কবিতাটি উৎসর্গিত : সারা জাহানের মুসলিমসহ সকল (নর-নারীগণের)
                             এবং
আপন জন শ্রদ্ধেয়  :  (পিতা-মাতা এবং নানা-নানী)
প্রিয় সহধর্মীনি     : এস. এম. শিরিন আক্তার (লিপি), সহকারী অধ্যাপিকা-(অর্থনীতি), মহিলা ডিগ্রী কলেজ, মধুখালী, ফরিদপুর,
(ইনাদের উদ্দেশ্যে)।


                                                       (জাকির হোসেন বিপ্লব)
রমজানেরই রোজার শেষে
এলো যে খুশির ঈদ!!!
প্রথম রোজায় সারা জাহানের
মুসলিম-হয়-যে-একটু-ভৃত-কষ্ট-মনের-খুশি-আনন্দের এক অনন্য অনুভূতি নিয়ে।


সকল মুসলিম পালন করেন এক নিষ্ঠায় সিয়াম
আল্লাহ্ তাওয়ালা হয় যে খুশি।
যে সকল ধর্ম্ প্রাণ মুসলিম পায়
সিয়াম পালনে রহমতের সেই প্রথম দশ দিন;


রোজাতে করেন না কো অবহেলা!
পূর্ণ্য করে ঈমানদার মুসলিম
সেই সকল ধর্ম প্রাণ মুসলিম
পায় যে রহমত আল্লাহ্ তা’য়ালার।


এরই পরে আসলো যে মাগফিরাদের দশ দিন
আমরা মুসলিম পাই যে সুযোগ জীবনে;
কি যে মনে জাগে আনন্দ-খুশিতে আত্না:হারা;
প্রতি দিন যাই যে মসজিদে তারাবিহ নামাজ আদায়ে!


খতম তারাবিহ নামাজ আদায় হবে যে কুরআন খতমের মাধ্যমে।
কত যে পূর্ণ্যতা-নেকির কাজ এই পবিত্র রমজান মাসে;
তাই তো পবিত্র ধর্ম গ্রন্থে,
বিশেষ ভাবে উল্লেখ রয়েছে।


সকল মাসের চেয়ে যে সেরা মাস!
এই পবিত্র রমজান মাস যেখানে
ধনী-গরীবের-ভেদা-ভেদ-ও-অভাব!
জানা ও বোঝার উপলব্ধিতে হয় যে পালিত।


এই মহা-ইসলাম ধর্মের আনন্দ সমাবেশ;
আমরা ধর্ম-প্রাণ মুসলিম ক’জন করছি যে পালন?
কি ভাবে করছি সিয়াম সাধন?
প্রকৃত সিয়াম আদায়ে যে রয়েছে!


কতই না আত্ন ত্যাগ ও বিনিময় প্রাপ্তি?
দ্বিতীয় দশ দিনের এই যে পরিপূর্ণ্য ইবাদতের
সুযোগ হয় যে পবিত্র রমজান মাসের সিয়াম পালনেই।
কি যে এক অনুভূতি সকল মুসলিম নর-নারী পরিবারে।


তারাই তো বোঝে এবং আল্লাহর ভৃতি পেয়ে
নাজাত পাবার যে আশায়
কোন অবস্থাতেই প্রশ্রয় দেই না যেন
কাজা রোজার আশ্রয়ের।


মাগফিরাত যে তলব হবে
হে আল্লাহ্ রহমত বর্ষণ কর যে উপর আমাদের
ধর্ম প্রাণ এক মুসলিম জাতি হয়ে উঠি যে মনে প্রাণে।
সদা-সত্যের শিক্ষায় যে সিয়াম সাধন;


ত্যাগ স্বীকারে যে রয়েছে আত্নার শুদ্ধিতা।
কি যে ভাল লাগে তুপ্তিতে প্রাণে আল্লাহ হতে।
তারই পর আসলো যে নাজাতের দশ দিন!
এ-কি-যে-মহা-আনন্দ-সমস্ত-রমজান-কে-পরিপূর্ণতায়;


মাগফেরাত কামনায় আসে যে বেজোড় রাত্রি ও দিন ক্ষণ!
একুশ, তেইশ, পঁচিশ, সাতাইশ ও উনত্রিশের
এই নাজাত পাওয়ার সময় ক্ষণে আল্লাহর যে রয়েছে;
পবিত্রতার সহিত একেবারে পাক পবিত্রতায়।


বেজোর রাত্রি গুলিতে করবো আমরা ইবাদত-বন্দেগী
ক্ষমা চাই যে আমরা নিষ্পাপ শিশুর ন্যায় চোখের পানি ছেড়ে!
তখনই একজন ধর্ম-প্রাণ মুসলিম জানতে পারি হয়েছে কি..
কবুল আমাদের মুনাজাত মন থেকেই বলে দেয়;


বিধাতার সাথে বিনীত ও নত জানে চাওয়াতেই!
মন থেকেই বলে জানায়ে দেয়;
হয়েছে কি বন্ধুত্ব?
নাজাত হবে কি?


নাকি আগামী এক বৎসরের হিসাবের খাতায়
লিখা রয়ে যাবে?
কেন রয়ে যাবে সামান্য অবহেলায়
ইবাদতের গাফলতিতে?


কেন দোয়া কবুল হবে না?
যদি করি পবিত্রতার সহিত ইবাদত ও বন্দেগী।
এই ঈদ-পাবন অনুষ্ঠান আসে যে মানব জীবনে;
কি যে খুশির ভান্ডার নিয়ে;


পবিত্র রমজানের রোজা শেষে আসে যে..
লোক-সমাগম এরই মাধ্যমে এক আয়োজন পবিত্র
ঈদের জামাত, পড়তে যে নামাজ।
দেশ-বিদেশ হতে আসে ছুটে আপন জনের কাছে।


কাজের চাপে সময় হয়ে ওঠে না যে
আপন জনদের সাথে; এই তো সময় হয় সাক্ষাতের!
কত না আশা-আকাঙ্খায় বুক ভরা এই পবিত্র ঈদ।
আপন জনদের সাথে সময় কাঁটানোর প্রত্যাশায়।


যার যেমন সামর্থ সবোর্চ্চ চেষ্টায় করে কেনা-কাঁটায়;
যায় যে দূর-দূরান্ত হতে আপন..
জনদের সাথে আনন্দ ভাগ করে নিতে!
সকলেই নতুন ও পাক পবিত্র পোশাকে;


যায় যে নামাজ পড়তে ঈদগাহের ময়দানে
ইমাম সাহেব নামাজ শেষে খুদবাহ শেষ করেন;
বলেন ইসলামের উপর শিক্ষনীয় আদর্শ আলোচনা।
উপহার দিতে রাজি করান উপস্থিত মুসল্লিদের!


ইসলামের জিন্দায় খেদমতে থাকা সেবক থাকে যারা;
এ ছাড়াও যে যা পারে দেয় উন্নয়নে
(মাদ্রাসা, এতিমখানা, ঈদগাঁহ ও মসজিদের)
এরপরই পরে ইমাম সাহেব দোয়া শেষ করেন;


দোয়া শেষে যে শুরু হয় এক অন্য রকমের স্বাক্ষাৎ
কুলাকুলি ও মহব্বত মোছেহ পর্ব।
বাড়ীতে পিতা-মাতাসহ বড়দের সালাম করায়;
স্নেহ-মায়ায় দেয় যে বকশিস্ ঈদ সালামী!


কি যে খুশি উভয়েই পায়?
এ যে ঈদ আনন্দ খুশির জোঁয়ারেই ভাঁসে।
আবাল, বৃদ্ধ, শিশু, কিশোর সকলেরই
প্রত্যেক ঘরে ঘরে বয়ে চলে আনন্দে জোঁয়ার।


হয় ভাল ভাল মিষ্টি, ঝাল খিঁচুরী ও মাংশ পোলাও, কুরমা ও বিরানী;
যার যেমন সাধ্য তারপরও একটু বেশি বলে যে
আনন্দ ঈদ! মেতে উঠি আমেজের খুঁশিতে!
যাই যে বেড়াতে  এ-পাড়া-ও-পাড়াতে।


কি যে নেয়ামত?
সৃষ্টি কর্তার হতে পাই যে আমরা রহমত।
এতো বড় আনন্দ হয় না কো আর অন্য কোন..
অনুষ্ঠান রাজিতে; যা পাই শুধু ..


পবিত্র মাহে রমজানের সিয়াম সাধনেই।
কি যে গুরুত্ব পবিত্রতা এই রমজান মাসের?
তাই তো আমরা বেশি বেশি গুরুত্ব দেব
রমজান মাসের হেদায়েত পাওয়ার;


ইবাদতের ন্যায় আত্ন:শুদ্ধিতা লাভে হব অনন্য!
তুলনা নাই যে মাসের সেই মাসই তো..
পবিত্র রমজান মাস,
এই মাসই সব মাসেরই সেরা হয় যে মাস।


যেখানে ঘোষণা করেছেন মহান আল্লাহ্ তাওয়ালা
তিনি পবিত্র দ্বীনদার ঈমানদার মুসলিমকে
নিজ হাতে পুরস্কার প্রদানের কথা ঘোষণা করেছেন
যাহা পবিত্র কুরআন মসজিদে স্পর্ষ্টত: বলা রয়েছে!


আমরা কি বঞ্চিত হবো পবিত্র এই পুরস্কার লাভ হতে?
পবিত্রতার সহিত করলে পালন সিয়াম সাধন;
তবেই তো প্রাপ্তি হবো আল্লাহ প্রদত্ত পুরস্কার!!!
হবে পবিত্র রমজান মাসেরই সিয়াম সাধনের..
আত্ন:শুদ্ধিতারই লাভে পায় যে মন ও প্রাণে পবিত্রতা।।।


তাই তো এই রমজানের পবিত্র ঈদ কবিতাটি উৎসর্গিত করলাম:
সারা-জাহানের-ধর্ম-প্রাণ-মুসলিমসহ-সকল-নর-নারী
আবাল-বৃদ্ধ, শিশু-কিশোর-কৈশোর উভয়ের মঙ্গল কামনায়
                         এবং
আমার শ্রদ্ধেয় মাতা : মোসা: রোকেয়া বেগম-
                  পিতা : মরহুম আঃ আজিজ মিয়া,
             নানা ভাই : মরহুম মোঃ বেলায়েত আলী মোল্ল্যা-
              নানীজান : মরহুমা আনোয়ারা বেগম
                                  ও
        প্রিয় সহধর্মীনি : এস. এম. শিরিন আক্তার (লিপি) ইনাদের উদ্দেশ্যে।


                          =***=


বাণী : হালাল উপার্জনের অর্থে  ঈদ উৎসব করাই শ্রেয় আনন্দ ও পবিত্রতা।