কেন এক মানুষ অপর মানুষকে.
দিবে অপবাদ?
যে করে অপরাধের কাজ,
আসলে কি আমরা ঘৃণা করছি তাকে?
ঘৃণিতকে কে না করে ঘৃণা;
করে আসছি যে কাকে?
এতোটাই অধম!
যে আপন জন না থাকলে;


আজকের তুমি কি যে হতে?
তুমি কি অধম;
না ভূমিতে নিপাতিত ক্ষেপনাস্ত্র?
কেন তুমি নিজেকে জ্ঞানী জান!!


দেখতে তো পাই না তোমার মাঝে,
জীবন গড়ার আলোকিত দিপ্তমন?
নেই যেহেতু আলো,
তবে কেন কর এতোটাই আলোক রশ্মির ন্যায়;


থাকো না নিজের মধ্যে,
কেন বিলাও নিজেকে অপরের মাঝে?
যার সাথে থাকে না তোমায় কোন জুরি;
কেন করে আসছো নিজের সাথে নিজেই লুকোচুরি!


তোমার জগতের মাঝে আছে,
না অর্জন করার ইচ্ছা-শক্তি,
দেখতে কি পাওনা দু’নয়নে!
হবে না কখনও বোধদ্বয় কি!!


অপরের ভাল সব সময়ই দেখবে নয়ন ভরে!
দেখতে পাবে কি যে আনন্দ!
হতে হবে না যে হতাশা এ জগতে।
মোরা করবো পণ মন-প্রাণে


দেব না কাউকে অপবাদ!!
করবো না এমন কোন কাজ;
কেউ দিলে বিনা কারণে অপবাদ
মাথাতে রাখা যাবে না যে!


অপদার্থের কান্ড-জ্ঞানহীনতার
না জানা সেই আত্ন:প্রলেপ।।
সেই যে শুধুই অপবাদ
সে যে এক কি ভয়ানক হতাশা!!


আমরা তো নিজেকে মনে করি মানুষ.
তবে কেন দেও এক মানুষ হয়ে
আরেক মানুষকে এতোটাই অপবাদ?
আমিও তো মানুষ রুপি !


ভাবি যদি হতে পারতাম মানুষ আমি!!
তাই তো মানুষ হওয়ার লক্ষে;
সব সময়ই ভেবে আসছি কি যে করি?
সমস্ত অপবাদ কে ধুলার সাথে মিশায়ে!


সকল প্রতি কূলতাকে কষ্ট—সাধ্য দ্বারা,
জয় করে; তৈরি করবো যে নিজেকে;
হতে পারবো যে আমি এক...
নিতে পারবো অপবাদের বোঝা তোমাদের!


সইতে পারা যাবে যে।
আমার জীবনে তো আমি জয়ী!
হতে পারবে কি তুমি?
তবে কেন কর, শুধু বদনাম;
এসো করি জয়েরই গান।


তবেই তো নিতে হবে না তোমাতে
আমায় কোন নষ্টা কথার গ্লানি;
তাই তো বলি করো না কারো বদনাম;
শুনতে হবে না অপবাদের হতাশা ব্যঞ্জক;
না পাওয়ার যে শুধুই বদনামের অপবাদ।


       =***=


বাণী : শ্রম বিনা মানব জীবন কখনও উন্নতি লাভ হয় না। কাউকে ধীক্কার না দিয়ে নিজের ভবিষ্যৎ ভাবনায় উন্নতি করা ভাল।।