ঐ সেই ছোট্ট বেলাকার কথা
হঠাৎ আজ মনে পড়ে গেল।
বন্যার মৌসুম শেষের দিকে
একদিন সাজ্জ সকালে ফজরের
সালাত কায়েম ও মোনাজাত
শেষ করেই। কোন মনে যেন!
গেলাম কলস গাড়ারই বিলে।
ঐ’সেই বিলটি রয় আমাদেরই
গাঁয়ের ধান ও শষ‍্য জমিনেরই
নীচু প্লাবিত পানি জমা হাওরে।
দেখিতে পেলাম বিলেরই পানি
ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে।
বিলেরই নিকটবর্তীতে যেতেই
দেখিতে পেলাম বিলে ফুঁটেছে
আমাদেরই জাতীয় ফুল শাপলা!


বেশ কিছু ছেলে-মেয়েরা মাঝে
মাঝে করছে পানিতে হই-হুল্লর।
ঐ’দেখে আমিও নেমে পড়লাম
বিলেরই একটি কোনে। খোলা-মেলা
বেশ বড়-সড় জায়গা নিয়ে ঐ যে
সেই কলস গাড়ারই বিলটি। কেহ
ধরে মাছ রয়না, ষোল-টাকী, পুঁটি,
খঁয়ড়া, সিং-মাগুর, বেলে, রুই-
কাতলা, আইড়-বোয়াল, টেপা,
বাইম-দড়াবাইম, চান্দা, গঁজার,
মৃগেল, গলদা চিংড়-ধ্যানে চিংড়ি,
টেংরা-বাজারী টেংরা, কাকিলা,
আরো কত যে নাম না জানারই
তরে। সেই সাথে কেহ তোলে পদ্ম
ফুলেরই নিম্নের অংশ বিশেষ শালুক।
শালুক সিদ্ধ খেতে ভারী মজার’


পদ্ম ফুলেরই ডগা ভাজী তরকারী
(নাইল) বেশ লাগে যে সুস্বাদের।
আবার কেহ ঐ’বিলেতেরই খোটে
শামূক! পাতী হাঁসকে খাওয়াতে।
কেহ খুঁটে পাঁকা ধানেরই বাইল।
আমিও সকলেরই সাথে একই মনে
একাকার ভাবনাতেরই সাথে রাখা
গামছাতে বিলেরই পানি ছেঁকিয়া
ধরে ছিলাম হরেক রকমের মাছ।
মন যেন খুঁশিতে হয়েছিল ভরপুর।
সেই ছোট্ট বেলাকার কথাগুলি আজ
মনে পড়াতে স্মৃতি-চারণে লেখা
হল যে একটি কবিতা। বর্তমানে
দেশে এখন আর দেখতে পাওয়া
যায় না। তেমন ঐ’সেই সময়কার
প্রাকৃতিক বন্যা নামক দূর্যোগের মহা-
মারী।


তাই তো প্রজন্মরা হারাতে বসেছে
সেই সমস্ত স্মৃতি। এখন ওদের
কাছে শুধুই রুপ-কথারই গল্পেরই
মতন। নানা নানা না! কোনই নয়
তো রুপ-কথারই গল্প। সত্যই ছিল’
আমাদের সময়ে ঐ’সকল আনন্দ
-বিনোদন-মাছ-ধরারই গল্প-স্বল্প।
মোরা আমরা অনেকেই পাড়ার
সাথীরা মিলে-মিশেই যেতাম যে
আমাদেরই ফরিদপুর সদর জেলার
মাচ্চর ইউনিয়নের পরানপুর গ্রামের
ঐ সেই কলস গাড়ার বিলটিতে। সেই
স্মৃতির কথা মনে পরাতে লেখা হল যে
আজিকেরই কবিতাট সত্যই ছোট্ট
বেলাকার হারানো সময় স্মরণেতে।
===***===
===***===
বাণী: ছোট বেলায় যে সকল ছেলে-মেয়েরা পড়া-লেখার পাশা-পাশি গঠন মূলক কাজে-কর্মে অভ্যাস গড়ে তোলে। সেই সকল ছেলে-মেয়েরাই বড় হয়ে নিজ হতেই সাবলম্বি হয়ে থাকে। অন‍্যান‍্যের সাধারণের থেকে বেশী।