এ কেমন পিতা নিজেরই ঔরস জাত
ছোট্ট মাছুম পুত্রের সাথেই করেন অনিয়ম!
কি মনে মাছুম শিশুটির সহিত করে থাকেন
অনাচার। বাবা; বড় ভাই বলে কথা কি করার?


আমি আর তোকে পারবো না যে লেখা-পড়াতে?
এ কি পিতার হতে সন্তানের প্রতি অবিচার মন?
যেখানে সংসারে ভরন-পোষণ নগদ অর্থাভাব;
তারপর পিতা জানের থাকে মন ঐ'বিরহের।


এরই মাঝে সংসারে বিধাতার দয়াতে নি:ষ্পাপ
সন্তান জন্ম নেয় কোলজুরে। বেড়ে যায় সংসারের
খরচ-খাওয়া-পড়া ;লেখা-পড়া; পোশাক-পরিচ্ছদ;
কাছের কে বা দূরের; সেটা নয় তো বড় কথা!


প্রতি নিয়তই হর-হামেশাতে চলে ঐ'মনে অ‍্যাপ‍্যায়ন
মহোৎসব। পক্ষপাত তুষ্টের দুষ্ট মনের অপরাধী প্রবণতার'
নিজেরই সন্তানকে' কেন এতোটাই নির্মমতা? শতকষ্ট
বেদনা নিয়ে' কত মানুষের আঘাত মনটিতে লুকায়ে;


শুধুই জীবনে মানুষের মত মানুষ হওয়ার স্বপ্ন-বিভোরে
কঠোর শ্রম বিনিময়ে। একদিন ঠিকই স্বপ্নের হাত ছানীতে
কল‍্যাণে দিনের নাগাল কোন মতে দেখা দেয় ঐ'সন্তানের।
তাতেই হাজার হাজার শুকুরিয়া আল্লাহর দরবারে।


তাই তো সন্তানই নিজ হতেই পিতা-মাতার সাথে সুসম্পর্কের
হাত ছানিতে রাখেন খোঁজ-খবর। হঠাৎ পিতা এক সময়ে হয়ে
পড়েন শারীরিক অসুস্থ‍্যের ভারে শর্য্যাশয়ী। কত আদরের ধন
ঐ'সময়ের যৌবনের স্ত্রী-সন্তান বলে কথা! কেহই জোটে নাই
তাঁর সেবার স্পর্শতায়।


অযত্নে-অবহেলার বিবর্ণতার ছোঁয়া' দেখলেই মনে
বড়-কষ্ট জাগতো আবার মায়াও পিতা বলে কথা!
কত-কথা-কষ্ট-শোলক-ছড়ার-বেদনা-না-ভেবে
পরম সেবা দিলাম আপন মনের ধ‍‍্যাঁয়ান-খেঁয়ালে'


অসুস্থ‍্য পিতা আমায় সন্তুুষ্ট হয়ে আবেগ-তারিত
মনে বলেন! শোন বাবা তুমি আমি করেছি ভুল!
জীবনে তোমারই সাথে! করি নাই তোমাকে দেখ
-ভালো! বড়ই অন‍্যায় করেছি তোমারই সাথে!


ভুল হয়ে গেছে। আমাকে মাফ করে দিও অন্তর
হতে। তুমি সন্তান মাফ না করলে ক্ষমা হবে না?
আমার সৃষ্টি কর্তা হতে। ক্ষমা করে দিও আমায়
আমি দোয়া করে দিলাম তুমি জীবনে অনেক বড়;


ভাল মানুষ হবে। ঠেক বেনা  কোথাও তুমি। সত‍্যই
পিতা চলে গেছেন এই দু'নিয়া ছেড়ে ঐ'পারেতে।
কথা গুলি মনে রেখেছি বটেই'  দেখি তো পিতারই
দোয়াতে কি হয়? আসে কি নেমে ভাগ‍্যের গতিতে?


কঠোর-পরিশ্রমের মনোবল; অধ‍্যাবসায়; ন‍্যায় নিষ্ঠা;
সততায় অর্জনে ধীরে ধীরে এসেছে জীবনে সফলতা।
মৃত‍্যুর সময়ে পিতা বলে ছিলেন। ওহে পুত্র শোন!
একটি জিনিস চাই তোমার নিকটে দিবে কি বল?


বলি আমি নি'দ্বিধাতেই! আমি বলি কি আছে আমার
দেওয়ার? যে পরম মনে দিতে পারবো পিতাজীকে?


ব-লু-ন-পি-তা-জী-আ-প-ন-ম-নে-নি-স-ং-কো-চে!!!


বলুন পিতাজী! অকুপটেই বলুন আমাকে। পিতা বলেন;
তাঁর মৃত‍্যুর পরে আমি যেন প্রতি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ
শেষে নিয়মিত একশত বার কলমা পাঠ করে ছদ্গায়
জারিয়া করে দিতে। তাঁরই আত্মার শান্তি কামনায়।


সুবহান্নাল্লাহ! আলহাদুল্লাহ! মাশাল্লাহ্! আল্লাহু আকবর!
ইয়া রাহমানুর রাহিমু! ইয়া গাফফারু! ইয়া কারিমু!
ইয়া সাত্তারু! ইয়া মালিকুল মুলুক! আরো রয় যে'
আল্লাহর নিরানব্বই নামের উপর সম্মান প্রদর্শনে


বলতে চাই;  পিতাজান আমার দুই হাজার এক
সনেরই ছাব্বিশ তারিখ রাত আটটা চল্লিশ মিনিটে
নিজ বাড়িতে ইন্তেকাল ফরমান। ইন্না.. রাজিউন।
প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজেরই শেষে একশত বার'


কালেমা পাঠের মাধ্যমে অদ্যকার দুই হাজার একুশ
সনের আগষ্টের একত্রিশ তারিখ পর্যন্ত সর্বমোট ছত্রিশ
লক্ষ সাতাত্তর হাজার পাঁচশত কালেমা মরহুম পিতার
বেহেস্ত নসিব কামনাতে আল্লাহর দরবারে প্রেরিত হয়।


প্রতিনিয়ত পালনের ন্যায় আল্লাহর দরবারে শুকুরিয়া আদায়
করতে পারাতে এই জগতের তরে জন্ম স্বার্থক বলে মনে হয়।
ভাবনাতেই রয়ে করি কামনা যেন শান্তিতে থাকেন কবরবাসে!  
তিনারই অনুগামী হয়ে একান্ততারই মননে পিতার আর্শীবাদ তুষ্টে।
===***===
===***===
বাণী: সকল পিতা-মাতাই সন্তানের মঙ্গল কামনা করেন। সেই তরে সন্তান ও নিজের পক্ষ হতে মনোযোগ সহকারে প্রকৃত মানুষ হওয়ার প্রত‍্যয়ে কঠোর পরিশ্রম ও সাহসী মনে এগিয়ে যেতে হবে। তবেই তো সফলতা আসবে সেই সকল সন্তানদের জীবনে। পিতা-মাতা করলেন আর্শীবাদ ও দোয়া! নিজে করলেন না সঠিক ভাবে নিজকে গড়ার কাজে নিয়োজিত। অসৎ সঙ্গে সঙ্গ দিয়ে ডেকে আনলেন নিজ জীবনে ক্ষতি। তবে কি করে হতে পারবে জীবনে মানুষের মত প্রকৃত মানুষ? তাই সঙ্গ প্রয়োজন রয়েছে মানব জীবনে। তাই বলে অসৎ সঙ্গের সঙ্গ নহে। সেই তরে বলি আমি কবি আমার জীবনে তেমন কোনই বন্ধু নাই। একমাত্র বন্ধু সৃষ্টিকর্তা! জীবন গড়ার ক্ষেত্রেও ছিল না আপন জন পাশে। ছিল শুধুই সততা-ন্যায়-পরায়ণতা, কঠোর-পরিশ্রমই প্রকৃত বন্ধু-বান্ধব। তাই বলে কি আমাকে বিধাতা নি:শেষ করে দিয়েছেন? মোটেও নয়! বরং কোনই পাপ কার্যে করেন নাই জড়িত। যতবন্ধু ততই ভাল এই সামান্য জগতে দু'দিনের। ক'দিন পড়েই বোঝা যায় তাদের অপরাধ জগৎ ভারী। নেই শেষ বদনামের। সেই তরে প্রকৃত বন্ধুর সন্ধ্যান খুব ক্ষীণ।।