মানব জীবনে আমরা কি নিজেকে
সব জানাতে পারি;
না জানার চেষ্টা করি!
কত না অজানাই রয়ে যায়
কত সময় না ব্যয় করি অপ্রয়োজনে
প্রয়োজনে করি কত টুকুই বা!!!


কখনও কি চেষ্টা করেছি মানেটা কি
করছি যে কি?
তাই তো কিছু অর্থের সরলতায়
কবিতা রচতি করলাম যে ভাবণায়;


করলো মানে কি?
অর্থ = করেছে;


করবে মানে কি?
অর্থ = করার ইচ্ছা;


শেষ হয়েছে মানে কি?
অর্থ = সম্পন্ন হওয়া;


শেষের দিকে মানে কি?
অর্থ = আংশিক বাকী;


পরিপূর্ণ মানে কি?
অর্থ = একে বারে কানায় কানায়;


ভাল-মন্দ মানে কি?
অর্থ = ভাল ও মন্দের মাঝা—মাঝি;


ভাঙ্গা-গড়া মানে কি?
অর্থ = একবার গড়ে ও এক বার ভাঙ্গে (ভাঙ্গা-গড়ার মাঝা মাঝি);


অপূর্ণতা মানে কি?
অর্থ = যে কাজে পূর্ণতা পায় নাই;


এ ভাবে প্রতিটি শব্দ ভান্ডারেরই অর্থ রয়েছে!
অর্থ ছাড়া কোন কিছুই নাই যে দুনিয়াতে;


আছে কি?
সৃষ্টি জগৎ বড়ই রহস্যময়;
পাবে কি জানতে সব কিছুই?
সবই জানার জন্য বিধাতা বলেছে কি?


যত টুকু যে যোগ্যতায় বিধাতার নিকটে চাওয়া
সেই জ্ঞান উপলব্ধিতে নিজেকে নিয়ে যে চেয়ে;
গড়ে তুলতে হয় যে এক অর্থ বোধক শব্দার্থ।
তবেই তো বুঝতে ও জানতে পারা যাবে..


প্রতিটি মানুষের সকল কাজের জন্যে অর্থ বোধক কথা বলা!
আর অর্থবোধক কথায়! জানতে হবে নিজেকে;
অল্প জানায় যে অজানা অর্থই রয়ে যাবে মানব জীবনে।
তবে যত টুকুই জান কর তবে সেই জানায়;


পাবে কি কখনও যে জানে সেই জানার স্বাদ?
আমি বলি কি আমরা মানুষরা’
যত টুকু যেখান হতেই জেনেছি না কেন!
আর একটু ভাল করে জানার চেষ্টা করি।


জানাতে যে বলা সে টাই হল অর্থ—বোধক বলা;
অজানায়-হয়-কি-অর্থ-বলা-তে-অর্থ-সেই-যে-শব্দার্থ
অজানায় শব্দার্থের রুপের চর্চায় না দিয়ে মন
প্রকৃত জানায় জান যে জীবন ক্ষণ
তবেই তো প্রকৃত জানায় হবে শব্দার্থের স্বার্থকতা।।


                =***=


বাণী : মানব জীবনে আমরা অনেক কিছুরই অর্থ জানি না তারপর আমরা নিজেকে জ্ঞানী জানি! যা নিহায়েত বোকামী ছাড়া আর কিছু নয়।।