এ যে এক আশার আলো;
দিগ—দিগন্তে ছুটে চলার ন্যায়!
মন যে চায় দূর—অ—জানার কোথাও ঘুরতে;
কোন লুকান্তরের জানার প্রত্যাশায়।


কেন যেতে হবে দূর—অ—জানাতে?
সেটা একটা প্রত্যাশায়!
কেন করি প্রত্যাশা?
জেনে কি করি?
প্রত্যাশায় সফল কি হতেই হবে?
কেন সফল হবে না?
চেষ্টা করেছি কি সফল হওয়ার?
প্রত্যাশা সকল মানুষেরই মাঝে জন্ম নেয়;
পূরণ করতে পারে কি ক’জনে?
প্রত্যাশার প্রদ্বীপ জ্বালাতে হলে..
মানুষ নিজেকে কষ্ঠি পাথরে যে পুরাতে হবে
সেই পাথরে পুড়লেই তো হবে..
মানুষের প্রত্যাশিত ও অনাকাঙ্খিতের;
পূরণ প্রত্যাশা।


বিনা শ্রমে কোন কিছু চাইলেই..
জীবন হবে যে ঘৃণায় ভরা প্রত্যাশা!
যা—না—কি—মনে—প্রাণে—টানে;
কষ্ট দেয়—মন—কে—প্রাণ—কে;
এক জন ছাত্র সে তার ভাল ফলাফল..
প্রত্যাশায় করতে হবে যে..
ছাত্রের ভাল ফলাফলেই তো হতে..
পারবে একজন প্রকৃত শিক্ষক!
হতে পারবে গুনি জন।।


জীবন—জীবিকায় বৈধ যে কর্মই করবে!
আল্লাহ্ চাইলে তো পূরণ যে হবেই;
সেই অনাকাঙ্খিত প্রত্যাশা।


আমরা ছাত্র, শিক্ষিত, আধা শিক্ষিত,
অল্প শিক্ষিত, দিন মজুর কৃষক
(খেটে খাওয়া মানুষ),
ব্যবসায়ি, লেখক, চাকুরী জীবি, শিক্ষক,
উচ্চ—পদস্থ কর্মকর্তা, হুজুর, কেহ
নিরাপত্তা কর্মী, কেহ অগ্নি নিরাপত্তা কর্মী,
কেহ পুলিশ, কেহ সেনা কর্মকর্তা-সৈনিক (জোয়ান),
কেহ নৌ সৈনিক, কেহ বিমান সৈনিক
(এরই মাঝে কেহ গোয়েন্দা),


কেহ গৃহিনী, কেহ চুরিওয়ালা,
কেহ বাদামওয়ালা, কেহ হকার,
রিক্সাওয়ালা, ফেরীওয়ালা, কূলি.
কামার, কুমার, তাঁতী, নাপিত,
কুমোড়, গায়ক, চিত্র শিল্পী,
ভব—ঘুরে, পাগল, হতবুদ্ধি,


গায়ের মাতব্বর, চেয়ারম্যান,
মেম্বার, কত যে পেশার মানুষ,
কেহ প্রেম পিপাসী, ভবঘুরে স্বপ্ন প্রেয়সী,
দিনের আলোয় স্বপ্ন দেখে,
শেষ রাতে স্বপ্ন দেখে,
গভীর রাত্রে স্বপ্ন দেখে,


ভাল পোশাক পড়লে ভাল দেখায়,
কেহ মাথার চুল স্টাইলে কাটায়,
কেহ নেল পলিশেই সময় নষ্ট করে,
কেহ রুপ চর্চায়, কেহ শার্টটা একটু
টাইটফিট করে নেয়,


কেহ দেহে পোশাক যেখানে পড়ার সেখানে পড়ে না,
কারোও শরীরে পোশাক নামে মাত্র,
কেহ দামী পোশাক পড়ে!
শরীর দেখাতে পছন্দ করে, কেহ চাটুকারিতায় পটু,
কেহ হাসাতে পছন্দ করে, নাচতে পছন্দ করে,
কেহ নাচাতে পছন্দ করে, কেহ দাম্ভিকতায় পছন্দ,
অহংকারে পছন্দ, কেহ কেবলা,
কেহ কাউকে ধিক্কার দিতে পছন্দ করে,
কেহ কাউকে অপমান করতে পছন্দ করে,
কেহ কারো সম্পদ ছিনায়ে নিতে পছন্দ করে,


কেহ মিথ্যা ছলনায় ফেলে অপরের ..
রমনীকে ছিনায়ে নিতে পছন্দ করে,
কেহ কারো মেয়ে ছিনায়ে নিতে পছন্দ করে,
কেহ কারো গাছের ফল ছিঁড়ে নিতে পছন্দ করে,
এই জগতে হায় কত মন আর কত..
রকমের যে মানুষ আমরা প্রত্যাশিত।


এই সবই মানুষ রুপি এক শ্রেণীর কাজ;
আসলে কি আমরা সকলেই (মানুষ) করছি সঠিক কাজ?
একজন মানুষ হতে হলে যে আমাদের থাকতে হবে উচ্চ আকাংঙ্খা!
হতে হবে আত্ন:প্রত্যয়ী;
থাকতে হবে যে উচ্চ শিখরে পৌঁচ্ছানোর প্রত্যাশা!


তা না হলে যে হতে হবে মিথ্যার নাটকের জগতের স্বীকার;
দেখা দিবে না কখনই স্বাভাবিক জীবনের আলোর দিশারী!
জীবনে নেমে আসবে অন্ধকার জগৎ;
মিথ্যা ও অপূরণ অস্বাদে কাঁটাতে হবে সারাটি জীবন!


মানব জীবন যে কতটা মূল্যবান যে জন বুঝেছে;
সেই তার মূল্য বান সময় টি কে কাজে লাগায়ে;
লুঁফে নিয়েছে আপন করে, গড়ে তুলেছে নিজেকে!
যে করেনি জীবনের সময় অপচয় সেই তো করতে পেরেছে জয়।


যে করতে পারেনি সে হয়েছে যা যাবর,
তাদেরই আপসোস থাকবে সারা টি জীবন!
আর যে করছে কষ্ট সেই হয়েছে জয়ী;
আজ তাদেরই স্বার্থক জীবন,
হয়েছে তাদেরই প্রত্যাশা পূরণ।
....................................................
বাণী : কর্তব্য নিষ্ঠা এবং শ্রমের মাধ্যমে প্রত্যাশাই মূলত:প্রাপ্তি।