অসলে কি দেশ আধুনিক হয়েছে? মানুষ কি পেয়েছে আধুনিকতার ছোঁয়া? প্রকৃত পক্ষেই মনে পড়ে সেই সময়ের, অতীত দিন গুলির কথা হারানো স্মৃতির কথা! আজ তৃতীয় রোজার সেহেরী খাওয়ার সময়, হলেই একে অপরে আত্মীয়-স্বজন আপনত্বরা' একে অপরে নিতেন খোঁজ-খবর ঘুম ভেঙ্গেছে কি, জেগেছি কি না? উঠুন খালুজান, খালামনি, মামা-খালা, মা-বাবা, বোন-ভাই, নানা-নানী, চাচা-চাচী, সুর্স্পকের অনেকেই এই ভাবেই প্রতিবেশী, মসজিদ-মাদ্রাসা হতেও; মাইকের ধ্বনিত আওয়াজে সরগম হয়ে যেত পাড়া-মহল্লায়। এখন আর সেই দিন গুলি তেমন দেখতে পাওয়া বড়ই দায়! আধুনিক যুগের দিনকাল বলে কথা হয়েছে মোবাইল ফোনের এ্যার্লারাম, সেই টিটটিট ঘড়ি নেই আর, ফেইসবুক ফ্রেন্ড-ফ্রেন্ডস। দেখা যাচ্ছে আর পাওয়া যাচ্ছে না সেই ছোট-বড়দের খোঁজ রাখতে বড়রাও ছোটদের আচরণে যার যার মত হয়ে যাচ্ছে একেবারেই এ'ভবে। শত ব্যস্ততার মাঝেও আমরা খোঁজ নিয়েছি একে অপরের এই সিয়াম-সাধনে এই প্রজন্মদের সময় নেই মোটেও একমাত্র তাদের নিজেকে মিথ্যা চিনা ছাড়া সেই! যাওবা চেনে' তাও একটুন বন্ধু (গার্ল ফ্রেন্ড-বয় ফ্রেন্ড) যেখানে পাপ আর পাপ সেথা যেমন মনোরঞ্জন আবেগ ভরা! তবুও মানুষ এরাই সর্বগ্রাসী সর্বাগ্রের হীন উদারতা মন। হঠাৎ একে। অপরে আপনে খোঁজ নিতে বেশ কোন প্রয়োজনে; দেখেন কি বলে: সম্পর্কে যে যাই ডাকুক না কেন; কেমন আছেন? কত দিন ফোন দিব দিব করে দেওয়া হয় না' এতোটাই ব্যস্ত যে সময় করে খোঁজ-খবর নেওয়া সম্ভব হয়ে ওঠেনি শরীরটাও ভাল না। হঠাৎ আপনার বা তোমার কথা মনে পড়ে গেল তাই কথা বলছি' তোমার শরীরটা ভাল তো! খাবার খেয়েছো! শরীরের যত্ন-টত্ন নিও! আরে আমি নয়, পাই না সময়' তুমিতো খোঁজ-টোজ নিতে পার! ও বড়লোক হয়ে গেছতো ভুলে গেছো! আসলে কি বর্তমানে যে দিনকাল পড়েছে, তাতে কে কার খোঁজ-খবর রাখেন?
এমন সকল কথা বার্তা বলা শেষে বলেন আমার না এই এই সমস্যা বাপু বা ভাই; তোমার তো আল্লাহ্ অনেক দিয়েছে! আমার বিপদটি যদি উর্দ্ধারে অনেক উপকার হত। একমাত্র তুমিই ভরসা! পারবে তুমি! তোমার জন্যে কোনই সমস্যা হবে না। আমি অনেক ভেবে-চিন্তে একমাত্র তোমার নিকটেই এসেছি, যা আর তোমাকে বলে বোঝাতে পারব না। এখন বুঝেছেন তো আমরা মানুষ, অনেক জ্ঞানী জন, সমাজ সচেতন, বুঝি সবই নিজের করে! আপন আর নয় পর! স্বার্থের বেচা-কেনা এই জগত সংসার! সবই যেন আপন; স্বার্থ ফুরালেই আপন হয় পর আর পর হয় আপন (বন্ধু-বান্ধব) আর ও জনা সবই যেন আনন্দ ফূঁতিতে ভরা। যখনই বিপদে আসে তখন আর কেহ থাকে না পশে আপনকে খোঁজে আবার অপবাদ পেতে। তারপরও মানুষ হুস হয় না এই জগৎ সংসারে। হে আল্লাহ্ পবিত্র মাহে রমজানের রহমতে দশদিনের আজ তৃতীয় দিন রক্ষা কর! কর রক্ষা আমাদের ভ্রাতৃত্বতা সহমর্মিতার সম্পর্ক; আপনত্বের অনুশাসনের মহব্বত; তৈরি করে দাও সুর্ম্পকের বেরাজাল। মায়া-মমতা, হৃদয় স্পন্দন, স্নেহ-মমতা, সঠিক পথের দিশারী মন। সুন্দরতম সুন্দর স্বভাব, আখলাক চরিত্র গঠনে এক অনন্য সৌহাদ্যতা পূর্ণ আস্তাচল পথ। পরিপূণতা দিও চরিত্রের সাধনে; অন্যায় স্পর্শ করাও না এই জীবনটিতে। বাকী রোজার ফজিলত কায়েম করার তৌফিক দান করিও আমাদের। কোন প্রকার ভুল করে থাকলে মাপ করে দিও আর যে না কখনও না করি সেই ওয়াদা করলাম তোমার নিকটে রেখ তোমার রহমতের চাদরে আবৃত্ত ছায়াতলের মহব্বত করে যে ক'টি দিন রাখবে এ'ভবে। এমন করেই মনে পড়ে গেল অনেক কথা পবিত্র তৃতীয় রোজা রাখতে গিয়ে আপনত্বের অতীত আর বর্তমান কালের সমাচার আভাসেরই বারতা বহমান অবকাঠামো কি বলে। হে আল্লাহ এই সময়ের মানুষের নৈতিক অবক্ষয় একমাত্র তুমিই পারবে রক্ষা করতে! অন্যথায় তোমারই বান্দা ধ্বংস হচ্ছে হয়ে যাবে মিছা অহং মিছা ভাবনার বেড়াজ্বালে।।