা কি জানি একটি ছেলে কিভাবে..
কিসের জন্য নারী নির্যাতন করেছে?
একটি মেয়ে কিভাবে নারী দ্বারা নির্যাতন হয়েছে?
কোন কথায় রাগাম্বিত হয়েছে;
উভয়ই অপরাধ করতে পারে!
যখন ঘটনা ঘটায় তখন..
একে অপরের অপরাধ চাপায়ে রাখার ন্যায়;
করে আরো দশটা মিথ্যার অপরাধ ভারী!
তাই তো বলি এই সমাজের মানুষ;
আমরা নারী-পুরুষ!
আমরা আশরাফুল মাখলুকাৎ;
কেহ পড়া-শুনায় হুজুর!
কেহ পড়া-শুনায় উচ্চ শিক্ষিত!
কেহ উচ্চ পদ-মর্যাদার কর্মজীবি!
কেহ মহান পেশা শিক্ষাকতায় নিয়োজিত!
কেহ তার জীবনের অবহেলায়..
জীবন করেছে নষ্ট!
আজ তারা কায়িক শ্রমিক!
কেহ নিজেকে সর্বনাশের পথে এগিয়ে দিয়ে..
আজ দিশেহারা।
আপনি কি ইচ্ছা করলেই..
একজন ছেলে-মেয়েকে সুশিক্ষিত করতে পারবেন?
সে কি হতে চাবে শিক্ষিত?
তাকে কি করতে পারবেন প্রকৃত মানুষ?
পিতা-মাতার অনেক শ্রম থাকে!
চেষ্টার কোন ত্রæটি থাকে না;
তাদের মানুষ করার ক্ষেত্রে!
তারপরও কেন হতে চায় না মানুষ?
শুধু শরীরে মানুষের রুপ ধারণ করলেই..
মানুষ হওয়ার চিন্তা করলেই চলবে না!
হয় তো আমার কথায় ও চিন্তায়..
আমরা মানুষ রুপি অনেকেই আছি..
মনে করতে পারি একি লেখক কি বলতে চায়?
তাহলে আমরা কি মানুষ না!
আসলে আমরা অনেক লোকই আছি যে..
আমাদের মধ্যে মনুষ্যত্ব বোধ অনেকটাই অপ্রতুল;
যা আমাদের স্বাভাবিক মানুষ হতে বাধা গ্রহস্ত।
তাই তো আমাদের মানুষ হতে হলে..
চিন্তার উর্ধ্বে ভাবতে হবে;
সংযোমী হতে হবে!
চেতনায় থাকতে হবে..
আমি কি করছি?
আমাকে কি করতে হবে?
আমার যেমন যৌবনের চাহিদায়..
আবদ্ধ হই বিবাহ্-বন্ধনে;
যে যৌবনের তারণায় আমরা তাল-মাতাল;
যে যৌবনের যন্ত্রণায় আমরা বেহুশ!
যে যৌবনের জন্যে আমাদের..
জীবন আজ সামাজিক!
যে যৌবনের লক্ষ্যে আমরা..
আনন্দিত,উৎফুল্লিত, আবেগ-আল্পুত;
যে যৌবনের ন্যায় আমরা গর্বিত!
যার জন্যে আমরা পরিবার গড়তে পেরেছি!
তাই তো আমাদের জীবন ধন্য।
(নারী-পুরুষ)
আমরা মানুষ।
এতো আনন্দ এতো ভালবাসা;
যেখানে ছেলে-মেয়ে উৎপাদনের..
মোহ-উৎসব!
খুশি’র জোঁয়ার যেখানে বয়ে চলে;
সেখানে কেন হবে এতো অনাচার?
দ্বন্দ হবে কোন কালে’র;
‌দ্বন্দ হবে না কোন অকালের;
ভাবতে হবে শুধু নারী ও পুরুষ উভয়ই;
আমরা এই দুনিয়াতে এসেছি..
খন্ড কালে’র!
এখানের থাকবে না কোন সংশ্বয়;
হবে না কোন অনিয়ম!
শুধু থাকবে ভাল-লাগা;
দ্বন্দ হবে সংসার গড়ার;
ভালবাসায় দ¦ন্দ হবে শুধু..
আপন করে গড়ে তোলার প্রত্যয়ে!
(নারী-পুরুষ) উভয়েরই।
অনেক লেখার আছে..
যে বুঝবে সে তো শুধু সকলের জন্যেই;
আর যে বুঝবে না সে তো কাহারোই নহে!
তাই তো আমি বলতে চাই!
হবে না কোন নারী-পুরুষের (ভেদা-ভেদ)।
হবে না কোন নির্যাতিত মানুষের গল্প;
থাকবে  না কোন অবহেলার কাহিনী!
দিবো না এক (নারী-পুরুষ) অপর মানুষকে কষ্ট।
আমাদের সুশিক্ষায় পরবর্তী প্রজন্ম ভোগ করবে যে এক..
অনন্য জীবন পাবে শুধু জগৎ বিনোদন।
তাই তো বলি হবে না কোন নির্যাতনের গল্প
আর লেখকে লিখতে হবে না কোন পাতা-পাতা ইতিহাসের গল্প।
(নারী-পুরুষ) নারী নির্যাতন।
===×××===
বাণী : ওহে মানুষ প্রকৃত জ্ঞান অর্জন যদি করতে পারো সকলে (নারী-পুরুষ) তবেই জানতে পারবে নিজেকে। কেহই ছোট নহে' (নারী-পুরুষ) একে অপরের পরিপূরক। তবে কেন করে থাকি চিন্তা প্রয়োজন সম্পূরক। এসো না করি সংকল্প, সেই তরে হতে হবে না ঐ রুপের অসংযতের কলংঙ্কের নাম নারী নির্যাতনের। এই শব্দটি তবেই অনেকাংশে কমে আসতে পারে।।