অল্প বয়স সেই সময়ের চৌদ্দ কি পনের!
কেবলই রঙ ধরতে মুকুরে অঙ্কুরিত যৌবনে'
যুবতী স্পর্শে দেখা সেই হরিণী টানা-টানা চোখে
দুষ্ট -মিষ্ট মুসকি হাসির বাঁকা চোখের ঈশারাতে
বুকের মাঝের রক্ষিত পরানটাতে বুক ধরপরেতে;
না যায় নিজেকে! না যায় বলা সেই অপলক চাহনিকে'
কি যে জীবন সেই কাঁচা বয়সের অজানায় প্রেমের আভা?


ঐ দিকে পাগলা মনে রক্ষাতে রাখতে হয় বিধাতাতে এক!
ওহে আল্লাহ্ রক্ষা কর আমাকে! কেন এতো কষ্ট দাও মনকে?
এখনও তো সময় হয় নাই; বয়সে অপরিপক্ক; সময় পড়া-লেখার'
ঐ দিকে লিপিকা নামের একই বয়সের সেই শ্যামল কালো মেয়েটি'
খুব ভাল জানতেন আমাকে! ঐ সময়ে ওর কথা পরতেই মনে,
কেমন যেন আনমনা অস্থিরতাতে মন ছুঁয়ে যেতে চেত ওকে।


পাশা-পাশি বসবাস দেখা হতো দু'জানাকেই' আমি কখনও বলিনি!
ভালবাসী-পছন্দ হয় তাকে! ও যে আমাকে বাসতো ভাল, বুঝা যেত'
যৌথ-পরিবার, অভাব-অনাটান, তরাই-উৎরাই, সমাজ-সামাজিকতা,
সর্ম্পকের দিকেও তেমনটা অসুবিধা না হলেও প্রকাশ্যে কিছুটা সংকোচ'
মনেতে বলে কাঁচা বয়সে ঐ রুপের প্রেম ভাবনাতে জীবনে কি হবে?


ভবিষ্যৎ চেতনায় শুধুই ভাবায় আমাকে, মানতে চায় না মন! না এখন
কোনই প্রেম নয়; মানুষের মতন মানুষ হওয়া যাবে সেই চেতনায়,
নিজেকে দিলাম প্রেম বিসর্জনের জলাঞ্জলি! নিজকে এখনই যদি
দেই প্রেম পিপাসীর মননের অপূর্ব প্রেমময় দিঘী জয়ের লাইলী-
মজনু পাগলে! কর্মহীন জীবনের যৌবন লিষ্প প্রেমি-প্রেমিক! কাঁচা
বাঁশে ঘুনিতে ধরারই মতন, ভাবলাম, হয় তো আজকের এই ভালবাসা,


এক সময় জীবন শুধু কলংঙ্কই বয়ে আনবে না; আনতে পারে অর্থ-কষ্ট
নামক দু:খ-দূর-দর্শা! জীবনে এতো বিরহ লাগে না ভাল! ভাই-বোন
সহ বাড়িতে পরিবার সদস্য সংখ্যা কম নহে; পড়া-লেখা খরচ যোগাতে
যে জায়গায় বাবার জীবনের বারোটা বাঁজতে বাকী থাকে না! সেই
অমন বয়সে প্রকৃতি কেমন যেন দেয় সারা! কি জানি বিধাতার খেলা?


সেই জানেন ভাল আমি জানি না! জানতে চাই না! কেন বিধাতা এতো
কষ্ট দেয় তারই সৃষ্টি মানুষের ঐ রকমের প্রেম-ভালবাসা অপ্রাপ্ত দিয়ে
বয়সের। বিধাতারই নিকটে চাওয়াতে রক্ষা পেলাম ঐ সেই বয়সের
প্রেমময় শ্যামলা হরিণী মেয়েটির ভালবাসার বেঁড়া জাল হতে। আর
কখনও কোন দিনও বলা হয়নি! হয়ে ওঠেনি ভালবাসী-বেসেছিলাম
লাগতো ভাল তাকে! অজানাই রয়ে গেছে আজও বয়স এখন উভয়ই
পঞ্চাশের কোঠাতে। সকলেই করেছি বিবাহ; হয়েছে সন্তান-সন্ততি!


করে আসছি সংসার স্বস্ব স্বামী, স্ত্রী নিয়ে, নেই কোনই সংকোচ
উভয়েরই' এমনই প্রেম-ভালবাসা-ভাল-লাগা মানব জীবনে যে প্রেমে
রবে না কোনই কলংঙ্ক প্রেম পাগল ইউসুফ-জুলেখা অতৃপ্ত হার-
মানায়ের। "অজানায় প্রেমের আভা" আসলে অপ্রাপ্ত বয়সের যৌবনে
ঐ প্রেমে' নয় সাড়া! প্রেম ভালবাসা রবেই উপযুক্ততায় প্রকৃত ফল
প্রাপ্তে। তবেই মানব জীবনে কল্যাণময়ী হবে যুগল-যুগলীর অপূর্ব
ভালবাসা।
===×××===
===×××===
বাণী : অপ্রাপ্ত বয়সে যে প্রেম আসে, সেই প্রেম শুধুই বিরহই ডেকে আনে! অনেক সময় দু:খ-কষ্ট, পরিবার মেনে-নেওয়া-না-নেওয়াসহ অনেক বিপদ দেখা দেয়, সেই প্রেমময় জীবনে। তাই ঐ প্রেমে সাড়া না্ দিয়ে সংযত হয়ে প্রকৃত ভালবাসাতে নারী-পুরুষ উভয়েই নিজেকে উপযুক্ত জীবন গড়তে হবে, তারপর যুগল-যুগলী একমতে বাস ভাল, কর প্রেম, পাবে স্বার্থক জীবন সারাটি জীবন ভালবাসার বন্ধনের অনন্য সেই জীবন পারিবারিক ভাবে। এর ব্যয়িত ঘটলে সেই সুফলা প্রেমেরই কলংঙ্ক ও বিরহের শেষ রবে না জীবনে।।