১. পাপ কি?
২. পাপী কাকে বলে?
৩. কেন মানুষ পাপ করে?
৪. মানুষ কি কখনও পাপী হতে পারে?
৫. মানুষ কি করে পাপী হয়?
৬. ধর্ম কি?
৭. পাপ কাজে ধর্মে কি বলা আছে?
৮. মানুষ না সেরা জীব?
৯. সেই মানুষ কি করে পাপী হয়?
১০. পাপ কথাটি সকল ধর্মের লোকের পরিচিত কি?


বিশ্লেষণ মূলক ব্যাখ্যা;
১. পাপ কিঃ- পাপ হল সেই অপরাধ বা ঘৃণিতকর্ম যে কর্ম মানুষ মানুষের সাথে ও বিধাতার আদেশ পালনে ও তাকে একক সত্ত্বার বিশ্বাসে দ্বিমত পোষণ।


২. পাপী কাকে বলেঃ-  যেমন মিথ্যা কথা বলা, চুরি-ডাকাতি, খুন-রাহাজানী, নারীর উজ্জ্বত হানী, পুরুষ উজ্জ্বত হানী, এই ধরণের অপকর্ম যে সকল লোকেরা করে থাকে। সেই তাদেরকেই পাপী বলে।


৩. কেন মানুষ পাপ করেঃ-  অলস মানুষেরা নিজেকে জানতে ও বুঝতে পারে না। বিকৃত মস্তিষ্কের বিকৃত চিন্তায় ন্যায় অন্যায় বোধ শক্তির হারায়ে অপরাধ চলমান রাখে। যারন্যায়, উক্ত জগত হতে আর বেরুয়ে স্বাভাবিক জীবনে আসতে পারে না। সেই জন্যে ঐ'সকল মানুষেরা পাপ কাজ করতে থাকে। যা কখনও সুস্থ ও স্বাভাবিক মানুষ তারা কখনও নয়।


৪. মানুষ কি কখনও পাপী হতে পারেঃ- না প্রকৃত মানুষ যে জন সেই মানুষ কখনও পাপী হতে পারে না। যে সকল মানুষ! মানুষ নামে কলংঙ্কের বোঝা মাত্র। আর সেই মানুষ নামের পশুগুলিই পাপ কাজে লিপ্ত ও পাপ কাজ করতে পারে।


৫. মানুষ কি করে পাপী হয়ঃ-  প্রকৃত ধর্মজ্ঞানের অভাব, ন্যায় অন্যায় বোঝে না। যার কারণে মানুষ লোভ-লালসার স্বীকার হয়ে অপরাধ করতে থাকে। সেই অপরাধের বোঝা এমন ভারী হয়, যা পাপ নামক বিরাট মনমাঝে জঙ্গলের জটলা দেহ ভর করে। যার ন্যায় মানুষ পাপী হয়ে থাকে।


৬. ধর্ম কিঃ- ধর্ম হল মানুষের জীবনের পরিপূর্ণ জীবন বিধান। ধর্ম ব্যতিত মানব জীবন সুশৃঙ্খল ও স্বাভাবিক জীবন-যাপন লাভ করা যায় যায় না। এক কথায় আল্লাহর প্রদত্ত বিধানের বাহিরে জীবন যাপনে মানুষ কখনও সঠিক মানব জীবন লাভ করতে পারে না। ধর্মই মানব জীবনের পরিপূর্ণ জীবন সভ্যতায় আবৃত্ত করে সুন্দর সামাজিক জীবন গঠনে এমমাত্র অবলম্বন।


৭. পাপ কাজে ধর্মে কি বলা আছেঃ- ধর্ম কখনও পাপ কাজ করতে বলা নাই। ধর্ম হল সঠিক দিক নির্দেশনার অনন্য মানব জীবন গঠন সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবন লাভে ধন্যে সুউচ্চমান জীবন-যাপন ব্যবস্থা। তাই পাপী কাজে ধর্মে বলা আছে। মানুষ পাপ করলে তার শাস্তি দুনিয়াতেই ভোগ করতে হবে। আর আখেরাতে তো কথাই নেই। তবে মানুষ না জেনে ছোট খাট পাপ কাজ করার পর বুঝতে পারে যে তার ভুল হয়েছে। তাই আর করবে না বলে যার সঙ্গে করেছে তার নিকটে গিয়ে ক্ষমা চাওয়া ও আল্লাহর নিকটে তওবা করলে। আল্লাহ ইচ্ছায় মাফ করে দিবেন। যা আর পুনরাবৃত্তি ঘটবে না। এই কথায় বলা আছে ধর্মে।    


৮.   মানুষ না সেরা জীবঃ- মানুষ তো সেরা জীবন তখনই হতে পারবে। যখন মানুষ জ্ঞানের আলোয় পরিশুদ্ধতায় ন্যায়-অন্যায় বুঝে নিজ সহ সকল মানুষের কল্যাণে সদাসর্বত্র কাজ করে জীবন অতিবাহিত করতে পারে। সেই মানুষই ধর্মীয় শিষ্ঠাচার সুলোভ ও আদর্শ আল্লাহ হুকুম মান্যের এক অনন্য সেরা জীব। এর বাহির কোন মানুষ সেরা জীবন হওয়ার সুযোগ নেই।


৯. সেই মানুষ কি করে পাপী হয়ঃ- শুধু মানুষের রুপ ধারণ করে জন্ম নিলেই মানুষ হওয়া যায় না। মানুষ হতে হলে শিশুকাল হতেই সঠিক পরিবারে সঠিক সুশিক্ষা (ধর্মের আদব, শিষ্ঠাচার, সামাজিকতা, সভ্যতা, ন্যায়-অন্যায় পার্থক্যের ভেদ, পাপ-পাপী) এই সমস্ত ভেদ সমূহ যখন বুঝতে পারে না। তখন ঐ'সকল লোকেরা নামে মাত্র মানুষ রুপ ধারণ করে কোন মতে গায়ে পায়ে শরীরে চলে থাকে। প্রকৃত পক্ষে ঐ'সকল লোকেরা কোন অবস্থাতেই মানুষ নয়। সেই সকল লোকেরাই পাপ কাজে লিপ্ত হয়ে থাকে। আর তারাই আল্লাহর লানত প্রাপ্ত মানুষরুপী পশুস্বভাব মানুষ রুপ ধারণে সমাজে চলে আসছে। ওরাই সমাজের বোঝা নরক।


১০. পাপ কথাটি সকল ধর্মের লোকের কাছে পরিচিত কিঃ- হ্যাঁ! পাপ কথাটি সকল ধর্মের লোকের নিকটেই পরিচিত। তাহলে বুঝা যায় ধর্মই সঠিক ও সুস্থতার জন্যে মানব সমাজে আদর্শ শিক্ষার শিষ্ঠাচার তৈরি করতে অনন্য। তাই ধর্মের বাহিরে মানব জীবন অতিবাহিত করা মানে বোকার ঘাড়ে পা রেখে হেটে চলার সামিল।
@@@@@@@@@@@@@@@@@@@@@@@@@@@@@@@@@


বাণী: সভ্যতায় মানব জীবন গঠনে সহমতে সকলকে সোচ্চার হয়ে সকল সুস্থ মস্তষ্কের জ্ঞানী বিজ্ঞ অভিজ্ঞ মহা মানবগণের এগিয়ে এসে সাথে নিয়ে শিষ্ঠাচারে কাজ করাটা্ই উত্তম। যার ফলে সমাজের মানুষ প্রকৃত জ্ঞান লাভে (ধর্মে-কর্মে) সঠিক জীবন-যাপন করতে পারবে। অন্যথায় মানব জীবনের জন্ম লাভ অসহযোগ ভর করেই চলতে থাকবে। যা বিধাতা কখনও সহ্য ও রক্ষা করবেন না।