“মানব জীবনের আশা-আকাঙ্খার প্রত্যাশার প্রাপ্তিতে প্রতিদান”


কি যে পেলাম সেটা নহে বড় কথা!
কি যে দিতে পারলাম সেটাই তো আসল কথা;
পাওয়ার মাঝে যে নেই কোন স্বাদ!
না পাওয়াতেও অতৃপ্ততায় যে থাকে না অস্বাদ;
অর্জন করতে চায় যে মন।


বিধাতা হতে পাই যা আমরা;
তবে কেন বিধাতার বিধানের,
রক্ষায় দিতে পারবো না প্রতিদান?
যেমন আমরা সফলতা পাই;
প্রাপ্তিতে আল্লাহতালার!


তাই তো দিতে হবে প্রতিদান বিধাতার!
তবেই তো স্বীকার প্রতিদানে;
যা নাকি প্রাপ্তিতে।
জয়ের মালা পড়তে যে মন চায়!
সেই পড়াতে কি আমি অর্জন করতে পেরেছি?


বিনার্জনে যদি আশা করি প্রাপ্তি;
তবে কি আমরা হবো প্রাপ্য?
আমি তো কারোও জন্য কিছুই করি নাই!
তবে কেন করি মিথ্যাচার?
নিজে কিছু না করি, তাতে কি?


তার জন্য কি অপরের করায় অহংকারী;
কর কেন হিংসা; কর বদনাম?
তোমাতেই ভাই যে প্রাপ্তি;
হবে না তোমায় কোন প্রতিদান!
তোমার প্রতিদানের আশায় কি বসে রয়েছি?


না আমি তো কখনও তোমায় ভাবিনী?
যে গাছের ফল সকলেই খেতে পারবে;
গাছ বাড়তিতেই বুঝা যায় না কি?
তোমাতে তো কোন মহত্ব নেই!
তবে কেন কর গন্ড—গোল?


ভেবে দেখেছো কি কখনও করেছো কি?
জীবন তো একটাই কি করেছো জীবনে?
যা নাকি প্রাপ্ত ছিলে,
কর্ম দোষে হলে যে অপ্রাপ্তি।
তোমারই অপ্রাপ্তিতে হতে পারে কি কেহ দোষী?


কেন কর নিজেকে না চিনে অপরকে দায়ী?
কখনও কি জেনেছো নিজেকে?
করেছো প্রশ্ন কি ফল এনেছো নিজ জীবনে?
তুমি পাড় নাই, তাই বলে কি কেহ পারবে না:
কেন কর হিংসা?


যার যে সামর্থ সেই তো তেমন করবে?
পাশে দাঁড়াবে অপর মানুষের!
আল্লাহ্ রয়েছনে মানুষের সব সময়ই পাশে।
কর্মময় জীবন কর যে উত্তম কর্ম;


চাও যত চাওয়ার আছে
সেই অফুরান্ত ভান্ডারের মালিক আল্লাহরই কাছে;
চাওয়াটা যদি হয় সঠিক ও উত্তম!
তবে কেন কেন আল্লাহ্ দিবে না?
তাই তো বলি প্রাপ্তিতেই হয় প্রতিদানে!
           =×××=

বাণী : শ্রমের মাধ্যমেই প্রাপ্তি আশা শ্রেয়।।