ওহে মানুষ আমরা জেনেছি কি?
করোনা কি?
কেন করোনা?
এই মহামারী কি?
না কি করে আসছি শুধুই ছলচাতুরী?
মুখে আমরা জ্ঞানের কথা বলি
বলে থাকি ধর্মের পবিত্রতার কথা
আসলে মান‍্য করছি কি আমরা?


পবিত্র ইসলাম ধর্ম গ্রন্থে স্পষ্ট উল্লেখ‍ রয়েছে!
যখন কোন মহামারী যে এলাকাতে দেয় দেখা
সেই এলাকার লোকজন থাকবে সেথায়
হতে হয় না স্থানান্তর অন‍্য কোথাও।


যাওয়া যাবে না এক এলাকা ছেড়ে অন‍্য এলাকাতে
সংযত হতে হবে সকল প্রকার মিলামেশা থেকে
মেনে চলতে হবে নিজে ও অপরকে সর্তকতায়!
কেন ভাই-বোন নেই ধৈর্য আমাদের এই নিষেধাজ্ঞাতে?


আমরা না কি জ্ঞানী, আছে আমাদের অনেক বুদ্ধি?
এই না কি জ্ঞান দীপ্তমানের বুদ্ধি মত্তার পরিচয়?
আল্লাহর প্রতি আস্তা থাকলে; আল্লাহর দেওয়া
প্রেরিত বিধানের আইনের প্রতি থাকলে বিশ্বাস


বিপদে ধৈর্য ধারণের কথা মনে থাকলে তবে কেন
হতে হবে এই হাল?
হতে হবে এই দুঃখ-দূ'র্দশা?
স্বাস্থ‍্য বিধি অমান‍্য করে চলছি হ-র-হা-মে-শা-ই?


আসলে পুঁথিগত বিদ‍্যাতে' ঐ বিদ‍্যা ভাল ভাবে না
করে আয়ত্ব! সেই তরে উদাসিন মনে চলাতে সুবুদ্ধির
কারো সাথে না মিশে' নিজ বিবেককে জলাঞ্জলি দিয়ে,
মন অবচেতনাতে কি যে করে আসছি মানুষ আমরা?


নিজেকে করে আসছি ক্ষতি গ্রহস্থ! করে আসছি অপরকে।
কেন এই হতাশা; কেন এতো হা-হা-কা-র?
আরে ভাই ও বোন এখন চোখে আঙ্গুল না দিয়ে পারলাম
না! বলবেন যে ঘরে খাবার নেই! কর্মের জন‍্যে হই বাহির!


তা বেশ! কত জন হই আমরা কর্মের জন‍্যে ঘরের বাহির?
দেখেন না সাথে আগাছা! করে না তেমন কোনই কাজ-কর্ম
সেও দেখি বাহিরে এই মহামারীর মধ‍্যে স্থাস্থ‍্যবিধি না মেনে
চলছে হ-র-হা-মে-শা-য়। দেখতে কি পাচ্ছি না আমরা?


ঐ সন্তান গুলি কি আমাদের নয়?
ওরা কি কারণে এবং কেন কিসের জন‍্যে করে আসছে ঐ রুপ কান্ড?
অপর  দিকে ভেবে কি দেখেছি আমরা? মনে কি পড়ে না?
এই দেশের মানুষ কবে কখন ছিল সচ্ছল?


কখনও না ছিল তারা! সচেতন ও অর্থনৈতিক সচ্ছলতা।
এক পেটের ভাত জোটে নাই যেখানে, সেখানে বিবাহ
সন্তান জন্ম, এক সন্তানের ভাত-কাপড়ে লবন আনতে
যেখানে পানতা ফুরায়! সেখানে আরেকটি সন্তানের জন্ম,
আরেকটি বহুবিবাহ, এই ভাবেই ভাত-কাপড়ের অভাব
অনাটনের মধ্য দিয়ে এক বেলা খেয়ে; না খেয়েই কোন
মতে আবাসন নামে মাত্র পেয়ে শীত গরম সয়েই ঘন-বসতিতে
কোন মতে কখনও সখনও ভাতের মার, কচুরঘাটি, আটার পিঠলী,
কাউনের জাও, আটাঘুটা, ফেনাভাত, ডালির জাও, গমের ভাত-খিঁচুরী,
এর ওর নিকট ধারকর্যে, কাজ না পেয়ে হা-হা-কা-র মনে ঘরে ফিরে
বউ-সন্তান, মা-বাবা নিয়ে চরম ভাবেই দিনাতিপাত করে আসছে এক
শ্রেণীর মানুষ গুলি! অতীতে বেশী ছিল' বর্তমানেও রয়েছে।


বাস্তবতা ভুলে গেছে আজিকের সমাজ ব্যবস্থায় এই প্রজন্মরা।
ভুলে গেছেন প্রজন্মরা অতীত ইতিহাসের কথা ও মর্মার্থ!
মুরব্বিদের নিকট হতে শুনতে চায় না অতীতের কথা ও ইতিহাসের
মর্মকথা গুলি' যা জানা থাকলে হতে পারতো জ্ঞান লব্দের একজন
প্রকৃত জ্ঞানী! সেই তরে না জেনে শুধুই চলে আসছে অপদার্থের মত
নিজ হেয়ালী পণাতে পন্ডিত মন ভাবে।
তাই তো আজ তারা মানতে চায়না কোন নিয়ম-নীতি।


সেই জন্যেই আজকের এই মহামারী নিয়ন্ত্রণে হিমশিম!
শোনেন মানুষ সকলে
শোনেন দু'টি কান পেতে!
অতীতেও মহামারী ছিল!
ছিল কলেরা, যক্ষা, ক‍্যান্সার,
স‍েত রোগ, কুড়কুষ্টি রোগ,
অনেক নাম না জানা ছোঁয়াচে রোগ।


ছিল নিষেধাজ্ঞা।
ঐ সময়ে মান্য করেছে সকলেই।
বিজ্ঞানই মানুষকে সাহস যুগিয়েছে
হবে না কিছু!
এই রোগ তো ছোঁয়াচে নহে'


সাহস যুগিয়ে যেমন করে রোগকে আপন,
করেছে মানুষ মানুষেতে সহানুভূতির পরিচয়
তাই কোন রোগ বিপদ ডেকে আনে,
আর কোন রোগ আনে না বিপদ!
সেই লক্ষে করে না ভুলূকক্ষেপ।


মানতে চায় না কোনই কথা-বার্তা ও নিয়ম-কানুন।
সবই আমাদের আশীর্বাদের জায়গায় কেন এতো অভিশাপ?
সেই টা হল আমাদের খাঁই খাঁই স্বভাবের অবতারণা!
সঠিক বুঝের চরম অভাবের;
নৈতিকতার নোংরা অবক্ষয়ের ফসলে।


যেখানে হবে মানুষ সংযত সেই জাযগায় মানুষ হচ্ছে অসংযত'
কেন মানুষ আমরা এমন করে আসছি? কেন চলছি ঐ রুপে?
ধরে নেই আমরা একটি পরিবারে পাঁচটি সন্তান
করে সকলেই পড়া-লেখা
বাবা একমাত্র কর্মক্ষম ব্যক্তি!


পরিবারের সদস্যদের পেটের ভাত যেখানে যোগাতেই হিমশিম!
সেই জায়গায় কোন মতে আবার পড়া-লেখা!
সেই পরিবেশ হতেও ভাল রেজাল্ট, ভাল মানুষ হয়ে উঠা,
আছে না এই সমাজ চিত্তে? রয়েছে অনেক উদাহরণ!


সেই সকল পরিবারের সন্তানও আজ হচ্ছে এই কঠিন সময়েও দিশেহারা।
কেন? কারণ কি? কেন নেই ধৈর্য? সবই হল নৈতিকতার অবক্ষয়!
ঈমান ফেলেছে হারায়ে' ধৈর্যের কথা রাখছে না মাথাতে'
ভরসা নেই আল্লাহতে!
তাই তো আজকের এই সংক্রমন ছড়াচ্ছে
একে অপরের সাথে অধিক মেলামেশাতে।
নিয়ম-কানুন মানাতে তারা অনিহা।


আল্লাহ যত ধরণের মহামারী দেন না কেন!
সবই হল মানুষের ঈমান সংশোধন করার পরীক্ষার জন্যে।
আল্লাহ পবিত্র কোরআন পাক শরীফে স্পর্ষ্টতই বলেছেন
আমি মানুষের আজাব দেই ঈমান পরীক্ষার জন্যে!


দেখি বান্দা কেমন ধৈর্যশীল? সেই বান্দারা যদি হয় ধৈর্যশীল,
নমনীয়, পরপোকারী, করে সৎকাজ, হয় ন্যায় পরায়ন,
ব্যাভিচার হতে বিরত থাকে, আমি আল্লাহ আমাকে নতজানে
ডাকে কি না, আমি আল্লাহই প্রত্যেকটি বিপদের পরেই দেই


অনাবিল সুখ-সমৃদ্ধিতে ভরে, এই মানুষকেই। তাই তো বলি
এসো কল্যাণের পথে, হই সৎ, ধৈর্য ধারণ করি, এখনও সময়
আছে স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিজেকে রক্ষা করি,
করি আমারই মত মানুষ অপরকেও।


কেন এতো ঈদ! আনন্দ! যত্রতত্র হরহামেশায় যাতায়াত?
নাই পকেটে না কি টাকা-পঁয়সা?
ডাবলেরও বেশী রিক্সা-অটো ভাড়া দিয়ে যাচ্ছি কেন গ্রামে?
কত'টা কষ্টে যা বোঝানো বড়ই দায় অপর জনকে?
আসলে বাস্তবতা হল! ভাবলেই নিজ হতেই বলা যায়'
কি দরকার ছিল এতো কষ্ট করে আসা গ্রামের বাড়িতে?
যেখানে ফেরি-স্ট্রিমার বন্ধ। এতো বড় রিক্স নিয়ে কেন?


কর্মস্থলের বাড়াকৃত বাসা! সেখানে থাকলে কি এতো ক্ষতির?
বাসা ভাড়া কি কম নিবে বাড়ির মালিক যে যান আপনারা,
আসেন ঈদ করে, নেব না ভাড়া আগামী দুই মাসের' না এই
কথাটি কোন বাড়ির মালিক বলবেন না কোন অবস্থাতেই।


তবে কেন এতোটাই অবুঝ হয়ে যাচ্ছি নিজ গ্রামের বাড়িতে,
এই মহামারির মত বিপদে? আমাদের কি এতোটুকুও মনে পড়ে না!
কোন মতে এই রোগটির আলামত যায় যদি আমাদেরই কোন আপন
জনের মাঝে ছড়িয়ে! সেই তরে আফসোর্স শুধুই বাড়বে জীবনে।
আমরা সকলেই মানুষ!


আসুন না করি মানুষের মত কাজ;
পরিচয় দেই মহা-ধৈর্যের
এতোটাই আপন জেনে বলি আত্মীয়-স্বজনকে
তোমরা থাক সাবধানে! নিয়ম-কানুন মেনে'
আমি আসতে পারি নাই তাই কি হয়েছে?
কম-বেশী যা পেরেছি টাকা-পঁয়সা পাঠালাম
হাসিমুখে নিও বরণ করে
করিও ঈদ পরিবারের সকলে মিলে মিশে।
করিও আমার জন্যে দোয়া' ভাল থাকিও তোমরা সকলে।
ঈদ মোবারক ঈদ। জানাই তোমাদের ঈদের শুভেচ্ছা।


এই ভাবে আমরা মানুষরা
একে অপরকে ভাবলে সকলেই
রক্ষার্থে রবে বিধাতা আমাদের পাশে
করোনা পালাবে যে শেষে।


বিধাতা দিবে নতুন দিগন্তের আলোর রশ্মি!
যা না কি ভাবতেও পারি না আমরা এই জীবনে।
দুঃখের পরেই আসে সুখ! সেই কথাটিই অবধারিত
ঐটাই চিরসত্য রয় যে সত্য-নিষ্ঠ্য চিরাচারিত রুপধারণে।


তা না হলে "শুধুই কি দায়ী করোনা" না করোনা নহে!
দায়ী আমরা অমানুষ রুপি অবুঝ, নিয়ন্ত্রণ হীন মানুষগুলি।
সেই তরে মানুষ মানুষ হতে হচ্ছি মহব্বতের বিপরীতে
হিতকর কাজে ছড়াচ্ছি সংক্রমণ এই সমাজকে ব্যাধি করে।।
===×××===
===×××===
বাণী : সকল প্রতিকূলতায় মানুষকে হতে হবে সহনশীল ও নমনীয়! বিশ্বাস রাখতে হবে আল্লাহর বিধানের প্রতি ও আল্লাহ যা বলেছেন সেই তরে জেনে বুঝে চলার জন্যে, তবেই যত সমস্যাই মানব জীবনে দেখা দিক না কেন' আসুক না? হবে না কোনই লাভ ঐ মহামারীর মত ভয়াবহতা মানব জীবনে। আল্লাহ ঠিকই রক্ষার্থে সহমত হবেন মানুষের। যদি শুনি সঠিক নিয়মের কথা, রক্ষা করে চলি নীতি-নৈতিকতা। সেই তরে হবে না এই বলে কথা " শুধুই কি দায়ী করোনা" না অবুঝ, নোংরা চেতনার মানুষ নামক পরের কাঁধে দোষ চাপানো মানুষ গুলি। হয়রত মুহাম্মদ (স) আল্লাহর প্রিয় বান্দা নবী ও রাসূল তিনার জীবনের সকল কাজ ও আদর্শ জেনে ও বুঝে ওহে মানুষ করলে পালন, দেখবে আদর্শ কি? বিপদ কি? উদ্ধার রক্ষা কি? করনীয় কি? তাহলেই বুঝতে পারবো আমরা এক কথাতেই "শুধুই কি দায়ী করোনা" এই সমাজ! না কি আমরা অবুঝ মানুষরা।।