বরাবরই নিয়ত করে থাকি
হে আল্লাহ রক্ষা করো আমায়
ভাল কাজ করাও আমাকে দ্বারা
কোন প্রকার মন্দ কাজ করাও না।
পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করাও
সময় মত ওয়াক্তের নামাজ ওয়াক্তেই
না হয় যেন কাজা কোন অবস্থাতেই
এই ফরিয়াদ টুকুন রেখে হে আল্লাহ।
কে বলেছেন হয় না দোয়া কবুল?
গতকাল ছিল বাসাতে মেহমান সমাগম
পবিত্র রমজান মাস বলে কথা সেই তরে
ছোট আকারে হলেও স্বাস্থ‍্যবিধি মেনে
করা হয় ইফতারীর আয়োজন অ‍্যাপ‍্যায়ন
পর্ব। সেই থেকে বিশ্রাম না নেওয়াতে একে
তো রোজা। তারপর পরিশ্রম সব কিছুই
মিলায়ে অনেক ক্লান্ত পরিশ্রান্ত শরীরটা।


মেহমান বিদায় নেন রাত্র দশটার পর
এরপর নিজেদের পর্ব তারপর অন‍্যান‍্য
কাজ গুঁছায়ে বিছানাতে যেতে (স্বামী-স্ত্রী)
রাত্রী আনুমানিক একটা এরই পর সেহরি
খাওয়ার সময়। সেহরি খাওয়া শেষ করেই
ফরজের নামাজ আদায় তারপর পরই
কর্মস্থলে যাওয়ার প্রস্তুতি ও ভোর ছয়টার
মধ‍্যেই দাপ্তরিক গাড়ি হাজির নেওয়ার জন‍্যে।
সকাল আটটায় অফিস শুরু ঢাকা মিরপুর-১
বাসা থেকে কারখানা গাজীপুরের কালিয়াকৈর
আসতে কম হলেও দু'ঘন্টা সময় লেগে থাকে'
একটু সময় এদিক সেদিক হলেই ঢাকার ই.পি.
জেড মেইন গেইট সন্মুখের দুটোতেই প্রচন্ডা
কারে জ‍্যাম লেগেই থাকে; যা ভাষাতে বোঝানো
দায়। কত সুন্দর দু'টি ফুটওভার ব্রিজ কেহই
ব‍্যবহার করে না সব এপার-ওপার যাতায়াত


করে থাকে গাড়ি থামায়ে বিশাল জ‍্যাম করে
যা ই. পি. জেড কর্তৃপক্ষই ভাল জানেন, কেন
নেন না তারা কোন পদক্ষেপ। ঐদিকে অন‍্যান‍্যদের
কর্মস্থলে যাওয়াতে হয় সময়ের কালক্ষেপণ।
সেই চেতনায় সময়ের কাজ সময় সচেতনায়
আসি কর্মস্থলে ঐ যে রাত্রে ঘুম হয় নাই শরীর
নামক দেহটার সারাটি দিন কোন মতে বোঝায়ে
শোনায়ে কাজ করায়ে নিয়েছি মনকে বটে; কিন্ত
সাঁড়ে চারটার পর আর কোনই বাঁধ মানতে
চেল না যে শরীরটা, এদিকে আসর নামাজেরও
সময় হয়েছে আবার করোনা কাল আবাসিকে
এসে গোসল সেরেই নামাজ আদায় করে কোন
মতে ইফতারী ও মাগরিবের নামাজ সেরে মন
শরীরটাকে নিয়ে গেল বিশ্রামের জন‍্যে বিছানায়।
পিয়ন মজিদ এসে বললো স‍্যার খাবেন না? খাবার
আনবো! ক্লান্ত শরীরের ঘুম চোখে বললাম তুমি


যাও খাবার দরকার নেই ঘুমাতে দাও, আগে ঘুম
এই কথা বলায় পিয়ন যে কখন গেছে কিছুই বলতে
পারবো না। এগারোটার বেশী সময় পর্যন্ত ঘুম এরই
মাঝে সহধর্মীনি দেন মোবাইলে কল! কল রিসিভ
করেই সময়ের দিকে নজর দিলেই দেখতে পাই
প্রায় সাড়ে এগারোটা বাজে।ঈশার নামাজ ও
তারাবিহের নামাজ তারাহুরা করে উঠে অজু
সেরে আদায় হল বটে সহি সালামতেই।
সেই জন‍্যেই সব সময়ই নিয়ত থাকে বিধাতাতে
হে আল্লাহ রক্ষা করিও ওয়াদায় যেন হয় রক্ষা!
এক তোমার হুকুম পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায়ে,
দুই রিজিকের জন‍্যে প্রতিদিনের কর্ম করি যেন
সঠিক ভাবে, সদা সত‍্যের অকুত ভয়ের তরে।
সেই তরে নিয়ম মেনে করলে সকল ভাল কর্ম
যাবে কি বিফলে? না যেতে পারে না কোন মতেই।
আল্লাহর অশেষ রহমতে আজ প্রায় বয়স
আটচল্লিশ বৎসরের কাছাকাছি তেমন মনে পড়ে


না, কোন নামাজ পাওনা আছে আল্লাহ আমার
নিকটে। কাজা হলেও আদায় করে দিয়েছি সময়েই।
মাশাল্লাহ কোনই অবৈধ টাকা-পঁয়সা ধরিনী এই
দুটি হাত দিয়ে। মিথ‍্যা কথাও বলতে হয়নি এই
জীবনে। তবে মিথ‍্যা অপবাদের গ্লানি মাথাতে
বহু সয়ে চলে আসছি তাতে কোনই সমস‍্যা হয়নি
এই পবিত্র জীবনটিতে; যারা করেছে ছলচাতুরী
তারাই হয়ে প্রমাণে শেষে অপরাধী আমি রয়েছি
অটল, আমার জায়গায় করিনি বলিষ্ঠ মনের সততার
অনিয়ম; সেই তরে বিধাতা বিজয়ের মাল‍্যের জয়
জয়কারে ধন‍্য করেছেন আমাকেই। ঐরুপেরই কি
যে শোভাতে ভাল লাগে নিজ জীবনের অনন‍্য মনে
তা কি আর কারোও বোঝানো যাবে? না এই দুনিয়া
সেই জায়গা নহে। যাবে না বোঝানো অন‍্য কাহারো!
তাই তো বলি নিজের ভাল নিজের কাছে।


শুধুই মাথাতে রাখতে হবে এই মোড়া করিলাম
পণ আমার দ্বারা হয় না যেন ক্ষতি অন‍্যের।
সেই পবিত্র মনে "নিয়ত করলে ভাল বিফলে যাবে
কি বল"। এমনই ঘুম এসে ছিল! ঈশার ও তারাবিহের
নামাজ আদায় হত না। হয়ে যেত কাজা। তাই তো যে
করেই হোক বিধাতা স্ত্রীকে দিয়ে একেবারে যথার্থ সময়ে
ঘুম ভাঙ্গায়ে সমস্ত কাজ করায়ে নিলেন বিধাতা যথাযথ।
ধন‍্যবাদ জ্ঞাপনে করছি আমার সহধর্মীনিকে হে আল্লাহ রেখ
ভাল তাকে কল‍্যাণ কামী করে এধরণীর বুকে সুন্দর মননে।
===×××===
===×××===
বাণী : ভাল কাজের নিয়ত করলে সকল প্রচেষ্টাই কখনও বিফলে যায় না। শত প্রচেষ্টাতে এক সময় সফলতা আসবেই। তবে প্রচেষ্টা চলা কালিন কোন দুর্চিন্তা মনে রেখা পাত করা যাবে না। তবেই সফলতার মুখ দেখতে পাবে। এর ব‍্যয়িত ঘটলে হিতে বিপরীত দেখা দেয়। অন‍্যথা নহে।।
***********************************
এই কবিতাটি উৎসর্গিত করা হল: আমার সহ ধর্মীনি এস. এম. শিরিন আক্তার লিপিকে।