সে তো এক সুদূর দৃষ্টি;
অন্তরের মাঝে এক কোমলতায় ভরা..
প্রকৃতি দিতে চায় যে শিক্ষা;
দেখতে পাই কি সেই আমরা!


যারা অন্ধ জ্ঞানে হতে চাই জ্ঞানী!
দেখতে পাই কি আমরা সাবলিলতা?
দেখবে সাবলিলতা কি?
স্বভাবে দেখতে পাবে কি করে?


সাবলিল হতে হলে যে অন্তরের মাঝে;
তৈরী করতে হবে এক অস্বাভাবিকতার..
সেই মনন শীলতার সাবলিল মন।
দেখবে সাবলিল কি?


কিভাবে একটি মানুষের মাঝে জাগ্রত হয়?
প্রাকৃতিক সৌন্দার্যের সেই নীলা ভূমির;
বুকেই তো জন্ম নেওয়া শত বৃক্ষ রাজী!
আকাশ হতে যখন বারী পড়ে..


বৃক্ষ রাজীর শরীরে, দেখতে পাই কি অন্ত—দৃষ্টিতে?
অনুরুপে যখন একটি শিশু গোসলের পানি ঢালে শরীরে;
আমরা কি দেখতে পাই না কাকে সাবলিল বলে?
কত পবিত্র, কত টা যে কোমলতা,


কি যে ভাল লাগে, যে এই মাত্রই মনে হচ্ছে!
সেই বারী বা বৃষ্টি ভেজা বৃক্ষ রাজির ন্যায়;
কোমলতা এই কোমল মতি শিশুটি।
এই শিশু তো এক দিন মানুষ হওয়ার প্রত্যয়ে;


যখনই যোগ্যতা অর্জনের ন্যায় নিজেকে গড়ে তুলবে..
আপন করে শত বাঁধা—বিঘ্নতাকে প্রশ্রয় না দিয়ে;
আল্লাহর সৃষ্টি আমরা মানুষ কোন!
রুপ চেহারার, শারীরিক গঠনের, ভাল দেখার,


ভাল লাগা না লাগার, অর্থ—বিত্তের, ভাল বাড়ি ও পরিবেশের;
নাহি গৌরব না করি আমার বাবার ছিল! আছে আমাদের;
এই তো আমরা অহংকারী!
হবে কখনও সাবলিল, আমরা পারবো না হতে কোন দিন;


আমরা মানুষের মত মানুষ হবো!
করবো না কখনও নিজেকে নিয়ে বিনা কারণে গর্ব।
স্বচ্ছতা আমরা পেতে পারি সেই শিশুটি’র মত;
যেমনটি বৃষ্টি ভেজা বৃক্ষ রাজির মতই।
দেখতে পাবো জীবনে কি যে দিয়েছে আল্লাহ্!
যে জন করেছে প্রকৃতিকে নিজের মন নিবেদন;


সংগ্রহ করেছে যে কি সাবলিলতা;
তাই তো আমরা আজ ভোগ করতে পেরেছি..
কোন প্রকার ঝঞ্জা ছাড়াই ধরা দিয়েছে!
যা পাওয়ার তা চাওয়ার।


আর যখনি করি অনিয়মের চাওয়ায় প্রাপ্তি;
তবেই তো নেমে আসবে ভবিষ্যৎ ক্ষতি!
মন—হৃদয় হয় ক্ষাণ—ক্ষাণ..
বিষন্নতা নিয়ে চলতে যে হয় মনের গতি!


আসবে না কখনও সেই সাবলিলতা’র আসার আলো;
পাবো কি কোন জনমেও স্বপ্ন পূরণের সাধ?
অপূর্ণতায় রয়ে যাবে আমাদের জীবনের..
যা ইচ্ছা জাগে পেতে, ধরতে ও পেতে;


কখনই নাগাল পাওয়া যাবে না যে,
কি যে না পাওয়ার অভাব, বেদনা ও কষ্ট;
কি যে করেছি সময় এর জীবনে ভুল?
যদি ভাবতাম সেই প্রকৃতির কথা


ভাবনাতেই জেনে নিতাম প্রাকৃতিক নীলা’র নীলাম্বরার..
সে সৌন্দর্য, আজ হতে পারতাম যে এক সাবলিলতায়।
যৌবন আমাকে তোমাকে টানে, কেন টানে?
কিসের জন্য টানে, কখনও ভেবে দেখেছি কি?


এই যৌবন টানে শুধু মনের মাঝে একটি..
অন্য স্বভাব টা কে শয়তানের কাছেই..
ধাক্কা দিয়ে দূরে সরায়ে দিয়ে;
আল্লাহর নাম স্মরণে সেই অপেক্ষিত আমরা,


মানুষরা পছন্দ করি যে স্বভাব,
এগিয়ে যেতে চাই যে স্বভাবের কাছে;
হয় তো নিজে সাবলিল হলে..
পেতে পারি সেই যে আশা ছিল মনে।


মনকে করলে স্থির, তবেই তো পৌঁচ্ছানো সম্ভব;
সেই তো সাবলিল, প্রাপ্তি হবে স্বাভাবিকতার!
আনন্দময় জীবন লাভ করবে;
আমরা নিজেকে জন্ম দিবো এক অনন্য..


স্বাভাবিক ও স্বাবলিল জীবন।
হে মানুষ এসো আমরা!
এসো গড়ি! করি উপভোগ সাবলিলের সেই যে...স্বাদ।


                       ***
বাণী : সব সময় সংযত থাকাই শ্রেয়।।