"স্ত্রী'র প্রতি মুগ্ধতা (প্রথম পর্ব)"
যৌবন বয়সের আগুন
নেভাতে লাগবে ক্ষণে ক্ষণে
সেই ফাল্গুণীর আগমনের
তারই ভাল লাগা ভালবাসায়
কে হবে সেই জন আসবে
আমারই ঘরকে করবে আলোকিত
যা ছিল অগোছানো অন্ধকারাচ্ছন্নের!!


সমস্ত জঙ্গল ধুঁয়ে মুছে পরিস্কার করে
হবে আলোকময় ঝলমলে সাঁজবে ঘর ও বাড়ি
অপরুপ সাঁজে রুপসী কন‍্যার বউ হয়ে আসার
সেই অপ্রেক্ষিত যৌবন বয়সের প্রণয়ন
ঘটার সম্ভবনায় রমণির পক্ষ হতে এসে ছিলেন
আমারই কর্মস্থলেতে দু’টি সন্মানিত গুণি জন
আমি তো অবাগ দাপ্তরিক কাজের লোক ছাঁড়া কারা হবে?
জানতে পেলাম পরিচয়ে ফরিদপুর শহরের!


দু'জন সু-ব‍্যবসায়ী হাজির হন আমারই কর্মস্থলে
একজন জনাব, ফারুক পাল গার্মেন্টস ব‍্যবসায়ী
অপরজন জনাব, আব্দুস সালাম বাচ্চু ঠিকাদারী ব্যবসাসী!
পরিচয় পর্ব আদান-প্রদান সাথে দুপুরের ভোঁজন পর্ব
এরপর কথা হল বিবাহ-শ্বাদী প্রসংঙ্গে
উনারা বললেন মেয়ে তাদের আপনজন
একটি বার সময় করে দেখার অপেক্ষায় থাকবেন বলে
আমি বললাম তা বেশ আপনারা আমার ব‍্যাপারে;


আগে ভাল ভাবে জানেন তারপর
আমি সময় করে একদিন চেষ্টা করবো
আপনাদের সহিত সাক্ষাৎ কারের
তাই তো হঠাৎ একদিন বিকাল বেলা সময়
আনু: 4:00 টা দাপ্তরিক কাজ শেষে রিক্সা যোগে
গাবতলীর বাস টার্মিনাল হতে পরিবহন যোগে ফরিদপুর
বাস স্ট‍্যান্ড নেমে রিক্সাযোগে গেলাম হোটেল র‍্যাফেলস-এ
সময় তখন রাত্র 9:30 মিনিট। হায়রে..
অধীর চিত্তে অপেক্ষা করছে আমারই আগমণের;


অপেক্ষিত সকলকে সন্মান পর্ব প্রদর্শন করত: মূল পর্বে...
সেখানে উপস্থিত ছিলেন আমার স্ত্রীর বড় বোন, ভগ্নিপতি
বোনের ছোট্ট গোলগাল টুকটুকে অদিতি নামের মিষ্টি মাখা
মায়াবী রুপ ও গুণের একটি মেয়ে ও আরো দু'চার জন
আমি ছেলে পক্ষ হিসেবে একাই; কথা হয় নানান বিষয়ে
আলাপ-চারিতার সাথে রাত্রের ডিনার (খাবার) পর্বও শেষ হয়।।
কথা হয় মেয়ে দেখা হয়; সকলের অনুমতি সাপেক্ষে
মেয়ের সাথে একটু অন‍্য টেবিলে একান্তই আলাপ হয়!!


আমার অতীত, বর্তমান ও ভবিষ‍্যৎ বিষয়ে
তিনি সারা দেন ও জানান পরিবার চেতনায়
যদি থাকে আপনার সাথে বিবাহ লেখা
থাকে যদি লেখা আল্লাহর বিধানে
হবে না কোনই অনাপত্তি এই বন্দনের!!
আমিও ভেবে নিলাম ইনার মতন সহধর্মীনির
প্রয়োজন রয়েছে আমার জীবনে।।
এই ভাবনায় একটু সময় নেওয়া এবং কাল ক্ষেপণে
আরো জানাতে তিনটি মাস বিলম্ব হয় শুভ বিবাহ বন্ধনে
আহা!! এরই মাঝে আমার পরিবার পাঠালাম
ভাল মন্দ বোঝা পড়াতে; হল পর্ব শেষ কতশত কথার!!


এরপর দিন ও তারিখ নির্ধারণ হলে
নয় ফ্রেব্রুয়ারী' দুই হাজার বার ইং সাল
অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয় আলাউদ্দিন কমিউনিটি সেন্টার,
ঝিলটুলী, ফরিদপুর শহরে;
আমরা বর পক্ষ আত্মীয়-স্বজন
এক ঝাঁক গাড়ি বহরের যাত্রায় গমন পর্ব শেষে
অন‍্য রকমের একটু সংকোচ ও ভৃতি মনের আনন্দের
স্ত্রী'র পক্ষের অপেক্ষিত আনন্দ-ঘন সকলের অভ‍্যর্থনায়
স্বাদরে গৃহীত পর্বের পর গল্প-গুজব আলাপ-চারিতা;


সাথে হরেক রকমের নানান সু-স্বাদের রসনা
খাবার শেষ করত: হয় সেই যে জীবনের জীবন
সাথী নামক ঘাঁট-ছাড়া বাঁধার দু'টি মন ও প্রাণের
ভাল বাসার আস্তার এক ছত্রতায় গাঁথা মালায়
সংসার জীবনের একই ছাঁদের নিচে বাকী দিন-সময়
হবে পার সুখে-দু:খে সংসার নামক সামাজিক বোধতায়;
হল জীবন সাথী পেলাম একজন আরেক জনকে
দু'টি মন ও প্রাণ হল এক জনায়
উভয়ই চাকুরী জীবি!!


আমি ঢাকায় প্রাইভেট শিল্প প্রতিষ্ঠানের
মানব সম্পদ, প্রশাসন ও কমপ্লায়েন্স বিভাগে
স্ত্রী সে ফরিদপুরের থানা শহরের মহিলা ডিগ্রী
কলেজের অর্থনীতি বিভাগের প্রভাষক।।
এই তো শুরু হয় সংসার নামক জীবনের পথ চলা।।
তাই তো একজন বুদ্ধি মত্তা সম্পূর্ণ জ্ঞানী সুশিক্ষিত
বুঝমান মেয়ে মানুষ হয় যার ঘরের স্ত্রী তুলনা হয় না
তার যে গুণে হতে থাকে ঘর ও পরিবার স্বর্গীয়।
তাই তো রাখিলাম স্ত্রী'র প্রতি মুগ্ধতা (প্রথম পর্ব)।।
===×××===
===×××===


বাণী : যে নারী নিজেকে নিজে চিনতে পারে সেই নারী কখনও স্বামী সংসার হতে পদচ‍্যুত হয় না।।